ঈদের শিক্ষা

সংখ্যা: ০১ম সংখ্যা | বিভাগ:

ঈদের শিক্ষা

– মুহম্মদ আব্দুস সামাদ


 

এক ঈদের দিনে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ঘরে ঘরে আনন্দ, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের জমায়াত শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে যার যার বাড়ী ফিরার পথে। তখনই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চোখ পড়লো মাঠের দিকে। তিনি দেখেন মলিন কাপড় পরিহিত, নিরানন্দ মুখে একটি ছেলে মাঠে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। রহমতের সাগর, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছুটে গেলেন ছেলেটির কাছে। জিজ্ঞেস করলেন, “বাবা, তুমি কাঁদছ কেন?” উত্তরে ছেলেটি বলল, হুযূর আমি মাতৃকোলে আসার অনেক আগেই আমার পিতার মৃত্যু হয়েছে। শৈশবেই মাকেও হারিয়ে এতিম। আজ এ ঈদের দিনে কে দেবে আমাকে নতুন জামা কাপড়? কে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দ করবে? কে আমাকে সান্তনা দেবে?

অনাথ এতিম ছেলের কথাগুলি শুনে সৃষ্টিকূলের রহমতের ভাণ্ডার দয়াল নবী অশ্রুসিক্ত নয়নে ছেলেটিকে কোলে তুলে নিলেন এবং বললেন- “বাবা, আমি তোমার মত মা-বাবাকে হারিয়ে ছোটকালেই এতিম। আজ থেকে আমি তোমার পিতা, হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তোমার মা, ফাতেমা আলাইহাস সালাম তোমার বোন বলে মনে করো।” এই বলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছেলের কপালে চুমো দিয়ে আদর করলেন এবং হুজরা মুবারক-এ পৌঁছুলেন। উম্মুল মো’মেনিন হযরত আয়শা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে বললেন, “দেখুন হে ছিদ্দীখা আলাইহাস সালাম! আপনার জন্য একটি ছেলে নিয়ে এসেছি, আপনি তাকে আপন ছেলের মতো মনে করে লালন-পালন করুন।”

হযরত আয়িশা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি ছেলেটিকে আদরে কোলে তুলে নিলেন। নিজের হাতে গোসল করিয়ে দিলেন, নতুন জামা-কাপড় পরালেন এবং খেতে দিলেন, নিজের ছেলের মত ছেলেটিকে লালন-পালন করতে লাগলেন।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ১৯তম পর্ব

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহা পবিত্র ১২ই শরীফে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এমতটিই সবেচেয়ে মাশহূর, ছহীহ ও দলীলভিত্তিক

মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত পরিচিতি মুবারক

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করার ব্যাপারে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাত ওয়াস সালাম উনার এক অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত তাজদীদ মুবারক

হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরমুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সম্বলিত পবিত্র কালিমা শরীফ যা পবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমানিত