আজকের বিজ্ঞাপনের তথাকথিত মডেলরা কী আসলে দেহব্যবসায়ীই নয়!?

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেহব্যবসা সম্পর্কে আমাদের সংবিধানে ফৌজদারী দ-বিধিটিতে আসলে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ নেই। তবে সামাজিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের দেশে দেহব্যবসা খুবই ঘৃণিত একটি বিষয়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে তা আরো মারাত্মক ঘৃণিত বিষয়।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ!

তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না।”

উল্লেখ্য, তারপরও আমাদের সমাজে এখন লক্ষ-কোটি দেহব্যবসায়ী অবাধে বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের গোটা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সবাই যেন পুরোটাই এ ঘৃণ্য দেহব্যবসায়ী নির্ভর হয়ে পড়েছে। আজকে সুই থেকে সিমেন্ট পর্যন্ত সব পণ্যের বিজ্ঞাপনেই সুন্দরী নারী। আর তাও শালীনভাবে নয় বরং দেহ প্রদর্শনীর ভঙ্গি। দুঃখজনক হলেও সত্য- বলতে গেলে একেবারেই বিবস্ত্র ভঙ্গি।

এদেরকে ভদ্রভাষায় বলা হচ্ছে মডেল। বিজ্ঞাপনের মডেল। কিন্তু এই মডেলরা করছেটা কি? তারা নিজেদের রূপ আর দেহই প্রদর্শন করছে। যে পণ্যকে ঘিরে তাদের প্রদর্শনী সে পণ্যের চেয়ে তাদের দেহ প্রদর্শন অনেক বেশি।

তাহলে বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে কি? তারা সবাই আসলে দেহ ব্যবসায়ী।

কেউ একটু গভীরভাবে, কেউ আরো বেশি গভীরভাবে। তবে ইদানিংকালে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট হচ্ছে যে, এসব মডেলিং করাতে পারলে দেহ ব্যবসায় রেট বেড়ে যায়। (নাঊযুবিল্লাহ)

ইদানিংকালে অবশ্য দু’চারটা মডেল শুধু দেহব্যবসায়ী আর রক্ষিতা হিসেবেই নয়; সাথে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও ধরা পড়ছে। মূলতঃ গণতন্ত্রের পাগলা আবহাওয়ায় এমনটি সম্ভব হচ্ছে।

পাগলরা বুঝতে পারছে না গোটা দেশটাই আজ যেন দেহব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। এই দেহব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্তর্গত আছে অপেশাদাররাও।

তারা টাকা না নিলেও পুরুষের আনাগোনা করাতে সর্বোতই আগ্রহী।

কাজেই সত্যিকার অর্থে এরাও দেহব্যবসায়ী। অথচ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা জাহিলিয়াতের ন্যায় তোমাদের সৌন্দর্যকে প্রদর্শন করো না।”

কিন্তু আল্লাহ পাক-এর যে অমোঘ আদেশকে অমান্য করে পত্র-পত্রিকাগুলো এখন হয়ে উঠেছে দেহ ব্যবসায়ীদের প্রচারণার পত্রিকা।

সম্প্রতিককালে সবগুলো দৈনিকেই এ ধারার বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছে।

অথচ প্রতিটি পত্রিকা এবং খোদ সরকারের পক্ষ থেকেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে অশ্লীলতা বন্ধ করার জন্য। এই কি তবে অশ্লীলতা বন্ধের নমুনা? আর তা কি শুধু বুলি আওড়ানোতেই সীমাবদ্ধ?

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশের সরকারকে অবশ্যই পেশাদার, অপেশাদার দেহব্যবসায়ীদের দেহ প্রদর্শনী বন্ধের আশু ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

মুহম্মদ জিসান আরীফ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।