ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত ভুল ও মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে কমরের নেহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সংখ্যা: ২৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

বরাবর

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক

৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

 

বিষয়: গত ১৬/১১/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “এক বাড়ি নিয়েই ৪৬ মামলা” শীর্ষক প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ প্রসঙ্গে।

 

জনাব,

আমি মোছাঃ কমরের নেহার। গত ১৬/১১/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে আপনার সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “এক বাড়ি নিয়েই ৪৬ মামলা” শীর্ষক সংবাদে আমার দ্বিতীয় পূত্রের স্ত্রী’র বরাত দিয়ে একটি উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আমার সাথে যোগাযোগ না করে একতরফা প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাকে সমাজের চোখে যথেষ্ট হেয় প্রতিপন্ন করেছে সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপু।

মূলতঃ আমি ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের সম্মানিত পীর সাহেব কিবলা এবং হযরত আম্মা হুজুর কিবলা (আলাইহিমাস সালাম) উনাদের একজন মুরিদ। ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে সারা দেশব্যাপী অসংখ্য মসজিদণ্ডমাদরাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে ও হচ্ছে, যা মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিমখানা নামে পরিচিত। যখন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ আসে, তখন আমি আমার ব্যক্তিগত মালিকানায় ফতুল্লা এলাকার জমি মাদরাসায় নামে দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করি।

কিন্তু এই মাদরাসায় জমি দান করতে আমার চার সন্তানের দ্বিতীয় সন্তান একরামুল আহসান (কাঞ্চন) ও তার স্ত্রী তামান্না বেগম বাধা দেয় এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। অথচ আমার স্বামীর সম্পত্তির অংশ হিসেবে কাঞ্চন যথেষ্ট সম্পত্তি লাভ করেছে। ঢাকার শেওড়াপাড়ায় জমি, শাহজাহানপুর থানার শান্তিবাগে বাড়ির অংশবিশেষ, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচরে ফ্যাক্টরির মালিকানা, তক্কার মাঠে জমি, পিলকুনিতে ৪টি আবাসিক প্লট এবং নোয়াখালীতেও বেশ কিছু জমিজমা পায়। আমি তাকে বহুবার বুঝাতে চেষ্টা করি যে, মাদরাসায় দান করা সম্পত্তি আমার নামে সম্পত্তি, তাদের নামের সম্পত্তি না। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পর্যাপ্ত সম্পত্তি পেয়েছে, তবুও কেন মাদরাসায় নিয়ত করা জমি নিয়ে লোভ করতে হবে?

সে যখন বুঝতে পারে আমাকে মাদরাসায় জমি দান থেকে বিরত রাখা সম্ভব না, তখন ২০০৯ সালে সে অন্য এক মহিলাকে মা সাজিয়ে গোপনে জাল দলিল তৈরী করে (জাল হেবা দলীল নং ১৩৯২৬, তারিখ: ২২/১১/২০০৯), যেন মাদরাসায় জমিটি দান না করা যায়। ঘটনাটি এক পর্যায়ে ফাঁস হয়ে গেলে আমি যেন জাল দলিলকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারি, সে জন্য কাঞ্চন ও তার স্ত্রী আমাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনাও করে। বিষয়টি টের পেয়ে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হই এবং থানায় গিয়ে অভিযোগ করি এবং আদালতের শরনাপন্ন হয়ে জাল দলিলের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ পর্যায়ে আমার পূত্র কাঞ্চন আরো বেশি উগ্র হয়ে ওঠে, এমনকি স্থানীয় মাস্তানদের নিয়ে সে কোরবানীর ঈদের সময় মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসার দান করা পশুর চামড়া ছিনতাই করে নিয়ে যায়, যে বিষয়টি আপনাদের পত্রিকার রিপোর্টেও উঠে এসেছে। কাঞ্চন ও তার স্ত্রীর অনেক বাধা সত্ত্বেও আমি ২০১৪ সালে আমি আমার মালিকানার জমি মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসায় দান করি। অতঃপর ২০১৭ সালে আমার করা মামলার রায় ঘোষণা হয়, যেখানে নারায়নগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ অর্থঋণ আদালত আমার পক্ষে রায় দেয় এবং কাঞ্চনের তৈরী করা দলিলকে জাল ও অবৈধ বলে সাব্যস্ত করে বাতিল ঘোষণা করে (মামলা নম্বর-২৬৮/১১)।

মাদরাসায় দান করা জমি নিজেদের নামে করে নিতে বহু ষড়যন্ত্র করেও সফল না হয়ে অবশেষে কিছু অসৎ সাংবাদিকের স্মরণাপন্ন হয়ে কাঞ্চন ও তার স্ত্রী নতুন ফন্দি আঁটে। যার অংশ হিসেবে তারা এখন মিডিয়ায় আমাকে পাগল সাজিয়ে রংচং মেখে মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে। যেমন, আমি পীর সাহেবকে জমি লিখে দিয়েছি, উনার মেয়ের বিয়েতে ৪০ ভরি স্বর্ণ উপহার দিয়েছি, এমনকি শান্তিবাগে আমাদের থাকার বাড়িটি পর্যন্ত উনার নামে লিখে দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে এই কথাগুলোর কোন ভিত্তি নেই। কারণ আমি পীর সাহেবকে কোন জমি দেইনি, দিয়েছি আল্লাহ’র ওয়াস্তে মাদরাসা ও ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠায়। আর আমি নিজেই যেখানে ১০ ভরি স্বর্ণও ব্যবহার করিনা, সেখানে অন্যকে কেন ৪০ ভরি স্বর্ণ উপহার দিতে যাবো? এছাড়া শান্তিবাগের বাড়িটি তো আমার নামেই নেই, আছে আমার স্বামীর নামে। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে সেই বাড়ি লিখে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং কাঞ্চনই ২০০৯ সালে আমাকে মৃত দেখিয়ে এবং তার ছোট বোনকে বাদ দিয়ে ওই বাড়ির ভাগ বেশি পাওয়ার জন্য একটি রেকর্ড জারির চেষ্টা চালায়, যা তার আচরণের আরেকটি উদাহরণ।

তবে আমি বেশি অবাক হয়েছি, কারণ, ইত্তেফাকের মত একটি অতিপরিচিত পত্রিকা কিভাবে কাঞ্চন ও তার স্ত্রী’র কথা শুনে একপেশে খবর ছাপিয়ে দিলো? কেন আমার সাথে যোগাযোগ করে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলো না?

আমার বক্তব্য না নিয়ে, একতরফা কাঞ্চন ও তার স্ত্রী’র বক্তব্য প্রকাশ করে মিডিয়ার সামনে আমাকে পাগল সাজানোর মাধ্যমে ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপু তাদের সকল অনৈতিক কাজের সহযোগী হয়ে দাড়িয়েছে, যা আমার জন্য সত্যিই কষ্টদায়ক।

অতএব জনাব, সঙ্গতকারণেই প্রতিবেদনে যথেষ্ট মানহানীকর ও মিথ্যা উপাদান বিদ্যমান থাকায় আমার প্রতিবাদ যথাস্থানে প্রচারের দাবী করছি।

নিবেদক-

মোছাঃ কমরের নেহার, ১০৭. শান্তিবাগ, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফ

৫. আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ, ঢাকা-১২১৭, ফোন: ৮৩১৭০১৯, ৮৩১৪৮৪৮ ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯৩৩৮৭৮৮

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।