* রাজাকার জামাতীরা সারাজীবন ‘আল্লাহ পাককে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী’ বলে, লিখে নির্বাচনে তা বিক্রি করে কাট্টা ধর্মব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছে।
* ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা নির্বাচনের জন্য ‘আল্লাহ পাক-এর আইন চাই’ সে কথা বিক্রি করে দিয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
* ধর্মব্যবসায়ী ও রাজাকার জামাতীরা মন্ত্রী-এমপি হবার জন্য ‘আক্বিমুদ্দীন’ শব্দ বিক্রি করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
* ধর্মব্যবসায়ী ও রাজাকার জামাতীরা মন্ত্রী-এমপি হবার জন্য তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ‘ইসলামের সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েমের কথা’ বিক্রি করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
* রাজাকার জামাতীদের মুরতাদী ও ধর্মব্যবসা সম্পর্কে পাঁচশ’-এর বেশি বই লেখা হয়েছে।
* ধর্মব্যবসায়ী ও রাজাকার জামাতীরা নির্বাচনের জন্য ‘আল্লাহ’ ‘আক্বিমুদ্দীন’ এবং ‘দাড়িপাল্লার’ সমন্বয়ে তৈরি লোগো বিক্রি করে দিয়েছে।
* ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা এ যাবত প্রচারিত ‘জাহিলিয়াতের যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ’ বাক্যাংশও বিক্রি করে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদে পরিণত হয়েছে।
* ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ প্রচার করলেও ২০২০ সালের মধ্যে নিজেদের দলের মধ্যেই ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব অন্তর্ভুক্তির ওয়াদা দিয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
* রাজাকার জামাতীদের গঠনতন্ত্রের ২ ধারার ৫ উপধারায় লিখা ছিলো, ‘আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহাকেও বাদশাহ, রাজাধিরাজ ও সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানিয়া লইবে না। কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইন প্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে। কেননা সমগ্র রাজ্যের নিরঙ্কুশ মালিকানা ও সৃষ্টিলোকের সার্বভৌমত্বের অধিকারী আল্লাহ ব্যতীত অপর কাহারো আসলেই নেই।‘
কিন্তু সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আল্লাহ পাক সম্পর্কে, ইসলাম সম্পর্কে উপরোক্ত আক্বীদা ও বিশ্বাস বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা প্রকাশ্যে মুরতাদে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা স্বল্প মূল্যে আমার আয়াত শরীফকে বিক্রি করো না।”
কিন্তু জঙ্গি-জামাতীরা সামান্য মন্ত্রী, এম.পি হবার লক্ষ্যে তাই করেছে। এসব ধর্মব্যবসায়ী সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যেন তাদের ধর্মব্যবসায় বরকত না দেন।” জঙ্গি-জামাতী ও খারেজী-ওহাবীদের সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত সে বদদোয়া অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
আল্লাহ পাক-এর আইন উঠিয়ে দিয়ে, বাদ দিয়ে, ইসলাম বিক্রি করেও তারা নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়েছে। তাদের মন্ত্রী, এম.পি হবার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে।
অপরদিকে কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা আলে ইমরানে’ বর্ণিত রয়েছে, “যারা ঈমান আনার পর অস্বীকার করেছে এবং অস্বীকৃতিতে বৃদ্ধি ঘটেছে, কস্মিনকালেও তাদের তওবা কবুল করা হবে না। আর তারা হলো গুমরাহ। যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কুফরী করেছে এবং কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।”
আয়াত শরীফ-এর প্রেক্ষিতে দুনিয়াতে জঙ্গি-জামাতীদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার আশা গুড়ে যেমন বালি পড়েছে তেমনি আল্লাহ পাক-এর আইন বাদ দিয়ে, ইসলাম বিক্রি করে, প্রকাশ্য ও কাট্টা কুফরী করে তারা যে দুনিয়াতেই তাদের চির জাহান্নামী হওয়ার পথ প্রশস্ত করে নিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। (নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক)
মুহম্মদ আরিফুল্লাহ
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০