ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “ঈড়হভবংংরড়হ ড়ভ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয বহসরঃু ধমধরহংঃ ওংষধস” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

 

নারী প্রলোভনে ইবনে ওহাব:

 

ইবনে ওহাব আমাকে বললো যে, ইস্পাহানে অবস্থানকালে আব্দুল করীম নামে এক ব্যক্তির সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। সে নিজেকে একজন লেখক হিসেবে প্রচার করতো। সে ইবনে ওহাবের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার সমস্ত গোপনীয় তথ্য জেনে নেয়। তার সাথে সুফিয়াও কিছু দিনের জন্য ইস্পাহানে আসে। আর সে আরো দু’মাসের জন্য ইবনে ওহাবের সাথে মুতয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। সিরাজ এলাকা সফরের সময় সে তার সাথে ছিল। সিরাজে অবস্থানকালে আব্দুল করীম ইবনে ওহাবের জন্য সুফিয়া থেকেও সুন্দরী একটি মেয়ের ব্যবস্থা করে। সে সিরাজ শহরের এক ইহুদী পরিবারের অত্যন্ত সুন্দরী মেয়ে ছিল। তার নাম ছিল আসিয়া। আব্দুল করীম অখ্যাত মাতা-পিতার সন্তান। সে আসিয়ার মত ইরানে ব্রিটিশ উপনিবেশিক পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ছিল। মোট কথা, আব্দুল করীম, সুফিয়া, আসিয়া ও আমি এক সাথে দিন রাত চেষ্টা করে ইবনে ওহাবকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছামাফিক প্রস্তুত করে নিলাম এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচির অনুকূল করে গড়ে তুললাম।

ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপসমূহ:

ব্রিটিশ সরকার ইবনে ওহাবকে অস্ত্র দিয়ে ভাল করে প্রস্তুত করার পর প্রয়োজনে তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইবনে ওহাবের ইচ্ছানুযায়ী জাযিরাতুল আরবের অন্তর্গত নজদের নিকটবর্তী এলাকায় তার নেতৃত্বের প্রথম সূচনা হয়।

ব্রিটিশ উপনিবেশিক পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারির পরামর্শে নি¤েœাক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়।

১. ইবনে ওহাবের মাযহাবে যারা শামিল হবে না তাদেরকে কাফির বলা, তাদের মাল-সামানা, ইজ্জত সম্মান বিনষ্ট করা বৈধ মনে করা, অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে পশুর হাট-বাজারে নিয়ে গিয়ে দাস-দাসীদের মত বিক্রয় করা। ২. মূর্তি পূজার বাহানায় যথাসম্ভব কা’বা ঘর ধ্বংস করা, আর হাজীদের জান-মাল লুণ্ঠনের জন্য আরব উপজাতিদের উত্তেজিত করা। ৩. আরব উপজাতিদের উসমানিয়া খলীফার আদেশাবলী পালন থেকে বিরত থাকার জন্য উৎসাহ প্রদান করা, আর অসন্তুষ্ট লোকদের তাদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা। এ কাজ সমাধা করার জন্য কিছু সংখ্যক সশস্ত্র ফৌজ তৈরি করা। হিজাজের আশরাফদের প্রভাব প্রতিপত্তি ধ্বংসের জন্য যথাসম্ভব পন্থা গ্রহণ করে তাদেরকে বিব্রত করা। ৪. হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার খলীফাদের এবং বিশেষ করে মহৎ ব্যক্তিদেরকে অবহেলার দোহাই দিয়ে এবং এমনিভাবে শিরক ও মূর্তি পূজার চিহ্নসমূহ বিলোপের বাহানায় মক্কা, মদীনা ও অন্যান্য শহরে যতটা সম্ভব মাযার ও কবরগুলো ধ্বংস করা। ৫. যতটুকু সম্ভব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে ফিৎনা-ফ্যাসাদ, হট্টগোল ও নিরাপত্তাহীনতা ছাড়ানো। ৬. কুরআন-এ হ্রাস বৃদ্ধির উপর সাক্ষ্য, হাদীছ রেওয়ায়েতের দিক দিয়ে এক নতুন কুরআন প্রচার করা।

 -মুহম্মদ আবুল হাসান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।