কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক হক্ব এবং নাহক্ব পার্থক্য করা ব্যতীত ছাড়বেন না।
প্রসঙ্গতঃ জামাতে মওদুদীর নাহক্ব হওয়ার যাবতীয় বিবরণের ক্ষেত্রে এমন কিছু নেই যা আর প্রকাশ বাকী রয়েছে।
তবে জামাতে মওদুদীরা ভীষণ ধুরন্ধর। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তারা ধোঁকাবাজি করল আর আল্লাহ পাক হিকমত করলেন; আল্লাহ পাক হলেন উত্তম হেকমতওয়ালা।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ধুরন্ধর জামাতীরা মওদুদীকেই তাদের চরম-পরম গুরু মানে, তাকেই অনুসরণ করে, তার নীতি অনুযায়ী চলে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রচারিত ইসলাম বাদ দিয়ে তারা মওদুদীর ইসলাম কায়েম করতে চায়। তা তারা এখন রাখ-ঢাক করে রাখে। মুখে স্বীকার করে না। প্রচার করে না।
কিন্তু কুদরত আল্লাহ পাক-এর। কারামত মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর। তাঁর বেমেছাল ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরীতে ঠিকই রয়ে গেছে জামাতীদের মওদুদী ইসলাম গ্রহণ ও প্রচারের স্বীকারোক্তি ও প্রমাণ যা নিচে উল্লেখ করা গেল-
৩০শে সেপ্টেম্বর ’৯১ ঢাকার মগবাজারস্থ ‘আল ফালাহ’ মিলনায়তনে ‘জামাতে ইসলামীর ৫০ বছর পূর্তি সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়, ইহাতে জামাতে ইসলামী নামের আসল চেহারা পুনরায় ভেসে উঠেছে। সেমিনারে পরিবেশিত বক্তব্য প্রমাণ করে- তারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম চায় না। তারা- ইসলামের নামে মওদুদীর চিন্তাধারা যা খোদা প্রদত্ত ইসলাম হতে পৃথক তথা মওদুদী ইসলাম উহাই বাস্তবায়িত করতে চায়, মওদুদী ইসলামই প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
* জামাতে ইসলামীর সাবেক আমীর, বর্তমান আমীর ও ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের স্বীকারোক্তিতে বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়-
* ‘জামাতে ইসলামী ও মাওলানা মওদুদী এক ও অভিন্ন’। (অধ্যাপক গোলাম আযম, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ৪ঠা অক্টোবর, ’৯১ইং)
* মওদুদী চিন্তা ধারার স্বর্ণ ফসল জামাত। (জনাব আব্বাস আলী খান, সোনার বাংলা, ৪ঠা অক্টোবর, ’৯১ ইং)
* কুরআনকে বর্তমান যুগোপযোগীরূপে উপস্থাপন করেছেন মাওলানা মওদুদী। (অধ্যাপক গোলাম আযম, দৈনিক ইনকিলাব, ১লা অক্টোবর, ’৯১ ইং)
কুরআন শরীফকে যুগোপযোগী করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। কুরআন শরীফ সর্বযুগ ও সর্বকালের চাহিদা মিটাতে সক্ষম। কুরআন শরীফ আল্লাহ পাক প্রদত্ত শাশ্বত চিরন্তন বিধান। কুরআন শরীফকে যুগোপযোগী করা- কুরআন করীমে হস্তক্ষেপ করা- পরিবর্তন করারই নামান্তর।
* আল্লাহ মানব জাতির উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য দিয়েছেন কুরআন। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে কুরআনের আসল রূপ বাস্তবায়ন করেছেন মাওলানা মওদুদী। (অধ্যাপক গোলাম আযম)
* ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের ইচ্ছা থাকলে মাওলানা মওদুদীর লিখা বই-পুস্তক অবশ্যই পড়তে ও বুঝতে হবে। (অধ্যাপক গোলাম আযম, দৈনিক ইনকিলাব, ১লা অক্টোবর, ৯১ইং)
* আধুনিক যুগে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে মাওলানা মওদুদীর তাফসীর পড়িতে হইবে। (অধ্যাপক গোলাম আযম, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ৪ঠা অক্টোবর, ৯১ইং)
* জনাব কামারুজ্জামান বলেছেন, ইসলামের জঞ্জাল নিষ্পত্তিতে মাওলানা মওদুদীর তাফসীর অনন্য সাধারণ। (সোনার বাংলা, ৪ঠা অক্টোবর, ৯১ ইং পূর্তি সেমিনারে বক্তব্য)
* এ শতাব্দীতে মাওলানা মওদুদী আল্লাহর একটি রহমত স্বরূপ। (দৈনিক সংগ্রাম, ১লা অক্টোবর, ১৯৯১ ইং)
বলাবহুল্য, এতথ্যগুলো আরো সমৃদ্ধরূপে প্রচারিত হয়েছে ‘দৈনিক আল ইহসান-এ প্রকাশিত “জামাতীদের ’৭১-এর রাজাকারগিরি, মুনাফিকী, হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতন এবং ইসলামের অবমাননা, ইসলাম বিরোধী ও মুরতাদী কর্মকা-সহ ইসলামের নামে নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসা সম্পর্কিত ক্রোড় পত্রে।” যা পৌঁছেছিল দেশের আনাচে-কানাচে তথা সর্বত্র। বলার অপেক্ষা রাখে না সে কারণেই জামাতের আজকের ভরাডুবি।
মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০