আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম এই সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক সরাসরি সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে। তবে বিশেষভাবে উনার নিসবত মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে।” সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার জন্য যত ইলিম-কালাম, আক্বল-সমঝ এবং নিসবত মুবারক যা কিছু প্রয়োজন যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল উমাম তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছুই হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এরা লিখেছে- ‘হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনি মহিলাদের তা’লীম দেন, উনি মহিলাদের শায়েখ। আর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি পুরুষদের তা’লীম দেন, উনি পুরুষদের শায়েখ।’

তা’লীমের সাথে শায়েখের সম্পর্ক কি? হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কি একজনের জন্য? উনারা কি শুধু পুরুষের জন্য এসেছিলেন? উনারা তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্য। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) হযরত উম্মাহাতুল মু‘মিমীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নাকি একজনের জন্য? এরা তো কিছুই জানে না দেখা যায়। এরা আমার ওয়াজ শরীফ কিছুই শুনে না, শিখবে কোথা থেকে?

তোমরা জানো আমাকে? মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া আমি সবার শায়েখ। এটা মনে রাখবে, এটা মনে রাখবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) বড়পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- ‘আপনি কি সুলত্বনুল আরিফীন? গাউসুল আ’যম? মুজাদ্দিদুয যামান? কুতুবুল আলম? তিনি বললেন- ‘আরো উপরে, আরো উপরে, আরো উপরে।’ তোরা মনে রাখিছ- মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ছাড়া আমি সবার শায়েখ। মনে রাখিছ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর তোমরা যদি মনে করো- তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি আমার পরে ক্বয়িম মাক্বাম, তাহলে উনি তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই শায়েখ। (সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!) উনি পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সবার-ই শায়েখ। (সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!) মহিলারা খালি মহিলাদের শায়েখ হবে আর পুরুষরা পুরুষের শায়েখ হবে, এটা কোথায় আছে? হ্যাঁ? এরা তো পড়া-লেখা করে না। লেখা-পড়া করতে হবে।”

কাজেই, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম আর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম। (সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ছাড়া সবার শায়েখ। ঠিক তেমনিভাবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত শায়েখ। সুবহানা উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মাঝে কোনো পার্থক্য সূচনা করা যাবে না। উনাদের মাঝে এমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক যেমনটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ইরশাদ মুবারক করেন,

لِـىْ وَلَــنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِـىْ فِـيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّرْسَلٌ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার এবং আমাদের এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন, যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

কাজেই, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মাঝে কোনো পার্থক্য সূচনা করা যাবে না।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْـفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗۤ اُمَّهٰتُـهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন জান থেকে প্রিয়, ঠিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও জান থেকে প্রিয়। এটা যদি কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। বিশ্বাস করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৯ গুণ মুহব্বত করা হতো। আমাদের শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৩ গুণ বেশি মুহব্বত করতে হয়। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কয় গুণ মুহব্বত করতে হবে? তাহলে উনাদের ফযীলত কতটুকু?” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে দু’টি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বাধিক প্রিয়। উনাকে সমস্ত কিছু হতে সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করতে হবে। মনে প্রাণে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে মেনে নিতে হবে। উনার মুবারক শানে বিন্দু হতে বিন্দুতম মুহব্বত ও আদবের ঘাটতি হলে ঈমানদার থাকা সম্ভব হবেনা। দ্বিতীয়ত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও সর্বাধিক প্রিয়। উনাদেরকেও সবচেয়ে বেশী মুহব্বত করতে হবে। উনাদেরকেও মনে প্রাণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা হিসেবে মেনে নিতে হবে। উনাদের মুবারক শানে বিন্দু পরিমাণ বেয়াদবী করা ঈমানহারা ও লা’নতগ্রস্ত হয়ে চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। কাজেই, কথাবার্তা, চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, বলাবলি, লেখালেখিসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমগ্র জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মুবারক শানে সর্বোচ্চ আদব রক্ষা করা এবং প্রকাশ করা সকলের জন্যই ফরযে আইন বা অত্যাবশকীয়।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

ঠিক একইভাবে উনাদের ক্বায়িম মাক্বাম হিসেবে প্রথমত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছু হতে সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করতে হবে। মনে প্রাণে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে মেনে নিতে হবে। উনার মুবারক শানে বিন্দু হতে বিন্দুতম মুহব্বত ও আদবের খিলাফ কিছু করা যাবে না। উনার মুবারক শানে বিন্দু পরিমাণ বেয়াদবী করা ঈমানহারা ও লা’নতগ্রস্ত হয়ে চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। দ্বিতীয়ত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকেও সবচেয়ে বেশী মুহব্বত করতে হবে। এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম হিসেবে মনে প্রাণে মেনে নিতে হবে। উনার মুবারক শানে বিন্দু পরিমাণ বেয়াদবী করা ঈমানহারা ও লা’নতগ্রস্ত হয়ে চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। কাজেই, কথাবার্তা, চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, বলাবলি, লেখালেখিসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমগ্র জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুবারক শানে সর্বোচ্চ আদব রক্ষা করা এবং প্রকাশ করা সকলের জন্যই ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَـيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَــقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَــيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّـبُـوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَــيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَــيْتٍ لَّا يُـقَاسُ بِنَا اَحَدٌ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানযুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)

উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি। কাজেই, উনার সাথে কারো কোনো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। ক্বিয়াস বা তুলনা করলে সুস্পষ্ট কুফরী হবে। এ প্রসঙ্গে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,

اِنَّا نَـحْنُ اَهْلُ بَـيْتٍ لَّا يُـقَاسُ بِنَا اَحَدٌ مَنْ قَاسَ بِنَا اَحَدًا فَـقَدْ كَفَرَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি আমাদের সাথে অন্য কাউকে তুলনা করবে, সে কুফরী করবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত মুবারক উনার বিধান মুবারক হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, উনাদের ব্যাপারে অপবাদ দিবে, চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে তাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও  লাঞ্ছিত শাস্তি অপেক্ষমান। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং যিনি খ্বলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,

مَلْعُوْنِـيْـنَ اَيْـنَمَا ثُقِفُوْاۤ اُخِذُوْا وَقُـتِّلُوْا تَـقْتِـيْلًا

অর্থ: “তারা চরম মাল‘ঊন। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই পাকড়াও করে কুচিকুচি করে অর্থাৎ টুকরো টুকরো করে ক্বতল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

কাজেই, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার কারণে উনার যারা মানহানী করবে, উনার ব্যাপারে অপবাদ দিবে, চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, নাউজুবিল্লাহ! নাউজুবিল্লাহ!! নাউজুবিল্লাহ!!! তাদের জন্যও অত্যন্ত কঠিন ও  লাঞ্ছিত শাস্তি অপেক্ষমান। তারাও ইবলীসের চেয়ে চরম মাল‘ঊন হবে। তাদেরকেও দৃষ্টান্ত মূলকভাবে অনুরূপ শাস্তি দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, প্রত্যেক সালিককে অবশ্যই অবশ্যই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম বা নায়িব ও নক্বশা মুবারক হিসেবে মনে প্রাণে অন্তরে হাক্বীক্বীভাবে বিশ্বাস করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অনুরূপ উনার প্রতিও সর্বোচ্চ আদব রক্ষা করতে হবে ও প্রকাশ করতে হবে। উনার প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক যথাযথভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফরযে আইন হিসেবে পালন করতে হবে। সুবহানাল্লাহ!

উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক-এ আমাদের জীবনের সমস্ত ভুল-ত্রুটি, বেআদবী-গোস্তাখী, নাফরমানী, বদ আক্বীদাহ ও বদ আমলের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছি। হে দয়াময় আম্মাজী ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানার্থে  আমাদের জীবনের সমস্ত ভুল-ত্রুটি, বেআদবী-গোস্তাখী ও নাফরমানী ক্ষমা করে দিয়ে আমাদেরকে হাক্বীক্বী দায়িমী ছোহবত, দীদার, তা’লীম-তালক্বীন, মুহব্বত-মা’রিফাত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক দানে ধন্য করুন! এবং আপনার সম্মানার্থে দুনিয়ার যমীনে, ক্ববরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে এবং জান্নাতে যেয়ে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন! আমীন! আমীন! আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মানছূর।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে