আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যারা মানহানি করার অপচেষ্টা করে, যারা তাঁর বিরোধিতা করে বা তাঁর মুবারক শানে মিথ্যা রটনা করে, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে এরা সৃষ্টির সর্ব নিকৃষ্ট কাফির এবং এদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, নূরে মুকাররম, খলীফাতুল মুসলিমীন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশেষ আলোচনা মজলিসে একথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিন্দুতম চু-চেরা ও কিল-কাল করে তাঁরা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত। এরা জাহান্নামের কীট, সৃষ্টির সর্ব নিকৃষ্ট প্রাণীর চেয়েও এরা নিকৃষ্ট মুরতাদ। এদের একমাত্র শাস্তি কতল বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আরো বলেন, কোনো লোকের বাবা-মাকে যদি কেউ গালি দেয় তাহলে কেউ কী সেটা মেনে নিবে? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যিনি নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, যাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না, যিনি সমস্ত সৃষ্টির মূল, আল্লাহ পাক-এর পরেই যাঁর স্থান, তাঁর মুবারক শানে যখন গালি দেয়া হয় তখন বিশ্বের ২৫০ কোটির অধিক মুসলমান সেটা কী করে মেনে নিতে পারে?
মূলতঃ যাদের অন্তরে বিন্দুতম ঈমানও রয়েছে তাঁদের পক্ষে কস্মিনকালেও এটা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। কাজেই, এদেশের সরকার এবং পনের কোটি মুসলমানসহ বিশ্বের ২৫০ কোটিরও অধিক মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হল এ শ্রেণীর মুরতাদদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করা। অন্যথায় ক্বিয়ামতের ময়দানে তারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুপারিশ এবং হাউজে কাওসারের পানি পাবে না। পরিণতিতে তাদের জায় ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর, হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না, হযরত আহলে বাইত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মুবারক শান-এর খিলাফ বক্তব্য প্রদান করে, লিখে, আমল করে এদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; এটা যতদিন তারা তওবা না করবে ততদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে এসব কাফির-মুরতাদদের কতলকারীকে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং এদেরকে এখন কোন কারণে হত্যা করা না গেলেও পঞ্চাশ বছর পর হলেও এদেরকে হত্যা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং আল্লাহ পাক মুসলমানদের ঈমানী কুওওয়াত ও জজবা দান করুন যাতে সারা দুনিয়া থেকে এসব কাফির-মুশরিকদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়।
উল্লেখ্য, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যঙ্গ চরিত্রে ব্যবহার করে লিখিত ‘মান্দার’ নাটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধূমকেতু নাট্য সংসদের উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক মঞ্চায়ন করার প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকা, থানা ও জেলা পর্যায়ে এসব মুরতাদদের ফাঁসির দাবিতে সভা অব্যাহত রয়েছে। এসব প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না, হযরত আহলে বাইত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ-এর শান-মান এর খিলাফ যারা বলবে, লিখবে, আমল করবে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তথা ফাঁসির দাবি করেন এবং এদের ফাঁসির জন্য আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০