ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম নাটকের মহানায়ক, প্রবাদপুরুষ আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যুতে অগণিত নাট্য প্রেমীদের ভীষণ শোক বিহ্বলতা, নাগরিক শোক সভা ও প্রাসঙ্গিক কথা

সংখ্যা: ১৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ২২-০৮-০৮ ঈসায়ী তারিখে “দৈনিক যুগান্তর, যায়যায়দিন, মানবজমিন, সংবাদ, ডেসটিনি, ইত্তেফাক, আমার দেশ, বাংলাবাজার এমনকি ইসলামী লেবেল আঁটা সংগ্রাম ও নয়া দিগন্ত” পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শিরোনাম করে, “নাটকের মহানায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন আর নেই”।

“দৈনিক ভোরের কাগজ” এ খবর সেকেন্ড লিড করে। এবং “দৈনিক জনকন্ঠ” স্পেশাল বক্স আইটেমে লিড নিউজ করে শিরোনাম দেয়: “নাট্যঙ্গনের প্রবাদপুরুষ আব্দুল্লাহ আল মামুন আর নেই”।

কথা হলো, মামুন নেই।

তো কোথায় গেছেন?

কেন গেছেন?

কার সাথে গেছেন?

কে নিয়ে গেলেন?

গেলেন কেন?

মামুন কি নিজেই যেতে চেয়েছিলেন?

তার সহযোগিরা তাকে আটকালেন না কেন?

যেতে দিলেন কেন?

আটকাতে কি চেয়েছিলেন?

আটকাতে কি পেরেছিলেন?

“দৈনিক আমাদের সময়” স্বীকারোক্তিমূলক শিরোনাম করেছে: “আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আর বাঁচানো গেলো না”। অর্থাৎ তারা সবাই মিলে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।

নাট্যকার মামুন চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বাধুনিক স্কয়ার হাসপাতালে তারপর বারডেমের স্পেশাল কেয়ারে।

মামুন ডায়াবেটিস, বুক ব্যাথা, মস্তিস্কে আঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডায়াবেটিস, হৃদরোগে এখন শত কোটি লোক আক্রান্ত। তারা তো বেঁচে আছে কিন্তু মামুন মারা গেলো কেন?

সত্য কথা যে, মামুন তো হঠাৎ এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। কাজেই এ রোগেই এভাবেই তো তার মরার কথা ছিলো না। এমনকি মামুনও সেটা বিশ্বাস করতো।

“দৈনিক জনকণ্ঠ” লিখেছে: “এ বছর ১৩ই জুলাই তিনি ঘটা করে নিজের ৬৬তম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন”।

কিন্তু মামুন নিজেও জানতো না সে এভাবে মারা যাবে।

কথা হলো, মামুন বেঁচে থাকলে কী করতো?  সে খুব ঘটা করে প্রস্তুতি নেয়া তার ৬৬তম জন্মদিন পালন করতো। আরো নাটক করতে। সিনেমা করতো। সেগুলো নিয়েই মেতে থাকতো ও অন্যদেরকেও মাতাতো।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মামুন যেমন জানতো না নিজের ঘটা করে প্রস্তুতি নেয়া ৬৬তম জন্মবার্ষিকী সে পালন করতে পারবে না পাশাপাশি তেমনি প্রশ্ন দাঁড়ায় মামুন কী জানতো সে মৃত্যুর পর কোথায় যাবে? অথবা যেখানে যাবে সেখানে কী অবস্থার মুখোমুখী হবে?

কেমন ব্যবস্থা পাবে?

কী পরিণতি হবে?

১৯৮৪ সালে মারা গেছে মামুনের স্ত্রী ফরিদা খাতুন। তাকে দাফন করা হয়েছে বনানী গোরস্তানে। এদিকে ‘মৃত্যুর পর তার লাশ যেন বিটিভিতে না নেয়া হয়’ সে ব্যাপারে তার নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু ‘তার লাশ কবরস্থানে না নেয়া হোক’- এ ধরনের কোন কথা তার ছিলো না।

আর দশটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মত  গত ২২-০৮-২০০৮ ঈসায়ী নাট্যকার মামুনের ঢাবি মসজিদে জুমুয়ার নামায শেষে জানাযা হয়েছে। বনানী কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। দাফন করে মামুনের শুভাকাঙ্খিরা, সহযাত্রীরা, সহযোগীরা সব ফিরেও এসেছে। মামুন আজ বনানী কবরস্থানে সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে শুয়ে আছে।

‘শুয়ে আছে’ বলতে পারলে বরং ভাল হতো। কিন্তু মামুন যে ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলো সে বিশ্বাস মোতাবিক ‘সে নিরিবিলি, নিরুদ্বেগ, নির্বিঘেœ শুয়ে আছে’ এ কথা নিশ্চিতই বলা যায় না। মুসলমান মামুন যে ইসলামী বিশ্বাসী ছিলেন সে ইসলামে ঘোষিত হয়েছে, বেহেশতের দরজায় লেখা রয়েছে, “দাইয়্যূস কখনও বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।”

এখন মামুন ব্যক্তিগত জীবনে শুধু নিজেই দাইয়্যূস ছিলো না; সে অগণিত লোককে দাইয়্যূস তৈরির করেছে শুধু তাও নয় বরং সে লাখ লাখ দাইয়্যূস তৈরির প্রক্রিয়া জারি করে গেছে সে কথাও চুড়ান্ত এবং স্পষ্ট সত্য। (নাঊযুবিল্লাহ)

মুসলমান মামুন যে ইসলাম ধর্মের লোক ছিলেন সে ইসলাম প্রতিটি বেগানা নর-নারীর দৃষ্টিকে একটি করে ব্যভিচারের গুনাহ বলে নির্ধারিত করেছে এবং এ ধরনের ব্যভিচারী নর-নারীদের মৃত্যুর পর আগুনের  নর-নারী দ্বারা অবর্ণনীয় শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

মামুন যেমন তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মৃত্যুবরণ করেছে তেমনি তার অজানা সত্ত্বেও এখন আগুনের শাস্তি দ্বারা দগ্ধ হবে সেটাই তার মৃত্যুর মতই সত্য।

এদিকে মামুনের সহযোগীরা- যারা ইসলামে বর্ণিত পর নারী-পুরুষে প্রতি দৃষ্টিতে ব্যভিচারের গুনাহ, দাইয়্যূসের জান্নাত হারাম, জাহান্নাম অবধারিত- ইত্যাদি কথায় ভ্রু কুঞ্চিত করে, নাক সিটকায় তাদের সে অহঙ্কার, তাদের সে বাহাদুরী, তাদের সে প্রগতিবাদ, তাদের সে সংস্কৃতি তখনই বিবেচিত হত যদি তারা তাদের প্রিয় মামুনকে বাঁচাতে পারতো। কিন্তু মামুনের মৃত্যুর কাছে তাদের সম্মিলিত শক্তি যেমন অবলা, অসহায়, ঠুনকো তেমনি ইসলামী ধর্ম বিশ্বাসের বিপরীতে তাদের সব মতবাদ, প্রচারণা, কর্মকা- নিতান্ত অসত্য, অলীক ও অগ্রহণীয়।

“দৈনিক জনকন্ঠে” ঐ খবরে আরো বলা হয়: “বাংলা নাটকের এই মহীরুহের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে বিষাদের ছায়া।

নাটক ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীরা এসে ভিড় জমান বারডেম হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। তাদের কান্নায় হাসপাতাল প্রাঙ্গনের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিনয় জীবনের দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী, সহঅভিনেত্রী ও নায়িকা ফেরদৌসী মজুমদার হাসপাতালে এসে তার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ফেরদৌসী মজুমদারের নীরব কান্নায় উপস্থিত অনেকেই আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি (ফেরদৌসী মজুমদার) এতটাই ভেঙ্গে পড়েন যে, মিডিয়ার সামনে কোন কথাই বলতে পারেননি।”

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা কম হাসতে বেশি কাঁদতে।”

বলাবাহুল্য, হাদীছ শরীফ-এ উদ্ধৃত এ ‘জানার’ মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মৃত্যু। যখন প্রিয়জন মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে তখন মানুষ ঠিকই কাঁদছে। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তীকালীন হিসেব, আযাব-গযব যদি তারা দেখতো তাহলে আরো বেশি বেশি কাঁদত। সেটাই হাদীছ শরীফ-এ ব্যক্ত করা হয়েছে।

