ঈদ মুসলমানের কিন্তু পোশাক হিন্দুর! হিন্দুর পোশাক পরে মুসলমান পবিত্র ঈদ করে কীভাবে? মার্কেটের ৭০ ভাগ পোশাক শুধু হিন্দুরই নয়; বরং হিন্দু নায়ক-নায়িকাদের অনুকরণে। ছোট ছেলে-মেয়েরাও এর বাইরে নয়! এই কি সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা? এই কি মুসলমানদের ইসলামী মানসিকতা?

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিরণমালা’ দেখে ‘কিরণমালা’ এবং ‘বোঝে না সে বোঝে না’ নাটকের পাখি চরিত্রের ‘পাখি জামা’ না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে ১৩ তরুণী। কিরণমালার জন্য যারা আত্মহত্যা করেছে এদের মধ্যে রয়েছে মাদারিপুরের কালকিনির মিনারা (২৭), লক্ষ্মিপুরের রামগঞ্জের তাছলিমা আক্তার (১২) ও বগুড়ার শেরপুরে সাবিনা খাতুন (১৪) নামে এক কিশোরী। এর আগে ভারতীয় সিরিয়াল ‘বোঝে না সে বোঝে না’ নাটকের পাখি চরিত্রের ‘পাখি জামা’ না পেয়ে গত বছর (১৪৩৫হি.) ঈদে আত্মহত্যা করেছে অন্তত ১০ জন।

এছাড়া স্ত্রীকে পাখি জামা দিতে না পেরে আত্মহত্যা করে শেরপুরে শাহিন নামের এক যুবক। অন্যদিকে মেয়ের জামা সংগ্রহ করতে না পেরে আত্মহত্যা করে কুষ্টিয়ার আলেয়া বেগম নামে এক গৃহবধু। আর স্বামী পাখি জামা কিনে না দেয়ায় তালাক নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায় খুলনার শারমিন আক্তার।

জানা গেছে, ‘স্টার জলসা’ কলকাতার টিভি চ্যানেল হলেও এর দর্শক বাংলাদেশেও কোটি কোটি। নাঊযুবিল্লাহ! চ্যানেলটির এ দেশীয় নিয়মিত দর্শক যারা তাদের মধ্যে রীতিমতো ‘আসক্তি’ চলে এসেছে বলা চলে। এতে প্রচারিত বিভিন্ন সিরিয়াল দেখে নিজেকে ওই চরিত্রের মতো সাজাতে চায় অনেক কিশোরী-তরুণী। আর এ আসক্তি থেকেই এবারের ঈদের কেনাকাটায় কিশোরী-তরুণীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্টার জলসায় প্রচারিত সিরিয়াল কিরণমালার নামে নামকরণ করা পোশাকটিতে। এতে দেশীয় কাপড় বিক্রিতে পড়েছে ভাটা।

শুধু তাই নয়, পোশাকটির চাহিদা এতোই যে, বিক্রেতারা ওই পোশাক যোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। চাহিদা পূরণে অনেক দোকানে বাংলাদেশী পোশাককে ভারতীয় কিরণমালা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কাপড়ের মান ও দাম যাই হোক, কিরণমালা স্টাইলের পোশাক আর ভারতীয় বললেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে ক্রেতারা। কিশোরী, তরুণী ও গৃহিণীদের একমাত্র পছন্দ ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালের নায়িকাদের নামের পোশাক। গত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন অভিনেত্রীর নামের পোশাকের পর এবার চলছে ‘কিরণমালা’ নামের পোশাকটি।

দেশীয় পোশাকের তেমন কোনো চাহিদা নেই। খুব কম সংখ্যক ক্রেতা দেশীয় কাপড়ের প্রতি আকৃষ্ট। শুধু পোশাক নয়; এবারের ঈদ বাজারে সেসব জনপ্রিয় চরিত্রের নামে বাজারে এসেছে অলঙ্কার থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি ও স্যান্ডেল পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরুতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের ঈদের বাজারে সেমাই-মসলা থেকে শুরু করে জামা-কাপড়সহ সব পণ্যেই ভারতের প্রাধান্য। মফস্বল শহর, বিভাগীয় শহর, রাজধানী শহর, সব জায়গার মার্কেটগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের পোশাকের ছড়াছড়ি। ভারতীয় নাটক-সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের শিল্পীদের নামে এসব পোশাক বিক্রি হয়।

জানা গেছে, তিসমার খান, ওহ মাই গড, আশিকি-২, বডিগার্ড, রা ওয়ান- এসবই বর্তমান ভারতীয় সিনেমার নাম। আর এসব সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নামে পোশাকের নাম। ভারতের মুম্বাইয়ের হিন্দি সিনেমার নামে পোশাকে ছড়াছড়ি ঢাকার ঈদ বাজারে। ভারতীয় সিনেমা ও সিরিয়ালের নামের মোহে বিকিকিনি হচ্ছে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ বাংলাদেশের ঈদের পোশাক।

সরকারের উদসীনতার কারণে বস্ত্রখাতে ভারত এদেশের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। দেশীয় বস্ত্রশিল্পকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় বস্ত্র আসা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে বছরের পর বছর ধরে ধর্ণা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

বৈধ-অবৈধ পথে আসা এসব পোশাক দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। আকাশ সাংস্কৃতির নামে ভারতীয় টিভির সিরিয়াল, কার্টুন ও হিন্দি সিনেমার দিকে শিশু-তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকে পড়ায় যেমন দেশের মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতি-কৃষ্টি উপেক্ষিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করায় দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার এবং সেটা বেড়েই চলেছে।

আর ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ‘বিক্রির পর দাম পরিশোধ’ করার শর্তে পণ্য দেয়ায় দেশের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকছে সেদিকেই বেশি। বিক্রেতারা নিয়ে এসেছে ‘স্টার জলসা’য় প্রচারিত ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালের নামকরণে ঈদের ‘কিরণমালা’ জামা। বংলাদেশের মেয়েদের ভারতীয় সিরিয়াল দেখার দুর্বলতা বুঝতে পেরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলিউডের তারকা আর ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকাদের নামে পোশাকের নামকরণ করে। প্রতিটি পোশাকে লাগানো হয়েছে ভারতীয় নায়িকাদের ট্যাগ। যেমন- আনারকলি, আশিকি, মাসাককলি, সানি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, জারা, অর্চনা, আমিত, ডিসকো চলি, জীবিকা, রিভা, বীরা, ছানছান, ঝিলমিল, পাঙ্খুরী, আশিকি টু, বুগিউগি, টাপুর-টুপুর- এমন নানা নামের বাহারি পোশাক ঈদের ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ভারতীয় সিরিয়ালের গল্পের আকর্ষণই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণীদের মাঝেই এই পোশাকের প্রতি বেশি আকর্ষণ বাড়িয়েছে।

ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের অপসংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে ভারতীয় পণ্যের প্রতি দেশের শিশু-তরুণ-তরুণীদের ঝুঁকে পড়া দেশের পোশাক শিল্প এবং অর্থনীতির জন্য খুবই খারাপ সংকেত। মূলত আকাশ সংস্কৃতির নামে ভারতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বর্তমানে দেশ বিপর্যস্ত।

ভারতীয় সিরিয়ালের মূল উদ্দেশ্য হলো হিন্দুত্ববাদী চেতনাকে ধর্মরিপেক্ষতার নামে মুসলমানদের মন ও মস্তিষ্কে প্রথিত করা। গ্রথিত করা। ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা সিরিয়ালগুলো শুরু হয় মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোসহ ব্যাকগ্রাউন্ডে হিন্দু শ্লোক বা ধর্মসংগীত দিয়ে। আবহসঙ্গীতে থাকে শংঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মন্দিরের ঘণ্টা, ঢোলবাদ্য, পূজার সঙ্গীত ইত্যাদি দিয়ে। ওই সব সিরিয়াল দেখে বাংলাদেশের তরুণী-মহিলারা যেভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

