আশ্চর্য হলেও সত্য যে সব যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী । ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’ এ প্রতিশ্রুতির সরকারের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ দাবি- অবিলম্বে দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের বহিষ্কার করা হোক ।

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১০.০১.০৯ তারিখে “দৈনিক ইনকিলাব” পত্রিকায় ক্যাপশন দেয়া হয়: “টুঙ্গিপাড়ায় গতকাল বাদজুমা এক মিলাদ মাহফিল শেষে মোনাজাতে শরীক হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

 প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, এ ক্যাপশন এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রায় পনের কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি ও ধর্মীয় আচারের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। আর তা ঘটেছে তার মীলাদ শরীফ পাঠের মধ্য দিয়ে।

উল্লেখ্য, মীলাদ শরীফ পাঠ এ উপমহাদেশে ইসলামের আগমনকাল থেকেই প্রচলিত ও পঠিত হয়ে আসছে।

কিন্তু এরপরে যেখানেই ওহাবীরা গিয়েছে, সুযোগ পেয়েছে; সেখানেই তারা মীলাদ শরীফবিরোধী প্রচারণা ও তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এদিকে একটা প্রণিধানযোগ্য বিষয় হলো যে, এই ওহাবীরা ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ীদেরই কব্জা করে তাদের মাধ্যমে এদেশে ওহাবী মতবাদ প্রচার করিয়েছে ও করছে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ীরা সবাই এক জায়গায় এক। তাহলো- এরা সবাই মীলাদ শরীফ বিরোধী। এ ব্যাপারে তথাকথিত জামাতে ইসলাম ওরফে জামাতে মওদুদী, নেজামে ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস সবাই এক এবং একাট্টা।

অর্থাৎ যারা ধর্মব্যবসায়ী, যারা টাকার কাছে বিক্রি হয় তারা সবার কাছেই বিক্রি হয়।

ওহাবীরা তো নস্যি। তারা মূলতঃ খ্রিস্টান এমনকি ইহুদীদের কাছেও অনেক আগেই বিক্রি হয়ে আছে।  উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেও শেখ হাসিনা ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজ দায়িত্বে রেখেছিলেন। সেক্ষেত্রে যারা ধর্মের কালচারকে, ঐতিহ্যকে বিকৃত করার ব্যবসায় লিপ্ত তাদেরকে শায়েস্তা করাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধর্মপ্রাণদের একান্ত দাবি।

মুহতারামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রায় পনের কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের একান্ত দাবি যে, যেসব টিভি চ্যানেলে “মীলাদ শরীফ পাঠ, শবে বরাত পালন, কদমবুছী করা” ইত্যাদি ইসলামী ঐতিহ্যগত আমল তথা সুন্নতী আমল সম্পর্কে  বিষোদগার করা হয় তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাদের সে অপপ্রচারণা ও ধর্মের নামে বিকৃত প্রচারণা বন্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

কাজেই মুহতারামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশবাসী ধর্মপ্রাণদের একান্ত দাবি যে, দেশ থেকে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম বিরোধী সব মাওলানা নামধারীদের উৎখাত বা বহিষ্কার করা হোক। মীলাদ শরীফ পাঠে কিয়াম না করা ধর্মের খোলসধারী অধর্মকারীদের বিতাড়ন করা হোক। কারণ, খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, আশ্চর্যজনকভাবে এরা সবাই রাজাকার অথবা রাজাকার ঘরানার লোক, জঙ্গি অথবা ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ীর দল।

কারণ, ’৭১-এ তারা যুদ্ধাপরাধ করেছে। আর এখন তারা ধর্মাপরাধ করছে। ওহাবী-ইহুদী-খ্রিস্টানদের কাছে বিক্রি হয়ে ইসলামের মধ্যে ফিৎনা তৈরি করতে চাইছে। ইসলামকে বিকৃত করতে চাইছে। কাজেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশে ইসলাম নিয়ে এরূপ ষড়যন্ত্র মূলতঃ রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে।

মুহম্মদ আরিফুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।