এদিকে “দৈনিক জনকন্ঠ” আরো রিপোর্ট করে: “অভিনয় ও নির্মাণে সমান পারদর্শী এই গুণী শিল্পী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহবুব জামিল, তথ্য সচিব জামিল ওসমান, বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অনেকে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।”

দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, সব রাজনৈতিক দল, তথাকথিত সাংস্কৃতিক মহল তারা সবাই এই নাট্য ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তার মানে তারা সবাই গভীর নাট্য প্রীতিতে আক্রান্ত।

অথচ তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এই দেশের কর্ণধার। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এই নাটক যে কত অবাঞ্ছিত ও কাট্টা হারাম কাজ সেটা তাদের যেমন জানাও নেই, তেমনি সে বিষয়ে তাদের কোন আমলও নেই। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশের কর্ণধার হিসেবে মুসলমান হিসেবে তাদের সে ধর্মীয় মূল্যবোধ থাকা দরকার ছিলো। কারণ, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত হবেনা যারা পার্থিব জীবনকে খেল-তামাশা (নাটক-সিনেমা, খেলাধুলা ইত্যাদি) বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছিলো।”

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “এবং পার্থিব জীবন তাদেরকে ধোকায় ফেলে রেখেছিলো অতএব আমি আজ তাদেরকে ভুলে যাব যেমন তারা এদিনের সাক্ষাতকে ভুলে গিয়েছিলো।” (সূরা আরাফ-৫১)

এদিকে খোদ রাষ্ট্রপতি তার শোকবাণীতে বলেন, “আব্দুল্লাহ আল মামুন দেশে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল।”

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশের রাষ্ট্রপতির কথা চরম ইসলাম বিরোধী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হারাম থেকে হারামেরই জন্ম হয়।”

নাটক-সিনেমা ইসলামের দৃষ্টিতে কাট্টা হারাম। আর এরূপ হারাম থেকে কখনও সুস্থ কিছু তৈরি হতে পারে না। কথিত সংস্কৃতিও কখন সুস্থ হতে পারে না।

প্রসঙ্গত: গত ২২-০৮-০৮ ঈসায়ী তারিখে “দৈনিক যায়যায়দিন” পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় শিরোনাম হয়: “ইয়াবা বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। সংস্কৃতির নামে চলছে মাদক ব্যবসা।”

খবরে বলা হয়, “সংস্কৃতির নামে চলছে মাদক ব্যবসা। মডেল, র‌্যাম্প মডেল, মিউজিক ভিডিও মডেল ঝুকে পড়ছে ইয়াবার প্রতি। এমনকি বিজ্ঞাপন ও মডেলিং পেশার সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরাও ইয়াবা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। আসক্তির পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রির দিকেও ঝুকছে তারা। …

সূত্র জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক জগতের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনের আসক্তি বেড়েছে। এরা নিজেরা বিক্রি করে। …

কয়েক বছর আগেও ইয়াবা বিক্রেতাদের সংখ্যা ছিলো হাতেগোনা কয়েকজন। কিন্তু এখন তাদের সংখ্যা অনেক। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজন।”

উল্লেখ্য, নাটক-সিনেমা, গান-নৃত্য যারা করেন তথা তথাকথিত সাংস্কৃতিক জগতের সাথে যারা সম্পৃক্ত ইয়াবা বা মাদক সেবন তাদের কালো জীবনের একটি দিক মাত্র। এছাড়াও চরিত্রহীনতা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

বলাবাহুল্য, এদেরকে শুধু দুর্নীতিবাজ বললে ভুল হবে বরং সমাজে যাবতীয় দুর্নীতি বিস্তারের এরাই জনক-জননী। কাজেই এসব সংস্কৃতিবাজদের প্রচলিত মূল্যায়নের বাইরে এখন থেকে ইসলামের আঙ্গিকে বিচার করতে হবে। তাদেরকে দেশে দুর্নীতি বিস্তারের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। ধর্মের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটাই এখন দেশবাসী ধর্মপ্রাণদের প্রাণের দাবি।

-মুহম্মদ আলম মৃধা, শান্তিবাগ, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।