আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত যবান মুবারক-এ ‘পাঠকৃত সম্মানিত না’ত শরীফ’ :
মালিকু আহলিল জান্নাহ, আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে উনার, উনার সম্মানিত পিতাজান সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার, উনার সম্মানিত দাদাজান সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার সমস্ত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রশংসামূলক একখানা ‘সম্মানিত বিশেষ না’ত শরীফ পাঠ করেছেন। আর এই ‘সম্মানিত বিশেষ না’ত শরীফখানা’১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ উনার ২য় খন্ডের ২২১ পৃষ্ঠায় এবং অপর বিশ্বখ্যাত কিতাব মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৩৭ পৃষ্ঠায়’ ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইউসূফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) উনার ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ উনার ১ম খ-ের ২৪৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও ‘সিমতুন নুজূমসহ’ আরো অন্যান্য কিতাবেও এসেছে। ‘সিমতুন নুজূম’ গ্রন্থকার তিনি উক্ত কিতাব উনার ১ম খ-ের ২৯৮ পৃষ্ঠায় বলেন-
وَمن شعر حَضرت عبد الله بن عبد الْمطلب عَليه السلام وَالِد نَبينَا عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام نَقله الصَّفَدِي رحمة الله عليه فِى تَرْجَمته وَذكره خَاتِمَة الْحفاظ جلَال الدين السُّيُوطِيّ رحمة الله عليه فِي كِتَابه مسالك الحنفا فِي حكم إِيمَان وَالِدي الْمُصْطَفى قَوْله عليه السلام
‘আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত জবান মুবারক-এ পাঠকৃত একখানা ‘সম্মানিত শে’র বা না’ত শরীফ’ ইমাম ছফাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘তরজমাতে’ এবং খাতিমুল হুফ্ফায হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার সম্মানিত না’ত শরীফখানা হচ্ছেন-
لَقَدْ حَكَمَ السَّارُّوْنَ فِىْ كُلِّ بَلْدَةٍ …
بِاَنَّ لَنَا فَضْلًا عَلٰى سَادَةِ الْاَرْضِ
وَاِنَّ اَبِىْ ذُو الْمَجْدِ وَالسُّؤْدَدِ الَّذِىْ …
يُشَارُ بِهٖ مَا بَيْنَ نَشْزٍ اِلٰى خَفْضِ
وَجَدِّىْ وَاٰبَاءٌ لَّـهٗ اَثَّلُوا الْعُلَا …
قَدِيـْمًا بِطِيْبِ الْعِرْقِ وَالْحَسَبِ الْمَحْضِ
অর্থ: ‘অবশ্য অবশ্যই আমরা বেমেছাল প্রফুল্লতার সাথে, অত্যন্ত খুশির সাথে, সীমাহীন সম্মানিত শান-শওক্বত ও ইতমিনান মুবারক উনার সাথে প্রতিটি শহর, নগর, গ্রাম, স্থান, জনপদে শাসনকার্য পরিচালনা করেছি। কেননা আমাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হচ্ছে সারা পৃথিবীর, সারা কায়িনাতের সকল সর্দার, নের্তৃত্বশীল, নেতা, আমীর, উমারা, রাজা, বাদশাহ, সুলতান সকলের উপরে। আর বাতিনীভাবে ওলী, কুতুব, গাওস রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং হযরত নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সকলের উপরে। সুবহানাল্লাহ!
আর নিশ্চয়ই আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক ও সম্মানিত কর্তৃত্ব মুবারক উনার অধিকারী। উনার সম্মানিত ইশারা-ইঙ্গিত মুবারক-এ, নির্দেশ মুবারক-এ পরিচালিত হয় উঁচু থেকে নিচু (সম্মানিত আরশে আযীম থেকে তাহ্তাছ ছারা পর্যন্ত) এতোদুভয়ের মাঝে (সারা কায়িনাতে) যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু। সুবহানাল্লাহ!
আর আমার সম্মানিত দাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার সম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম (হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত) উনারা যাঁরা অতীত হয়েছেন উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন (যাহিরী-বাত্বিনী সর্বদিক থেকে) সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী। উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন বংশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ও বংশীয় পবিত্রতার দিক থেকে অবিনশ্বর। অর্থাৎ উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন এতো সর্বশ্রেষ্ঠ ও পূতঃপবিত্র বংশ মুবারক উনার অধিকারী এবং পূতঃপবিত্র চরিত্র মুবারক উনাদের অধিকারী যে, উনাদের কারো মধ্যে কোনো প্রকার অপবিত্রার স্পর্শ পর্যন্ত লাগেনি। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনাদের মাঝে নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবস্থান মুবারক করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ ২/২২১, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩৭ পৃষ্ঠা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১/২৪৭, সিমতুন নুজূমিল আওয়ালী ফী আনবায়িল আওয়ায়িলি ওয়াত তাওয়ালী ১/২৯৮ ইত্যাদি)
‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ উনার শাব্দিক অর্থ মুবারক : لَقَدْ حَكَمَ অবশ্য অবশ্যই শাসন করেছেন, اَلسَّارُّوْنَ প্রফুল্লকারীগণ, খুশি প্রকাশকারীগণ, আনন্দকারীগণ, فِىْ মধ্যে, كُلٌّ প্রত্যেক, بَلْدَةٍ শহর, নগর, গ্রাম, স্থান, জনপদ, لَنَا আমাদের জন্য, فَضْلًا শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক, عَلَى উপর, سَادَةِ নেতাগণ, প্রভাব বিস্তারকারীগণ, নের্তৃত্বশীলগণ, সর্দারগণ। اَلْأَرْضِ পৃথিবী, কায়িনাত, وَ আর, إِنَّ নিশ্চয়ই, أَبِىْ আমার সম্মানিত পিতা, ذُوْ অধিকারী, اَلْمَجْدِ মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক, اَلسُّؤْدَد সম্মানিত কর্তৃত্ব মুবারক, اَلَّذِىْ যিনি, يُشَارُ ইশারা প্রাপ্ত হয়, ইঙ্গিত প্রাপ্ত হয়, আদৃষ্ট হয়, بِه উনার দ্বারা, مَا যা, بَيْنَ মাঝে, نَشْزٍ উঁচু জায়গা, إِلَى দিকে, থেকে, خَفْض নীচুস্থান, جَدِّىْ আমার দাদা, آبَاءٌ পূর্বপুরুষগণ, أَثَّلُوْا উনারা সম্পদশালী হয়েছিলেন, ধনী হয়েছিলেন, اَلْعُلَا সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ قَدِيـْمًا অবিনশ্বর, চিরন্তন, চিরস্থায়ী له উনার জন্য, طِيْبٌ সুগন্ধ, সুরভী, সুবাস, শ্রেষ্ঠত্ব, الْعِرْقِ শিকড়, মূল, বংশ, বংশমূল, اَلْحَسَبِ নসব, বংশ, اَلْمَحْض খাঁটি, নির্ভেজাল, খাঁটি বংশীয়, পবিত্র বংশীয়।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জবান মুবারক-এ পাঠকৃত ‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ :
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নানাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওহহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বিছাল শরীফ মুবারক গ্রহণ করার পর উনার সম্মানিতা আওলাদ সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত জবান মুবারক-এ শোকাবহ ও প্রশংসামূলক একখানা ‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ পাঠ করেন। এই সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক হযরত ইমাম আল্লামা ইবনে ত্বাহির মুক্বাদ্দিসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৩৫৫ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বাদউ ওয়াত তারীখ উনার ৪ খ-ের ১১৬ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ করেন-
ثم مات حَضرت وهب بن عبد مناف عَلَيْهِ السَّلَامُ فرثته ابنته حضرت آمنة عَلَيْهَا السَّلَامُ أم رسول الله صلى الله عليه وسلم
অর্থ : ‘অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ওহ্হাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বিছাল শরীফ মুবারক গ্রহণ করলে উনার সম্মানিতা আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ একখানা ‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ পাঠ করেন। উক্ত ‘সম্মানিত না’ত শরীফখানা’ হচ্ছেন-
اِنّـِىْ لَبَاكِيَةٌ وَهْبًا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَمُعْوِلَةٌ.
وَهْبُ بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيّـِدُ النَّاسِ
فَقَدْ رُزِئْتُ كَرِيْمًا غَيْرَ مُؤْتَشَبٍ …
ضَخْمَ الدَّسِيْعَةِ حَنَّاسًا لّـِحَنَّاسِ
مَاضِىَ الْعَزِيـْمَةِ لَا يـَخْشٰى غَوَائِلَهٗ …
مِنْ جَوْهَرٍ مّـِنْ قُرَيْشٍ غَيْرِ اَنْكَاسِ
)البدء والتاريخ لامام الـمطهر بن طاهر المقدسي باب قصة ذبح عبد المطلب ابنه عبد الله أبا رسول الله صلى الله عليه وسلم الجلد ۴ الصفحة ۱۱۸(
অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আমি আমার সম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওহহাব আলাইহিস সালাম উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে অত্যন্ত কঠিনভাবে কান্না মুবারক করছি। অতঃপর আমি হয়েছি অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে সীমাহীন ক্রন্দনকারিণী।
আমার সম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওহ্হাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুন নাস তথা সমস্ত মানুষের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
নিশ্চয়ই আমি বঞ্চিত হয়েছি দয়াময়, দাতা, রহমশীল, ¯েœহময়, মর্যাদাবন, মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার ¯েœহ, করুণা, আদর, মমতা মুবারক থেকে। যিনি ছিলেন বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফাযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার অধিকারী এবং সম্মানিত নসব মুবারক উনার দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ, সম্ভ্রান্ত ও পূতঃপবিত্র বংশ মুবারক উনার অধিকারী। উনার সম্মানিত বংশ মুবারক-এ কস্মিনকালেও কোন প্রকার অপবিত্রার ছোঁয়াও লাগেনি। সুবহানাল্লাহ!
তিনি ছিলেন অপরিসীম দাতা, মযলূমদের তরে সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়দানকারী এবং যালিমদের যুলুম প্রতিহতকারী, তাদেরকে সমুচিত শিক্ষাদানকারী। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বীরত্ব মুবারক উনার অধিকারী, তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বীর, উনার সমকক্ষ আর কেউ ছিলো না। সুবহানাল্লাহ!
তিনি ছিলেন দৃঢ়তার তীক্ষ ধারালো তরবারী মুবারক। তিনি উনার বিপদ-আপদ, বিদ্ধেষ, শত্রুতা, শত্রু কোন কিছুকেই কখনও কোন প্রকার পরোয়া করতেন না, ভয় করতেন না। সুবহানাল্লাহ!
আমার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সম্মানিত কুরাইশ উনাদের মধ্যে জাওহার তথা মণি বা রতœ তুল্য, ছিলেন সর্বময় গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারী এবং সর্বপ্রকার দুর্বলতা থেকে পূতঃপবিত্র। সুবহানাল্লাহ!’ (আল বাদ্উ ওয়াত তারীখ ৪/১১৬)
‘সম্মানিত না’ত শরীফ’ উনার শাব্দিক অর্থ মুবারক : اني নিশ্চয়ই আমি, لباكية অবশ্যই ক্রন্দনকারিণী, ف অতঃপর مُعْوِلَة অত্যন্ত কঠিনভাবে ক্রন্দনকারিণী, وهبا সাইয়্যিদুনা হযরত ওহ্হাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম, فقد رزئت অতঃপর অবশ্যই আমি বঞ্চিত হয়েছি, كريما সম্মানিত, মর্যাদাবান, মহৎ, উদার, দানশীল, দাতা, মহানুভব, মূল্যবান, দয়াময়, রহমশীল, ¯েœহময়, غير مُؤْتَشَبٍ সম্মানিত নসব মুবারক উনার দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ, সম্ভ্রান্ত ও পূত:পবিত্র বংশ মুবারক উনার অধিকারী, যেই সম্মানিত বংশ মুবারক-এ কস্মিনকালেও কোন প্রকার অপবিত্রার ছোঁয়াও লাগেনি, ضَخْمَ الدَّسِيْعَةِ অপরিসীম দাতা, মযলূদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়দানকারী, যালিমদের যুলুম প্রতিহতকারী, তাদেরকে সমুচিত শিক্ষাদানকারী, حناسا যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ বীরত্ব মুবারক উনার অধিকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ বীর, বীরত্বের দিক থেকে যাঁর সমকক্ষ আর কেউ নেই, مَاضي ধারালো, কার্যকর, তরবারী, الْعَزِيـْمَةِ সংকল্প, দৃঢ়তা, ইচ্ছা, مَاضي الْعَزِيـْمَةِ দৃঢ়তার তীক্ষè ধারালো তরবারী মুবারক, لَا يـَخْشى তিনি পরোয়া করেন না, ভয় করেন না, غَوَائِلَ শব্দ মুবারকখনা غَائِلَة শব্দ মুবারক উনার বহু বচন, অর্থ : শত্রুতা, বিপদ, ধ্বংস, বিদ্ধেষ, ه উনার, جوهر মণি, মাণিক্য, রত্ম, জহরত, من হতে, থেকে, قريش সম্মানিত কুরাইশ, غير أَنْكَاس সর্বপ্রকার দুর্বলতা থেকে পূতঃপবিত্র।
এই সম্মানিত দু’খানা বিশেষ না’ত শরীফ উনাদের মধ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং উনাদের সম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান এবং পবিত্রতা মুবারক উনাদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কেউ যদি এই সম্মানিত দু’খানা বিশেষ না’ত শরীফ ফিকির করে তাহলে তার জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং উনাদের সম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান এবং পবিত্রতা মুবারক অনুধাবন করা, বুঝা অত্যান্ত সহজ এবং সম্ভব হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ছাহিবুল ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আসসাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার মুবারক উছীলায় আমাদেও সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
আল্লামা মুহাদ্দিস মুহম্মদ আল আমীন।