ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম – ২১

সংখ্যা: ১১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ‘আর সালাম ব্যতীত কোন অনুমতি নেই।’ এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এসেছে,

عن جابر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم.

“হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لاتاذنوا لمن لم يبدا بالسلام.

“ঐ ব্যক্তির জন্য কোন অনুমতি নেই যে ব্যক্তি সালাম ব্যতীত অনুমতি চায়।”     প্রথমে সালাম দিবে, এরপর সে অনুমতি নিবে, তারপর সে ঘরে প্রবেশ করবে। যদি সালাম না দিয়ে, অনুমতি না নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তাহলে যদি বেপর্দা হয়ে যায় তবে যে প্রবেশ করল সে গুনাহ্গার হবে।

আল্লাহ পাক প্রত্যেকটাই বর্ণনা করে দিয়েছেন, অপরের ঘরে প্রবেশ করতে হলে কি হুকুম, নিজের ঘরে যারা চলাচল করবে তাদের কি হুকুম, বালেগ, বালেগা, নাবালেগ, নাবালেগা তাদের কি হুকুম, খাদেম-খুদ্দাম তাদের কি হুকুম রয়েছে প্রত্যেকটা আল্লাহ্ পাক স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। অর্থাৎ সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে।

আর আমাদের সালাম হচ্ছে, السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) কমপক্ষে এতটুকু।

যেটা হাদীস শরীফে এসেছে, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রথম কমপক্ষে السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) বলবে। এরপর ইচ্ছা করলে কেউ বাড়াতে পারে। প্রত্যেকটা কথাতেই দশটা করে নেকী রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা কথাতে দশটা নেকী।

একবার এক ব্যক্তি এসে বললো, السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম)। অর্থাৎ সালাম দিলো, فرد عليه ثم جلس. অতঃপর তার সালামের জাওয়াব দেয়া হলো, তারপর সে বসলো। আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, عشر তার জন্য দশটা।

এরপর আর এক ব্যক্তি আসলেন, এসে বললেন,

السلام عليكم ورحمة الله

(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্) তাকে সালামের জাওয়াব দেয়া হলো, সে বসলো। আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, عشرون তার  জন্য বিশটা।

এরপর আর এক লোক আসলেন, এসে বললেন,

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.

(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্) এটা যখন সে বললো, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, তাঁর জন্য ত্রিশটা।

আর এক ব্যক্তি এসে বললেন,

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته ومغفرته.

(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ্) অর্থাৎ مغفرته (মাগফিরাতুহ্) সংযোগ করে বললেন। আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাঁর জন্য চল্লিশটা। জিজ্ঞাসা করা হলো- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বললেন দশটা, বিশটা, ত্রিশটা, চল্লিশটা সেগুলো কি? আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সেটা হচ্ছে নেকী। শুধু السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) বললে সে দশটা নেকী পাবে। ورحمة الله (ওয়া রহমাতুল্লাহ্) যোগ দিয়ে বললে বিশটা। وبركته (ওয়া বারাকাতুহ্) যোগ দিলে ত্রিশটা। ومغفرته (ওয়া মাগফিরাতুহ্) যোগ দিলে চল্লিশটা। এ রকম যে যতটা শব্দ বাড়াবে সে প্রতি শব্দে দশটা করে নেকী লাভ করবে। (সুবহানাল্লাহ)

আর আমাদের মুসলমানদের জন্য সালাম- السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) বলতে হবে। অন্য কোন ইঙ্গিত-ইশারা দিয়ে সালাম করতে আল্লাহ পাক নিষেধ করেছেন এবং আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নিষেধ করেছেন। হাদীস শরীফে রয়েছে,

عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا.

“হযরত আমর বিন শুয়াইব তিনি তাঁর পিতা থেকে আর তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কি বলেন? ليس منا من تشبه بغيرنا “ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের দলভুক্ত নয় যে অন্যদের সাথে মিল রাখে বা মুশাব্বাহ রাখে।”

আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন যে,

ولا تشبهوا بالليهود ولابالنصارى.

“তোমরা ইহুদী এবং নাছারাদের সাথে কোন মুশাব্বাহ (মিল) রেখনা।”

فان تسليم اليهود الاشارة بالاصابع وتسليم النصرى الاشارة بالاكف.

“জেনে রাখ, নিশ্চয়ই ইহুদীদের সালাম হচ্ছে আঙ্গুলী দিয়ে ইশারা করা। আর খ্রীষ্টানদের সালাম হচ্ছে হাতের তালু দিয়ে ইশারা করা।”

আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, দেখ, আমার উম্মতের যে সালাম সেটা হচ্ছে, السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) এটা বলা। আর ইহুদীদের সালাম হচ্ছে, الاشارة بالاصابع. “আঙ্গুলী দিয়ে ইশারা করা।” আর খ্রীষ্টানদের সালাম হচ্ছে, الاشارة بالاكف، “হাতের তালু দ্বারা ইশারা করা।” কাজেই সে রকম করবেনা। স্পষ্টভাবে বলবে, الاسلام عليكم. (আসসালামু  আলাইকুম)

হ্যাঁ, যদি কেউ বলে, দূরবর্তী কোন ব্যক্তি যদি সালাম দিতে চায়, তাহলে কি করে সালাম দিবে? যেটা মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যার উপর ফতওয়া দেয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে মুসলমানরা আঙ্গুলও তুলবেনা, হাতের তালু দ্বারাও ইশারা করবেনা। তবে যারা ইশারা করবে তারা এভাবে করবে, অর্থাৎ প্রত্যেকেই তার সিনা থেকে মাথা পর্যন্ত হাত দ্বারা ইশারা করবে। তবে হাতের তালু না দেখিয়ে বা আঙ্গুলী না দেখিয়ে অর্থাৎ ইহুদীদের সালাম হলো ইশারা করা। আর ইশারা হলো, আঙ্গুল দিয়ে- এক, দু, তিন আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা। আর খ্রীষ্টানদের সালাম হলো, হাতের তালু দিয়ে বা তালু দেখিয়ে ইশারা করা।       আর মুসলমানদের নিয়ম হচ্ছে, তারা সালাম দেয়ার জন্য হাত দিয়ে যখন ইশারা করবে তখন হাতের তালু নিজের দিকে রেখে ও হাতের পিঠ বাইরের দিকে রেখে ইশারা করবে। আর সেটার হদ হচ্ছে কপাল থেকে সিনা, কপাল থেকে সিনা; এর মধ্যে হলে উত্তম। যদি ব্যতিক্রম হয় আল্লাহ্ পাক ক্ষমা করবেন। তবে অবশ্যই হাতটা ঘুরিয়ে দিবে।

কাজেই আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, তোমরা মুসলমানরা ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করনা। অর্থাৎ সেভাবে ইশারা করনা। এটাই হচ্ছে মুসলমানদের জন্য নির্দেশ। আর যখন নিকটবর্তী হবে তখন কিন্তু ইঙ্গিত-ইশারা চলবেনা, তখন সরাসরি        السلام عليكم (আসসালামু আলাইকুম) এ শব্দটা  বলতে হবে। এরপর যদি অনুমতি দেয় তখন সে প্রবেশ করবে। তাহলে তার জন্য পর্দার সহায়ক হবে। এটা হচ্ছে তার পর্দার সহায়ক। (অসমাপ্ত)

ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম

`ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম -১৯

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম -২০

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ,  হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর  ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম – ২২