রাজারবাগীর রোবের পরিধি, পৃথিবী জুড়িয়া রহে,
তাহা ফজলু গংএরা, গুহা দ্বার খুলে চাহে।
হদস, কমিনি, মাহি, শফি আজ, পড়িছে গহীন কুপে,
শিয়া রাফিজী ওহাবী খারিজী, মুতাজিলা গেল ডুবে।
স্তব্ধ হল বাতিলী কক্ত, রুদ্ধ ওহাবী বিস্মিতায়,
রাজারবাগীর গর্জনে তারা, ভর্কিতে পস্তায়।
উলামায়ে ‘ছূ’র মুখোশ ছিড়িতে, কেবল রাজারবাগীরা পারঙ্গম,
আকাশ পাতাল হতেও তাদের নেকাব পুড়িতে বনিছে জম।
উর্ধ্ব গগণে বিজলী জ্বালায়, পাতালে ঝঞ্ঝা প্রবল তাই
তি ইঞ্চিতে লুকানো ‘ছূ’দের, ধরিয়া মারিছে জঙ্গি-ই সাঁই।
ঐ আল্লাহর দেওয়া খঞ্জরখানা মুঠোয় লইয়া মুজাদ্দিদ
দুশমনদের বক্ষে হানিছে কুশ দন্দ্বজ ধর্স নিদ।
রে ফজলু গংএরা তোদের ঠাকুর খারিজী পাঞ্চালিক
হইল রাজারবাগীর দৃষ্টি ত্যাজেই কয়েদি ঘরের অলিক
সেই বালাকোটের ঝংকারে, রেজাখানী জরোসর,
বৃটিশ আঁচলে লুকাইয়া তারা বনে গেল উভচর।
আমিরুল মু’মিনীন, শাহ আহমদ উড্ডিন, পাক ভারতের বুকে,
তাহারি দাপটে ভীতু রেজভীরা, ইঁদুরী গর্তে ঢুকে।
সাদা সাহেব আর দাদা বাবুদের হয়ে গেলে চাঁটুকার,
দেয় মুসলমানের এক্য ভাঙ্গিতে, ফতওয়া বারংবার
রাতের আঁধারে খৃষ্টচরণে ভোগ দিয়ে খুশি কর,
হিন্দুরে তোরা বন্ধু বানিয়ে কির্ত্তনী কায়া গড়।
সেই রীতিতেই রেজভী চেলারা এখনও রহিস গেঁথে
স্বার্থে আঘাত লাগিলেই তোরা চলিস পুরানা পথে
ঐ রেজাখানীদের শিকড় তুলিতে, অটল রাজারবাগী,
উনার তাজদীদীই ঘায়েল করিছে, তাগুদের বলগী।
রে-পা-চাাঁর দল, আর কত তলে লুকাবি?
মোরা জমিন চিড়িয়া করতেছি তোর শিকরের সয়লাবী।
মোরা মাদানী বাগের মিছদাক শুন রাজারবাগীরা সব,
উঠি নববী নিশানে জাগ্রত হয়ে, প্রজ্ঞাতে উদ্ভব।
রে নাদান! রাজারবাগের গগণে উদয় মাদানী সূর্য্য গদা,
তোরা কুপির আগুনে সূর্য্য জ্বালাবী হুমকি মারিস সদা!
ফজলু মাথারে মরদুদে করে, খন্নাসি গাড়ে নত,
তাই খবিছের ঐ বুলি দিয়ে তোরা, ওলীরে বকিস কত।
মরিচিকা হয়ে চিক চিক, জোনাকি করিছ যোজন
রে গর্দভ! ইবলিছি রথে ভর করে দিস বাহাদুরী গর্জন,
তাকাব্বুরী করি, নমরুদে মরে, লেংড়া মশার হুলে
সেই সাদ্দাদ আর ফিরাউন গেল দাম্ভিকতার তলে।
নবীরে ব্যঙ্গ উপহাস করে ঐ হামান, তিক্তের নির্যাসে।
হামান কায়ারে স্রেষ্ঠা খোদায়, তিলে তিলে মারে শেষে,
ঐ হামানি প্রেতাত্মা ফজলু গংএরা, এখনো রহিছে ক্বায়িম,
হুশিয়ার! তাহাদের থেকে সরিয়া রহ, দুনিয়ার মুসলিম।
নর পিশাচ আর লম্পট তারা, বাতিলের চকিদার,
নবীর প্রেমিক ধরিয়া তাহারা চাহিতেছে মারিবার।
রেজভী দূর্গের গুরুরা যতই, ছল কর ঘন ঘন,
তোদের মারিতে রাজারবাগীরা লড়িবো যে ঘন রণ।
ওহুদ বদরী ঝনাঞ্জনের, বুজুতে দাঁড়ায়ে, রহি মোরা,
খায়বর গিরি ভেদ করে ঘুরি, বেষ্টনে রাখি ধরা।
রে-নরকলংক! ফজলু তোমার ফাজলামি দেই জ্বেলে,
পারবেনা সেই অগ্নি নিভাতে, ইবলিসী জল ঢেলে।
শুনরে ফজলু মোদের দমাতে পারবিনা কোন দিন,
মোরা রাজারবাগীরা বাতিলের ভয়ে রহিনাকো গমগীন।
ঐ আল্লাহর রাহে ওয়াকফ করেছি, আপন জীবন খানা,
মোরা রসূলাদর্শে দর্শিত হতে, হয়ে গেছি মাস্তানা।
শায়খী ফয়েজে ইশকি খোদায় হয়েছি গো মালামাল
দুনিয়ার লোভ নফছি পূজারে, করে দেই পয়মাল।
মোরা মুর্শীদেরই আদেশ লইয়া যত আছি মুরীদান,
বীর বুকে ছুন্নাহরে করি নিত্য জ্যোতিষ্মান।
জীবনকে মোরা কুরবান করি পিছু হটি নাকো কভু।
আপন খুনেতে রাঙ্গাই চেহারা, ভীরুতা করিছি নিভু।
রসূলের ঐ সুন্নাহর তরে জীবন দেহের খুন বিলাই,
হুসাইনী পতাকা উচুঁ-ই রাখিতে, কুরবান হয়ে যাই।
এজিদি মারিতে দামামা বাজাই বর্ম ইমামা শিরস্ত্রান,
সারা বিশ্বেরে আজ কারবালা ভাটে আমরা মুসলমান।
-বিশ্বকবি, মুহম্মদ মুফাজ্জল হুসাইন, কারপাশা, মুন্সীগঞ্জ।
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (3) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৬) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে
খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৭) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত জাহির হয়ে গেল