মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৮১

সংখ্যা: ৩০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের নব্য দালাল নাছীরুদ্দীন আল বানী ও জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক!

বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের “সালাফী” নাম ধারণ করা একটি জঘন্য প্রতারণা সালাফ (سلف) শব্দটি আরবী। এর অর্থ- পূর্বসূরী অনুসৃত ব্যক্তিত্ব। এখানে ‘সালাফ’ দ্বারা উদ্দেশ্য: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবে-তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম। এই তিন যুগের অনুসৃত বক্তিত্বগণকে পরিভাষায় ‘সালাফ’ বলা হয়। যাদেরকে আমরা সাধারণ ভাষায় “সলফে ছালেহীন” নামে সম্বোধন করি। হাফেয যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিবরণ মতে এই তিন যুগের সমাপ্তি ঘটেছে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর সূচনালগ্নে। তিনি ‘মীযানুল ই’তিদাল’ গ্রন্থে লিখেছেন-

فان حد الفاصل عنده بين المتقدمين والمتأخرين رأس ثلاث مائة

অর্থ: পূর্ববর্তী ও পরবর্তীর মাঝে পার্থক্যকারী সীমান্ত হচ্ছে তৃতীয় শতাব্দীর সূচনাযুগ’।

পবিত্র হাদীছ শরীফে এই তিন যুগের ব্যক্তিত্বদের (সালাফের) মর্যাদাও বর্ণিত হয়েছে। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

خَيْرُكُمْ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ

অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত আমার যুগের উম্মত অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। অতঃপর শ্রেষ্ঠ উম্মত উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যুগের উম্মত তথা তাবিয়ীন। অতঃপর তাবিয়ীনের সাথে সংশ্লিষ্ট উম্মত তথা তাবে-তাবিয়ীন। (বুখারী শরীফ ২৬৫১)

আসল সালাফীর পরিচয়

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম এই তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিত্বগণকে ‘সালাফ’ বলা হয়। এই হিসেবে সালাফী অর্থ দাঁড়াবে- যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম এই তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিত্বদের অনুসরণ করেন। উনারাই প্রকৃত সালাফী ।

তাছাড়া যারা আক্বীদার ক্ষেত্রে, বিশেষত: মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহের মাসআলায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুসরণ করতেন, তাদেরকেও “সালাফী” বলা হতো।

উল্লেখ্য, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “তাবে-তাবেয়ীন” ছিলেন, কাজেই তিনি “ছলফে-ছালেহীন” উনার অন্তর্ভূক্ত। কাজেই যারা আক্বীদার ক্ষেত্রে উনার অনুসরণ করবে, তাদেরকে “সালাফী” বলা যুক্তিযুক্ত। পূর্বেকার যুগে সালাফী বলতে উনাদেরকেই বুঝানো হতো। উনারাই প্রকৃত সালাফী।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ফিকহের ন্যায় আকীদার ক্ষেত্রেও বিশিষ্ট ইমাম হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। অর্থাৎ উনার থেকে দুটি ধারা প্রবাহিত হয়েছে। একটি হলো ফিকহের। অপরটি হলো: আক্বীদার। ফিকহের ক্ষেত্রে যারা ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুসারী তাদেরকে পরিভাষায় ‘হাম্বলী’ বলা হয়। আর যারা আক্বীদার ক্ষেত্রে উনার অনুসারী তাদেরকে পরিভাষায় ‘সালাফী’ বলা হয়। একারণে সাধারণত হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীদেরকে ‘সালাফী’ বলা হয়ে থাকে।

মোটকথা, যারা আক্বীদার ক্ষেত্রে পূর্বসূরীদের অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন বিশেষত: ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুসরণ করেন তাদেরকে পরিভাষায় ‘সালাফী’ বলা হয়।

প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা আর কথিত সালাফীদের আক্বীদা

মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহের ক্ষেত্রে সালাফের নীতি ছিল- উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফাতগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফে যেভাবে উল্লেখ আছে, ঠিক সেভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য ছাবেত মানতেন। এতে কোন ধরণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতেন না। পূর্বযুগে সালাফী বলতে উনাদেরকেই বুঝানো হতো। এই দলটি হক্ব এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। উনারাই প্রকৃত সালাফী। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ সম্পর্কে প্রকৃত সালাফীদের কতিপয় আক্বীদা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

পবিত্র কুরআন শরীফ মাখলূক্ব না

গইরে মাখলূক্ব

১। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ থেকে একটি ছিফত মুবারক হচ্ছে- কালামুল্লাহ শরীফ তথা পবিত্র কুরআন শরীফ। এক্ষেত্রে সে যুগের প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিল- মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম বা পবিত্র কুরআন শরীফ গইরে মাখলূক তথা অসৃষ্ট ও অনাদী। কোন ধরণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়া এতটুকু বিশ্বাস করবে ও মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য ছাবেত মানবে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রায়ও এমন ছিল। প্রথম যুগ থেকে উনার যুগ পর্যন্ত সকল সলফে ছালেহীনের আক্বীদা এটাই ছিল ।

পক্ষান্তরে ভ্রান্ত মু’তাযিলা সম্প্রদায়ের আক্বীদা ছিল- মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম বা পবিত্র কুরআন শরীফ মাখলুক্ব বা সৃষ্টি। নাউযুবিল্লাহ! শাসক মু’তাসিম বিল্লাহ “যে মু’তাযিলা আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলো” ক্ষমতায় আসীন হয়ে মুসলমানদেরকে পবিত্র কুরআন শরীফ মাখলুক বলতে বাধ্য করা শুরু করলো। তখন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সলফের পক্ষে সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং বীরের মতো এই ফিৎনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। পরিণামে  উনাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিল উনার জিসিম মুবারক। তথাপি তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মাখলুক বলে স্বীকার করেননি। সুবহানাল্লাহ!

আরশে ইস্তাওয়া হওয়া

২। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফত সমূহ থেকে আরো একটি ছিফত হচ্ছে- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়া। পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে সে যুগের প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিল-

الاستواء معلوم والكيف مجهول والايمان به واجب

অর্থাৎ, “আরশে ইস্তাওয়া হওয়া তো নসুসের মধ্যে উল্লেখ আছে, যা সকলেরই জানা-শোনা। কিন্তু ইস্তাওয়া হওয়ার পদ্ধতি কারও জানা নেই। তবে এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যেরূপ বলা হয়েছে, সেভাবে ঈমান আনা ওয়াজিব।” এই ছিল ইস্তাওয়া সম্পর্কে উলামায়ে সালাফের আক্বীদা ও অবস্থান।

পক্ষান্তরে ভ্রান্ত মুশাব্বিহা সম্প্রদায়ের আক্বীদা ছিল- মহান আল্লাহ পাক আরশে ইস্তাওয়া হওয়া; হুবহু রাজা-বাদশাগণ সিংহাসনে সমাসীন হওয়ার ন্যায়। এই আক্বীদাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও কুফরীমূলক। নাউযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ৬ জায়গায় অর্থাৎ পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪, পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩, পবিত্র সূরা রাদ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২, পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯, পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪ এবং পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ উনার ৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ

ثُمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ

(ছুম্মাস্তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ) উল্লেখ রয়েছেন। আর পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার ৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ-এ

الرَّحْمٰنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَـوٰى

(আর রহমানু ‘আলাল আরশিস্তাওয়া) উল্লেখ রয়েছেন।

এ সকল জায়গায় (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি হবে সৃষ্টির কারো জানা ছিলো না। এ সম্পর্কে মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কায়িম মাক্কামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিসহ আরো বড় বড় ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে সুওয়াল করা হয়েছিলো যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের অর্থ কি? উনারা বলেছেন যে, اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) শব্দের শাব্দিক অর্থ আমাদের জানা রয়েছে, ‘উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) হয়েছেন, এটা আমাদের জানা নেই।

প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে ইলিম মুবারক প্রাপ্ত হয়ে মুতুহ্হার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত (ইস্তাওয়া) শব্দ মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কায়িম মাক্কামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলমে খলক্ব ও আলমে আমর দুইটি বিষয় রয়েছে। আলমে খলক্ব হচ্ছে- যেটা আরশে আযীমের নীচে। অর্থাৎ তাহ্তাছ ছারা বা মাটির নিম্নতম স্তর থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত হচ্ছে আলমে খলক্ব। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

هُوَ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَـيْـنَـهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ

অর্থ: “সেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমানসমূহ (সাত আসমান) এবং সমস্ত যমীন (সাত যমীন) এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, এ সমস্ত কিছু ছয় দিনে তথা ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

আবার আরশে আযীম থেকে ঠিক সম উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। অর্থাৎ তাহতাছ ছারা থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত যে পরিমাণ জায়গা ঠিক আরশে আযীম থেকে সেই পরিমাণ উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। যা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম হওয়া মাত্র সৃষ্টি হয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-

كُنْ فَـيَكُوْنَ

অর্থ: হও, হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ইরশাদ মুবারক করেন-

هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ

অর্থ: (এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী অর্থ হলো) তিনি সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমান-যমীন ৬ দিনে। অর্থাৎ ৬ ধাপে সৃষ্টি করেছেন। (কারণ দিন তো তখন ছিলো না।) ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খলকের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!

এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেকে লিখেছেন- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে এ অর্থ গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত অর্থ গ্রহণ করলে এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছূরত বা আকার-আকৃতি রয়েছে বা তিনি বসা, শোয়া ও দাঁড়ানোর মুহতাজ। নাউযুবিল্লাহ!

অথচ মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি “আল্লাহ” শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।”

তাহলে তিনি বসা ও উপবেশন করার মুহতাজ হন কিভাবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলেই দিয়েছেন যে,

اَللهُ الصَّمَدُ

অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি (বসা, উপবেশন করা সহ) সবকিছু থেকেই বেনিয়াজ বা পবিত্র। সুবহানাল্লাহ!

 ঠিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া থেকেও পবিত্র। আসলে ইস্তাওয়ার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো সম্পর্ক নেই। মূল বিষয় হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে ‘আযীমকে আলমে খ¦লকের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি। এটাই হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানাল্লাহ। অন্য কোন অর্থ হবে না। আমি ইস্তাওয়া করবো। আমি উপরে উঠবো, বসবো এধরণের কোন অর্থই গ্রহনযোগ্য না।ি মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ছমাদ, বেনিয়াজ।

আমি ৬ ধাপে আসমান-যমীন সৃষ্টি করার পর আরশে আযীমকে আলমে খ¦লকের সর্বোচ্চ স্থানে স্থাপন করে আলমে খলক্ব ও আলমে আমরের মধ্যে পার্থক্য সূচনা করে দিয়েছি। এটাই হচ্ছে ইস্তাওয়া। সুবহানাল্লাহ!

যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَالْـجِبَالَ اَوْتَادًا

অর্থ: “পাহাড়কে আমি পেরেক হিসেবে স্থাপন করেছি।” যমীনকে স্থীর করার জন্য। আর আলমে খলক্ব ও আলমে আমরের পার্থক্য সূচনা করার জন্য আলমে খলকের সর্বোচ্চে আরশে আযীমকে আমি স্থাপন করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ!  (আদদুরারুল মুখতারাহ)

প্রথম আকাশে অবতরণ করা

৩। প্রকৃতপক্ষের সালাফী হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহের ক্ষেত্রে উলামায়ে সালাফের অনুসারী হওয়া আবশ্যক। কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজে নিজেদেরকে যারা ‘সালাফী’ বলে দাবি করে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ সম্পর্কে তাদের আক্বীদা উলামায়ে সালাফের সম্পূর্ণ পরিন্থী। যেমন:

পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে-

اِنَّ اللهَ تَـعَالٰى يَـنْزِلُ فِيْـهَا لِغُرُوْبِ الشَّمْسِ اِلَى السَّمَاءِ الدُّنْـيَا

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি বরাতের রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন।

এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার অবতরণ করা ছিফতটি সম্পর্কে পূর্ববর্তী প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিল- মহান আল্লাহ তাআলা তিনি স্বীয় শান অনুপাতে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। অর্থাৎ কোন ধরণের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও অবতরণের ধরণ ছাড়া এভাবেই বিশ্বাস করবে ও মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য ছাবেত মানবে।

তবে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফের সুন্দর ও সঠিক এবং বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক প্রথম আসমানে অবতরণ করেন, এর অর্থ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমতে খাছ নাযিল করেন।” সুবহানাল্লাহ!

