আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিক-নির্দেশনা মুবারক

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِـىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.

অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত মুবারক করে থাক, তাহলে আমার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের এবং ইহকাল-পরকালে নাজাত ও হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভের একমাত্র পথ হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুকসরণ-অনুকরণ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুকসরণ-অনুকরণ করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক এবং ইহকাল-পরকালে নাজাত ও হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভ করতে পারবে না। তাই সমস্ত জিন-ইনসানের জন্য ফরয হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ حَضْرَتْ عَلِـىَّ بْنَ اَبِــىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَقُوْلُ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْ خُلَفَائِـىْ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ خُلَفَاؤُكَ قَالَ الَّذِيْنَ يَاْتُوْنَ مِنْۢ بَعْدِىْ يَرْوُوْنَ اَحَادِيْـثِـىْ وَسُنَّتِـىْ وَيُعَلِّمُوْنَـهَا النَّاسَ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেছেন, (একবার) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে) বের হয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! (দয়া করে,) আপনি আমার মহাসম্মানিত খলীফাগণ উনাদের প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার খলীফা কারা? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাঁরা আমার পরে এসে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহ বর্ণনা করবেন, প্রচার-প্রসার করবেন এবং মানুষদেরকে সেগুলো তা’লীম তথা শিক্ষা দিবেন।” (শরফু আছহাবিল হাদীছ ১/৩০, ‘নাশরু ত্বইয়িত্ তা’রীফ ১/৩৬, আত্ তা’দীল ওয়াত্ তাজরীহ্ ১/২৭-২৮)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রায় ১৪ শত বছর পর দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে উনার একক এবং অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হয়ে বিলুপ্ত সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জারী করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত খলীফাগণ উনাদের মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২৬শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪১ হিজরী ইয়াওমুল জুমুয়া শরীফ জুমুয়ার আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা একটা স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। জুমাতে বলা হয়নি। রাতে (২৩শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ) বলা হয়েছিলো। যে, আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম (২২শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪১ হিজরী ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ সকালে), যিনি আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি অনেক বড় বুর্যূগ, ওলী আল্লাহ। তিনি একটা বড় মজলিস করতেছেন। অনেক বড় মজলিস! সেখানে তিনি আর্ন্তজাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করতেছিলেন- এটা যে করা হয়েছে, এটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কিভাবে করতে হবে, এটার একটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম, পরিকল্পনা করতে হবে। আমি কিন্তু সেখানে ছিলাম না। আমি দূরে ছিলাম। আমাদের একজন লোক সে ছিলো। তখন আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আমার কথা জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কোথায়? ঐ ব্যক্তি বললেন, উনি আছেন একখানে। একটা প্ল্যান, পরিকল্পনা করতেছেন। আমি তখন আসলাম। উনার সামনে আসলে, তিনি বললেন, এটার কোনো প্ল্যান-পরিকল্পনা করা হয়েছে কি? যে কিভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়ানো যাবে? আমি বললাম, আমি কোশেশ করতেছি, চেষ্টা করতেছি। বললেন, এই বিষয়টা রূহানী জগতে খুব আলোচিত হচ্ছে। তাই তিনি আলোচনা করলেন। আলোচনা হয়ে গেল। এরপর তিনি বাহিরে বের হয়ে আসলেন। মজলিস শেষ হলো। বাহির হয়ে কোথাও যাবেন, আমিও উনার সাথে। কিন্তু আমি বের হয়ে দেখলাম, তিনি আর সেখানে নেই। ওখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ঐ দিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতিক্রম শান মুবারক-এ দেখলাম। দেখলাম, তিনি অনেক উঁচু এবং অনেক লম্বা। আমি উনার সাথে কিছু দূর আসার পরে, তিনি আমাকে বলতেছেন যে, এই পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র সারা পৃথিবী ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন কিভাবে, তাহলে প্ল্যান-পরিকল্পনা করতে হবে। তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) রেখে বললেন, তাহলে তাড়াতাড়ি করতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আমাকে বললেন, আমি শুনলাম। আমি বললাম, হ্যাঁ, করবো। ‘এখন উনাদের রহমত-বরকত, সাকীনা ছাড়া সেটা সম্ভব না’ আমি সেটা বললাম। যখন স্বীকার করলাম, তিনি খুব খুশি হলেন। এরপরে তিনি অদৃশ্য হয়ে অর্থাৎ গায়েব হয়ে গেলেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

-মুহম্মদ আব্দুর রশীদ।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে