তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ৩০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

(পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: তাফসীর: খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট থেকে উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতের মাঝে তাশরীফ নিয়েছেন এজন্য উম্মতকে খুশি মুবারক প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে এবং এই খুশি মুবারক প্রকাশ করার আমল বা ইবাদতকে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

যার পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ مَعِىَ فِـى الْـجَنَّةِ

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার বরকতময় বিলাদত শরীফ (সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ) উনাকে সম্মান করবেন, তিনি আমার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারকে অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْـلَةُ اثْـنَـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْع الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْـهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْـعًا يَّـوْمَ الْقِيَامَةِ

অর্থ: যে ব্যক্তি আমার বরকতময় বিলাদত শরীফ (সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ) পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহিমান্বিত রাত (ও দিবস) উনাকে খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে যথাযথভাবে সম্মান করবে, আমি ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য শাফায়াতকারী হবো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!  (নি’মতে কুবরা উর্দূ ১১ পৃষ্ঠা)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

 مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كُنْتُ شَفِيْـعًا لَّه يَّـوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْـفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ فَكَاَنَّـمَا اَنْـفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ تَـعَالـٰى

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার বরকতময় বিলাদত শরীফ (সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ) উনাকে তাযীম-তাকরীম, ইজ্জত ও সম্মান করবেন, ক্বিয়ামতের দিন আমি তার জন্য শাফায়াতকারী হবো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম বিলাদত শরীফ পালন উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করবেন, সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ ১৫ পৃষ্ঠা, তালহীনুছ ছাননাজ ৫ পৃষ্ঠা)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ اَنْـفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْـفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْمَرَ فِـى الْيَـتَامٰى فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ

 অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার বরকতময় বিলাদত শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে এক দিরহাম খরচ করবেন, সে ব্যক্তি ইয়াতীমদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমান লাল স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (নে’মতে কুবরা উর্দূ ১১ পৃষ্ঠা)

তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

তাফসীরুল কুরআন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

 তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী