মুক্তির সংবাদ,
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ,
আজ পৃথিবীর ছামিয়ানা তলে সুন্নতী সওগাত,
এই নূরুন আলা নূর প্রলম্বিত উদ্ভবে ছদাক্বাত।
যবে দুনিয়ায় পাপাচারে আজ ভরপুর চৌদিক,
যবে ইনসাফ কাতরায় হায় নাজুকের নজদিক।
যবে দ্বীনদারী বিদয়াতে গ্রাস হাক্বীক্বত রহে চুপে,
যবে ইনসানী শান-মানসহ শরাফত রহে কেঁপে।
যবে উঁচু নিচু ভেদাভেদ প্রথা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে,
যবে দয়া-মায়া বোবা কান্নায় হাঁ হুঁতাশ করে পঠে।
যবে মানবতা ইবলীসি কলে ভুষি হয়ে গিরতেছে,
যবে জুলমাত নিত্যদিনের সাথী হয়ে ধমকিছে।
যবে সংঘাত সাংঘাতিকের চূড়ায় বসিয়া হরসে,
যবে সন্ত্রাস সন্ত্রাসিতেই মানবতা হায় নাশে।
যবে ইসলামী নামে উলামায়ে ‘ছূ’ করছে খবরদারী,
যবে বিদয়াতিরা বিদয়াতী কর্মে নিচ্ছে ঈমান কাড়ি।
যবে মুসল্লি তাছাল্লি ছুড়ে গ্রহে লয় রিয়াভাব,
করে উলামায়ে ‘সূ’রা কৌশলে হায় ফিরকায় ছয়লাব।
মোট কথা যবে স্নিগ্ধ শালীন ইনসানী জৌলুশ,
লয় খাকপর হায় মাথা আছড়ায়ে বিদগ্ধ ফার্নুশ।
যবে মুসলিম তাহজীব ভুলে রহে না ঐক্য রাহে,
যবে পৃথিবী ক্রন্দন করে শান্তি যে চাহে চাহে।
যবে পৃথিবীর প্রতি গায়ে গায়ে বসবাসে মুসলিম,
মানবেতরের তাবুর গর্ভে বেঁচে রহে কৃত্তিম।
তামাম বিশ্ব বিষিয়ে রইছে তাগুতি বেত্রাঘাতে,
রহে নিস্ফোস ইসলামী জোশ গ্রেফতারী পরওয়ানাতে।
দেখি চেয়ে হায় সবুজের গায় সোনার বাংলাদেশে,
তাগুতি তামাশা জোরছে চলিছে ইবলিসী ইজলাশে।
রহে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জাতি চরম নির্যাতনে,
হায় গুজরায় নতজানু হয়ে তাগুতের প্রশাসনে।
মায়ানমারসহ বাংলা আসাম গুজরাট কাশ্মির,
মুসলিমী খুনে রঞ্জিত রহে মুশরিকি জিঞ্জির।
এহেন নাজুক হারায়ে লাজুক কঠিনের দিকে চলে,
নেই থেমে নেই বাড়ছে ক্রমশ নির্মম উত্তালে।
তবে কী মু’মিন পাবে না মুক্তি?
নিরাশি সাগরে ডুবিছে উক্তি।
শক্তি সামর্থ্য পাবে না ফিরিয়া ধরণীর কোন কালে?
এমন গাছাড়া হাঁক ডাক দিয়ে রহিবে কী পয়মালে?
শুনো সংবাদ পেতেই আজাদ ওরে ও মুসলমান,
ওই ইহুদী নাছারা মুশরিকসহ নাস্তিক পেরেশান।
আজ মুসলিমী মহান ইমাম যমীনে তাশরীফান,
উনার প্রবল রোবের দাপটে তাগুতেরা হয়রান।
তিনি তো হলেন আওলাদে রসূল সাইয়্যিদী মহাবীর,
তিনি তো হলেন ইমামুল উমাম কুরাইশী আশকীর।
তিনি তো আলাল রসূলি দুলাল শাহানশাহ মহা নূর,
তিনি কারবালা ইমামুছ ছালিছি ওয়ারিশান বাহাদুর।
তিনি আল্লাহ পাক উনার খলীফা ধরার বেমেছাল শওকত,
তিনি বাতিলের বাকরোধকারী ইসলামী বরকত।
উনার দস্তে পুরো পৃথিবী রহে যে বিরাজমান,
উনার অঙ্গুলী হেলানে হাজির তামাম মুসলমান।
সেই সে ইমাম কারামে কারাম বাংলা রাজারবাগে,
নববী বলয়ে অবস্থানেন নুবুওওতী নাজ যোগে।
তিনিই মুজাদ্দিদ আ’যম রহমে আলম ইছলাহী আকবর,
তিনি শায়েখুল কবীর পীরানে পীর নিয়ামতে দুষ্কর।
তিনিই মোদের প্রাণপ্রিয় পীর রহমানী ছদাক্বাত,
উনার হুকুমে প্রাণ দিতে মোরা কসুরে রহি না কাত।
আমরা মুরীদ রাখছি উমিদ জীবনের প্রতি পদে,
মামদূহী নাজ রাখতে বিরাজ রহি রহি ইমদাদে।
মম মুল্লুকসহ কায়িনাত জুড়ে জানাচ্ছি আহ্বান,
আয় ফিরে আয় পথ ভোলা সব দুর্ভাগা ইনসান।
ওরে হুঁশিয়ার বেয়ারা বাঁদর ইহুদী ও মুশরিক,
খামোশ ওই ওহাবী শিয়া কাদিয়ানী নাস্তিক।
আমরা তোদের দুরভিসন্ধি দফা করবার লাগি,
ওই ঈমানদাররা ঈমানী তাকিদে হরদম রহি জাগি।
রহি স্বস্থির, অস্থির নহি মহতী মহলে হাজির।
যিকির আযকার তাওয়াজ্জুহ ফায়িযে ভরপুর দেহ নীড়,
মোরা মুসলিমী অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে চাহি,
ধরণীর সব প্রতি ইঞ্চিতে কভু ছাড় দিবো নাহি।
ওই আসছে রজব বরকতী মাস জজবাহী তাহমীদ,
তিনি খাজায়ে খাজেগাঁ গরীবে নেওয়াজ প্রচারেন তাওহীদ।
তিনি এক কোটি ওই বিধর্মীদের করে গো মুসলমান,
স্মরণীয় হয়ে বরণীয় রহেন জগতেই খ্যাতিয়ান।
তিনি মাহে রজবের চৌদ্দ তারিখ তাশরীফ ধরণীতে,
বিদায় সাতানব্বই ওই ৬ই রজব দীদারের পাল্কিতে।
উনারই পাক উত্তরসূরী মুজাদ্দিদে আ’যম আলমগীর,
তিনিই মোদের মামদূহ মহান মুক্তির তদবীর।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