অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে ক্বতল করা ওয়াজিব

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে ক্বতল করা ওয়াজিব


১১১ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম ও হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান শান বা মর্যাদার খিলাফ আচরণ যারা প্রকাশ করবে, উনাদের সম্পর্কে কটুক্তি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করবে, অবমাননাকর বা অসম্মানসূচক বাক্য ব্যবহার করবে, এরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, এরা ঈমানদার হিসেবে, মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না, এদের তওবা নছীব হবে না, এদেরকে ক্বতল করা ওয়াজিব। এরা দুনিয়া ও  আখিরাত উভয়কালে লা’নতপ্রাপ্ত এবং এরা চিরজাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

এতদসম্পর্কিত বিষয়ে অনুসরণীয় সম্মানিত মাযহাব চুতষ্ঠয়ের ফতওয়া উল্লেখ করা হলো।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া

আল্লামা খইরুদ্দীন রমলী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘ফতওয়া বাযযাযিয়ার’ মধ্যে উল্লেখ করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে গালমন্দকারীকে কতল করা আবশ্যক। তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবেই না। তাই গ্রেফতারের পরে কিংবা পূর্বে যথাযথভাবে তওবা করুক। কেননা এরা যিন্দীকের হুকুম রাখে। আর যিন্দীকের তওবা কোনক্রমেই ধর্তব্য নয়। আর এ ক্ষেত্রে কোন মুসলমানের মতানৈক্যের  কল্পনাও করা যাবে না। এ অপরাধের সম্পর্ক হক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক্বের সাথে সম্পৃক্ত। যা কেবল তওবা দ্বারা মাফ হয় না। এটাই খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার মতামত। যা ইমামে আ’যম ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযহাব উনারও মত।

সম্মানিত মালিকী মাযহাব উনার ফতওয়া

হযরত ইবনে কাসিম মালেকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে ঐ হতভাগা খৃষ্টানের ব্যাপারে ফতওয়া চাইলাম যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে কটুক্তিকারী এক কুলাঙ্গার প্রমাণসহ ধরা পড়েছে। সে বলেছিল “ঐ ফকীর … (এমন বাক্য উচ্চারণ করে যা সত্যিই লোমহর্ষক তাই তা উল্লেখ করা হলো না)”

এ কথা শুনে হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, তার গর্দান উড়িয়ে দাও। (আশ শিফা দ্বিতীয় খ- ৪৫২ পৃষ্ঠা)

সম্মানিত শাফিয়ী মাযহাব উনার ফতওয়া

হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গাল-মন্দ করার দ্বারা ওয়াদা ভঙ্গ হয়ে যায়। এ শ্রেণীর লোকদের ক্বতল করা অপিরহার্য। তিনি উনার কিতাব ‘আদ্দম’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, মুসলিম দেশে বসবাসকারী কাফিরদের করের চুক্তিনামায় সাক্ষর করার সময় মুসলিম বিচারক এ কথাটি লিখে দিবেন যে, তোমাদের কেউ যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিংবা যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং সকল মুসলমান উনাদের থেকে তার নিরাপত্তা রহিত হয়ে যাবে। তার জান-মাল মুসলিম শাসকের জন্য হালাল হয়ে যাবে। (আসসারিমুল মাসলূম ৩৪)

 

সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার ফতওয়া

হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে যে ব্যক্তি গালি দিবে কিংবা কটাক্ষ করবে চাই সে মুসলিম হোক বা কাফির, তাকে কতল করা ওয়াজিব। শুধু তাই নয়, উক্ত মাযহাব উনার সর্বসম্মত মতে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে গালি দেয়ার শাস্তিও একইরূপ অর্থাৎ তাদেরকেও ক্বতল করা ওয়াজিব। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের কটাক্ষ করার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশেরই প্রতি কালো দাগ পড়ে। নাউযুবিল্লাহ!

একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারেও কেউ অপবাদ দিলে, গালমন্দ করলে সেও ক্বতলের যোগ্য এবং তার তওবা কবুল হবে না।


– আল্লামা মুফতী আহমদ আবূ খুবাইব

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ১৯তম পর্ব

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহা পবিত্র ১২ই শরীফে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এমতটিই সবেচেয়ে মাশহূর, ছহীহ ও দলীলভিত্তিক

মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত পরিচিতি মুবারক

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করার ব্যাপারে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাত ওয়াস সালাম উনার এক অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত তাজদীদ মুবারক

হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরমুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সম্বলিত পবিত্র কালিমা শরীফ যা পবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমানিত