– মুহম্মদ আব্দুস সামাদ
এক ঈদের দিনে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ঘরে ঘরে আনন্দ, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের জমায়াত শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে যার যার বাড়ী ফিরার পথে। তখনই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চোখ পড়লো মাঠের দিকে। তিনি দেখেন মলিন কাপড় পরিহিত, নিরানন্দ মুখে একটি ছেলে মাঠে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। রহমতের সাগর, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছুটে গেলেন ছেলেটির কাছে। জিজ্ঞেস করলেন, “বাবা, তুমি কাঁদছ কেন?” উত্তরে ছেলেটি বলল, হুযূর আমি মাতৃকোলে আসার অনেক আগেই আমার পিতার মৃত্যু হয়েছে। শৈশবেই মাকেও হারিয়ে এতিম। আজ এ ঈদের দিনে কে দেবে আমাকে নতুন জামা কাপড়? কে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দ করবে? কে আমাকে সান্তনা দেবে?
অনাথ এতিম ছেলের কথাগুলি শুনে সৃষ্টিকূলের রহমতের ভাণ্ডার দয়াল নবী অশ্রুসিক্ত নয়নে ছেলেটিকে কোলে তুলে নিলেন এবং বললেন- “বাবা, আমি তোমার মত মা-বাবাকে হারিয়ে ছোটকালেই এতিম। আজ থেকে আমি তোমার পিতা, হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তোমার মা, ফাতেমা আলাইহাস সালাম তোমার বোন বলে মনে করো।” এই বলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছেলের কপালে চুমো দিয়ে আদর করলেন এবং হুজরা মুবারক-এ পৌঁছুলেন। উম্মুল মো’মেনিন হযরত আয়শা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে বললেন, “দেখুন হে ছিদ্দীখা আলাইহাস সালাম! আপনার জন্য একটি ছেলে নিয়ে এসেছি, আপনি তাকে আপন ছেলের মতো মনে করে লালন-পালন করুন।”
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি ছেলেটিকে আদরে কোলে তুলে নিলেন। নিজের হাতে গোসল করিয়ে দিলেন, নতুন জামা-কাপড় পরালেন এবং খেতে দিলেন, নিজের ছেলের মত ছেলেটিকে লালন-পালন করতে লাগলেন।