আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

كان خلق نبى الله القران.

অর্থ: হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র মুবারক ছিল হুবহু কুরআন শরীফ।

 আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তাঁর পূতঃ পবিত্রা আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে সর্বাবস্থায়ই উত্তম ব্যবহার করতেন। তাঁদেরকে সাহচর্য ও মানসিক শান্তি প্রদান করতেন। আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের শিশুদেরকে এনে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর কাছে ছেড়ে দিতেন আদর সোহাগ করার জন্য। হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যে পাত্রে পানি পান করতেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সেই পাত্রে মুখ মুবারক লাগিয়ে পানি পান করতেন এমনকি যেখানে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা মুখ মুবারক লাগাতেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ঠিক সেখানেই মুখ মুবারক লাগাতেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিসওয়াক করতে চাইলে মিসওয়াকখানা প্রথমে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর হাত মুবারকে দিতেন। তিনি নিজের মুখ মুবারক দিয়ে চিবিয়ে মোলায়েম করে দিলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাত মুবারক থেকে নিয়ে মিসওয়াক করতেন। এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের মুহব্বত ও হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসার নিদর্শন। রোযাদার থাকা অবস্থায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর জানু মুবারকের উপর হেলান দিতেন এবং তাঁর মুবারক বুছা গ্রহণ করতেন।

একদিনের ঘটনা: হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু-এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করলেন। হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে দৌড়ে জিতে গেলেন। কিছুদিন পর আবার দৌড় অনুষ্ঠিত হলো। এবার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে হারিয়ে দিলেন। প্রথম দৌড়ে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা জিতে যাওয়ার কারণ এই ছিলো যে, তখন তাঁর শরীর মুবারক স্বাভাবিক ধরনের ছিলো। আর পরের বার যেহেতু তুলনামূলকভাবে আগের চাইতে বেশি স্বাস্থ্যবতী হয়ে গিয়েছিলেন, তাই দৌড়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয়বার দৌড়ে হেরে গেলে নবী করীম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, প্রথম বারে হেরে গিয়েছিলাম। দ্বিতীয় বারে জিতে তার বদলা নিলাম।

একদিন হযরত সাওদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য শুরবা নিয়ে এলেন। হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হযরত সাওদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বললেন, আপনিই পান করুন। কিন্তু তিনি তা পান করলেন না। হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা পুনরায় তাঁকে বললেন, আপনি এ শুরবা পান করে ফেলুন, নতুবা আমি নিজেই আপনাকে খাওয়ায়ে দিবো। তিনি তাতেও পান করলেন না। এরপর হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হযরত সাওদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে উক্ত শুরবা নিজ হাত মুবারক-এ খাওয়ায়ে দিলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দেখে হাসছিলেন। তিনি হযরত সাওদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বললেন, ঠিক আছে তুমিও তাঁকে খাওয়ায়ে দাও। হযরত সাওদা রদ্বিয়ল্লাহু তায়ালা আনহাও হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে উক্ত শুরবা খাওয়ায়ে দিলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দেখেও পুনরায় হেসে উঠলেন।

আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের প্রতি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আচরণ এমন ছিলো যে, তিনি তাঁদের উপর শরীয়তের আহকাম ও আদল প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে নেহায়েত মোলায়েম ও নম্রতার ব্যবহার করতেন।

কোন ব্যক্তি যদি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবন সম্পর্কে নিগুঢ়ভাবে চিন্তা করে যে তিনি পরিবার-পরিজন, ছাহাবী, ফকীর-মিসকীন, ইয়াতীম, বিধবা, মেহমান, আগন্তুক ইত্যাদির প্রতি কি রকম আচরণ করতেন- তাহলে জানতে পারবে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জ্যোতির্ময় অন্তরে নম্রতা ও দয়া মেহেরবানী-এর এমন এক অবস্থা বিরাজিত ছিলো যা অন্য কোন কারো ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না। তার পাশাপাশি শরীয়তের হদ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তিনি এত কঠোর ছিলেন যে, কেউ সে সীমায় পৌঁছতে কখনো সক্ষম হবে না। তাঁর আখলাক্ব ও আমলসমূহের নিগুঢ় তত্ত্বে পৌঁছা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কেননা তাঁর আমল ও আখলাক্ব সম্পূর্ণই মু’জিযা এবং নুবুওওয়াতের নিদর্শন।

মুছাম্মাত উম্মে ইরফান।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

হাবীবুল্লাহিল মান্নান, দ্বীনুহূ খইরুল আদইয়ান, কুছূরুহুল জিনান, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মরণ ব্যতীত নামায আদায় অসম্ভব