‘ইতিহাসের সত্য উচ্চারণকে যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়ানো বলবেন’- তাদের বোধোদয়, ইতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইতিহাস হচ্ছে যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

সংখ্যা: ১৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

হিন্দু-মুসলিম মনন মানসিকতা যে একীভূত হতে পারে না, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান যে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিলীন হতে পারে না; শুধু ইতিহাস নয় ভারতে বর্তমানে মুসলমানদের নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণ আর বঞ্চনার সত্যই তার বড় প্রমাণ।

কেবল শিবসেনা আর লালু প্রসাদের ঘটনাই নয় এমনকি সিপিএম শাসিত পশ্চিমবঙ্গেও মুসলমানকে মূলতঃ তার মুসলমানিত্ব বাদ দিয়েই বাঁচতে হচ্ছে।

আর ইতিহাসে হিন্দু কর্তৃক মুসলমানকে নির্যাতনের, নিপীড়নের কত ঐতিহাসিক ঘটনা ও সত্য যে বর্ণিত আছে তার ইয়াত্তা নেই। এমনকি বিষয়টি সত্যতার কারণে মুসলমান ঐতিহাসিক ছাড়াও হিন্দু ঐতিহাসিকের কলম থেকেও বেরিয়ে এসেছে।

কাজেই আজ যে সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবি পহেলা বৈশাখকে হিন্দুদের সাথে মিশে গিয়ে মুসলমানদের একাকার হতে বলেন তাদের আঁতে ঘা স্বরূপ ডঃ রমেশ চন্দ্রের ছোট একটি বিবৃতি উল্লেখ করা গেলো-

“বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমানদের পারস্পারিক সম্পর্কের উপর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন,

“হিন্দুরা মুসলমানদেরকে অস্পৃশ্য, ম্লেচ্ছ, যবন বলে ঘৃণা করত। তাদের সাথে কোন প্রকার সামাজিক বন্ধন রাখত না। গৃহের অভ্যন্তরে তাদের প্রবেশ করতে দিত না। তাদের স্পর্শিত কোন জিনিস ব্যবহার করত না।

তৃষ্ণার্ত মুসলমান পথিক জল চাইলে বাসন অপবিত্র হবে বলে হিন্দু তা দেয় না, ইবন বাত্তুতা এরূপ ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তার সপক্ষে শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে হিন্দুরা নিজেদের আচরণ সমর্থন করত। … অনেক দিন যাবৎ অভ্যস্ত হলে অত্যাচারও গা সওয়া হয়ে যায়, যেমন সতীদাহ ও অন্যান্য নিষ্ঠুর প্রথাও হিন্দুর মনে এক সময়ে কোন বিকার আনতে পারত না। হিন্দু-মুসলমানও তেমনি এসব সত্ত্বেও পাশাপাশি বাস করেছে কিন্তু দু’সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃভাব তো দূরের কথা, স্থায়ী প্রীতির বন্ধনও প্রকৃতরূপে স্থাপিত হয়নি। (ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশের ইতিহাস, মধ্যযুগ, পৃ. ৩২৪, ৩২৫)

বলাবাহুল্য, মুসলমানদের প্রতি হিন্দুদের ‘ম্লেচ্ছ ও যবন’বোধ এখনো অন্তর্নিহিত হয়নি।

উনবিংশ শতাব্দির সাহিত্যিক, সাংবাদিক আবু জাফর শামছুদ্দীন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন যে, “তিনি একবার হিন্দু সেজে ভারতে হিন্দুদের গোপন সভায় যান। সেখানে গিয়ে প্রধান বক্তার মুখে শুনেন যে, সে বলছে- “স্পেন থেকে যেমন মুসলমানদের বিতাড়ন করা হয়েছে তেমনি আমরা এই ভারতমাতার কোল হতেও সব মুসলমানদের বিতাড়ন করব।”

কাজেই পহেলা বৈশাখের নামে মাতামাতিতে, মুসলমানদের শরিক না হওয়ার আহ্বানকে যারা সাম্প্রদায়িকতা বলবেন- তাদের উচিত উপরের ছোট দু’বর্ণনা থেকে হিন্দুদের প্রকৃত মন-মানসিকতা উপলব্ধি করা।

আর সব সন্দেহ, সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে ইসলাম ও মুসলমানের বিরোধের ব্যাপারে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “সব কাফিরের ধর্ম এক।” অর্থাৎ মুসলমান ব্যতীত সব বিধর্মীই ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি করার ব্যাপারে এক। কাজেই তাদের এই ক্ষতি হতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে, মুসলমানকে তার অস্তিত্বের খাতিরেই তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। হাদীছ শরীফ-এ তাই মুসলমানদেরকে- ‘বিধর্মীদের খেলাফ করতে’ বলা হয়েছে।

সুতরাং মুসলমান তার অস্তিত্ব হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-উপজাতিদের সাথে বিলীন করে দিয়ে বাঙ্গালী জাতি সেজে পহেলা বৈশাখের নামে মাতামাতি করতে পারে না। কারণ, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর।” মহান আল্লাহ পাক সবাইকে তাওফিক নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।