পক্ষান্তরে এই ছিফত সম্পর্কে আমাদের দেশের জাল সালাফীদের আকীদা হচ্ছে: মহান আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে অবতরণ করা’ এটি কোন মানুষ সাত তলা বিল্ডিংয়ের ৭ম তলা থেকে ১ম তলায় অবতরণ করার ন্যায়। নাউযুবিল্লাহ! তাদের এই আক্বীদাটি হুবহু ‘মুশাব্বিাহা’ নামক ভ্রান্ত ফিরকার আক্বীদার সাদৃশ্য। এতে স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয় যে, এ দেশের নামধারী সালাফীরা প্রকৃত সালাফী নয়; বরং জাল সালাফী। যাদের আকীদা-বিশ্বাস খুবই আপত্তিজনক অর্থাৎ কুফরীমূলক।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তার ভ্রমণ কাহিনীতে একটি ঘটনা লিখেছেন। ঘটনাটি হলো- তিনি ভ্রমণকালে একদা দামেস্কের জামে মসজিদে জুমুআর নামায পড়ার জন্য প্রবেশ করলেন। দেখলেন, নামাযান্তে এক ব্যক্তি মিম্বরে বসে বক্তৃতা করছেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে তার বক্তৃতা শুনছিলেন। বক্তৃতার মধ্যে লোকটি একটি হাদীছ শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, শেষ রাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। একথা শোনা মাত্র শ্রোতাদের থেকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলো: মহান আল্লাহ পাক তিনি অবতরণ করেন কিভাবে? লোকটি মিম্বর থেকে নিচে নেমে এলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহ পাক এভাবে অবতরণ করেন, যেভাবে আমি মিম্বর থেকে অবতরণ করলাম। ইবনে বতুতা লেখেন, তখন লোকজন লোকটিকে গণধোলাই দিল। ইবনে বতুতা উপস্থিত লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কে এই ব্যক্তি? তারা বলল, সে ইবনে তাইমিয়া। (তুহফাতুল আলমাঈ)

বর্তমানে আমাদের দেশের নামধারী সালাফীরা ইবনে তাইমিয়ার এই দর্শনেই বিশ্বাসী। এই ঘটনা থেকে অনুমিত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফাতের ক্ষেত্রে এসব সালাফীদের কেমন ভ্রান্ত আক্বীদা রয়েছে।

মূল কথা হলো- বাতিল ফিরক্বা লা মাযহাবী বা তথাকথিত সালাফীদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের মতই ছূরত বা আকার-আকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অধিকারী। নাউযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে প্রকৃত সালাফী বা চার মাযহাব অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَجَوْهَرٍ وَعَرْضٍ وَتَصْوِيْرٍ وَتَـعْدِيْدٍ وَتَـبْعِيْضٍ وَتَجْزِئٍ وَتَـرْكِيْبٍ وَتَـنَاهِيٍّ وَتَحْدِيْدٍ

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া থেকে, পরিধি বা ব্যাস বা বস্তু বিশিষ্ট হওয়া থেকে, আকৃতি থেকে, সংখ্যা থেকে, টুকরা টুকরা হওয়া থেকে, অংশ হওয়া থেকে, সম্মিলিতরূপ হওয়া থেকে, না হওয়া থেকে, সীমা শেষ হওয়া থেকে ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকেই পবিত্র । সুবহানাল্লাহ!

টাকার লোভেই লা মাযাহাবীরা নিজেদেরকে ‘সালাফী’ নামে পরিচয় দেয়

সৌদি আরবসহ আরব ভূমিতে যখন অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটলো তথা পেট্রোল উৎপাদন শুরু হলো, তখন থেকে হঠাৎ করে ভারতবর্ষের গায়রে মুকাল্লিদ ও লা-মাযহাবীরা অর্থনৈতিক সুবিধাভোগের আশায় নিজেদেরকে নতুন করে ‘সালাফী’ বলা ও লেখা শুরু করলো। অথচ এর পূর্ব পর্যন্ত তারা নিজেদেরকে আক্বীদার ক্ষেত্রে আশআরী (হযরত আবুল হাসান আশআরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাসলাক) বলে দাবি করতো ও লেখতো।

মোটকথা, সৌদি আরবের তেল বিক্রির রিয়ালের লোভে পড়েই তারা ‘আশআরী’ নাম ছোঁড়ে ফেলে দিলো এবং নিজেদেরকে সালাফী বলা ও লেখা আরম্ভ করল। ধোকায় ফেললো আরব বিশ্বকে। তারা ধোকা খেয়ে সত্যিই ধরে নিলো, এরাও বুঝি আমাদের মধ্যে ‘সালাফী’। অথচ এরা নকল সালাফী: প্রকৃত সালাফী নয়। উল্লেখ্য, যারা প্রকৃতপক্ষে সালাফী তারা মাযহাব মানাকে ফরয মনে করেন, হারাম ও শিরিক মনে করেন না।

কিন্তু অবাক লাগে! বর্তমানে আমাদের ভারত উপমহাদেশে ‘সালাফী’-এর সংজ্ঞা বা পরিচিতি হলো- যে মাযহাব অমান্য করবে এবং মাযহাবের প্রতি যত বেশি কটূক্তি করতে পারবে সে-ই প্রকৃত সালাফী। নাউযুবিল্লাহ! তাদের আকীদা-বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন! কাজেই ভারতবর্ষের নবজন্মা এই লা মাযহাবী সম্প্রদায় প্রকৃত সালাফী নয়। এই সালাফী সে যুগের সালাফী নয়। অতএব তারা নিজেদেরকে ‘সালাফী’ বলে দাবি করা সুস্পষ্ট প্রতারণা।

তাছাড়া প্রকৃতপক্ষের সালাফী হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে সলফে ছালেহীনের অনুসরণ করা। আর আমাদের দেশের নামধারী সালাফীরা আকীদা-বিশ্বাস ও আমল-আখলাক কোন ক্ষেত্রেই সলফে ছালেহীন তথা পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে না। বাংলাদেশের তথাকথিত আহলে হাদীছ তথা লা-মাযহাবী মতবাদের মুখপাত্র, আসাদুল্লাহ গালিব কর্তৃক রচিত “আহলে হাদীছ আন্দোলন কি ও কেন” বইয়ের বিবরণে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। সে এই কিতাবের ৪ ও ১৩ নং পৃষ্ঠায় লিখেছে যে, “আহলে হাদীছ আন্দোলন পূর্ববর্তী কোন ব্যক্তিবর্গের আনুগত্যের নাম নয়; বরং একমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ইত্তিবা করার নাম।”

কাজেই আমাদের দেশের এই দলটি নিজেদেরকে ‘সালাফী’ নামে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ ধোকা ও মারাত্মক প্রতারণা।

অতএব একথা দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয় যে, চার মাযহাবের চার ইমামের সকলেই সালাফ তথা পূর্বসূরী অনুসৃত লোকদের অন্তর্ভূক্ত। কাজেই বর্তমানে যারা এই চার ইমামের মতাদর্শ ও মতামত বা মাযহাব মেনে চলছেন, তারাই ‘প্রকৃত সালাফী’ বলে দাবি করার অধিকার রাখেন। পক্ষান্তরে যারা পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে না, অথবা তাদের সমালোচনা করে কিংবা তাদের অনুসরণ পরিহার করে পরবর্তী যুগের কোন ভ্রান্ত মনীষী বা স্কলারের অনুসরণ করে, তারা কোন ক্রমেই “প্রকৃত সালাফী” বলে দাবি করার অধিকার রাখে না; বরং তারা ‘জাল- সালাফী’। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হলো যে, লা মাযহাবীরা আসলে বাতিল ফিরক্বা মুশাব্বিহা ফিরক্বার অংগ সংগঠন। অর্থাৎ এরাও বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩৫তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬২তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩৭)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-১৪)

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (১২)