উল্লেখ্য, মানুষ পরিকল্পিতভাবে যেই কাজগুলো করে তার মধ্যে পোশাক ক্রয় সম্পর্কীয় পরিকল্পনা একটি। পোশাক পরিধান করা মানবীয় রীতি। পোশাক মানুষের মন ও রুচির পরিচয় বহন করে। পরিধেয় পোশাকও মানুষের চোখের ভাষা ব্যবহার করে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করে। প্রত্যেক ব্যক্তির পোশাকই তাকে মূল্যায়ন-অবমূল্যায়ন করার কথা পরোক্ষভাবে বলে দেয়। ব্যক্তি যে মানের কিংবা যে রুচির- তার পোশাকও সেই মানের হয়ে থাকে এটাই সাধারণ রীতি। সেটা কখনো ইতিবাচক কখনো নেতিবাচক। মার্জিত শালীন পোশাক সব ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য। অশালীন ও বিকৃত রুচির পোশাক সবসময়ই পরিত্যাজ্য। ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশের মুসলমানদের পবিত্র ঈদের পোশাক যে হিন্দু তথা বিধর্মীদের অনুকরণে হতে পারে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দ্বিতীয় হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে পবিত্র রোযা ফরয করা হয়। মুসলমানগণ প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদ উদযাপন করেছিলেন দ্বিতীয় হিজরী সনের পবিত্র শাওয়াল শরীফ মাসে। পবিত্র বদর জিহাদ উনার সুস্পষ্ট বিজয়ের পর পবিত্র ঈদ উদযাপিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে হিজরত করে পবিত্র মদীনা শরীফ যাওয়ার পর দেখলেন পারসিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বসন্তের জ্যোৎসনা রজনীতে ‘মেহেরজান’ আর হেমন্তের জ্যোৎসনা রজনীতে ‘নাওরোজ’ নামক উৎসব পালিত হচ্ছে। যে উৎসব ছিল অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি এ দুটি দিনের পরিবর্তে অন্য দুটি দিন আপনাদের উৎসব করার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার একটি হলো- ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর’ অন্যটি ‘পবিত্র ঈদুল আযহা’। তোমরা পবিত্রতার সাথে এ দুটি উৎসব পালন করবে।” (আবু দাউদ ও নাসায়ী শরীফ)

বলাবাহল্য, যতগুলো উৎসব আমাদের দেশে পালন করা হয় তার মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উল্লেখযোগ্য। রোযাদারদের জন্য এক মহাপুরস্কার ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর’। এক মাস সাওম পালন করার পর আমরা যেহেতু পবিত্র রোযা ভেঙ্গে ফেলি সেজন্যই পবিত্র ঈদুল ফিতর নামকরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাওম ও ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা থাকলেও সেদিকে তেমন গুরুত্ব নেই; অন্তত বর্তমানে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পোশাক কেনাকাটা ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা দেখলে তাই প্রতিভাত হয়।

এছাড়া কারো কারো কাছে মিথ্যা, কল্পনা ও চরিত্রহীনতার নানারূপ যেন পবিত্র ঈদ আনন্দেরই অংশ। নাঊযুবিল্লাহ! পবিত্র ঈদের দিনটিকে অনেকেই নিছক বেশরা আনন্দের দিন মনে করে। এটি যে একটি ইবাদত উনার দিন সে কথা যেন আমরা ভুলেই যাই। যে সময়ে মানুষগুলো একমুঠো ভাত ও একটি কাপড় যোগাড় করতে পারছে না, সে সময়ে কেউবা হিন্দি সিরিয়ালের নামে নামকরণকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা দামের কাপড় পরে ফ্যাশন-শো করছে!

শপিংমল ও ফ্যাশন হাউস কর্তৃপক্ষ যথারীতি হিন্দি সিরিয়ালের নামের পোশাক আমদানীতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ঘোষণা করেছে নানা অফার। লোভনীয় অফারগুলো পেতে কেউ কেউ টাকা ধার করে হলেও সুযোগ নিয়ে থাকে। কিন্তু পোশাকগুলোর শালীনতা মান কেমন সেটা যাচাই করা হয় না।

পোশাক সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশনা হলো, “আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের শরীর আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ-সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটিই সর্বোত্তম।” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)

উল্লেখ্য, ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয হলো- শরীর আবৃত করা। শয়তান মানুষের এ দুর্বলতা আঁচ করে সর্বপ্রথম শরীর দেখানোর বিষয়ে সর্বাত্মক ওয়াসওয়াসা দেয়। পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা ইত্যাদি সবই এরপর। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ‘তাকওয়ার পোশাক’-এর উল্লেখ করা হয়েছে। এটিই হলো সর্বোত্তম পোশাক।

এটা হলো মূলত সুন্নতী পোশাক। অথচ মুসলমান আজ সুন্নতী পোশাক পরতে লজ্জা বোধ করে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ মুসলমান মারা গেলে এই সুন্নতী পোশাকই পরিয়ে দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু জীবিত অবস্থায় বর্তমানে মুসলমানরা যে হিন্দি সিরিয়ালের নামে নামকরণকৃত পোশাক পছন্দ করছে সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে তাশাব্বু বা মিল রাখে তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”

কাজেই দেখা যাচ্ছে- আজকের নামধারী মুসলমান তাদের পবিত্র ঈদ পালন করতে গিয়ে মুশরিকদের সাথে জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি জাহান্নাম সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।”

অথচ মুসলমান নিজেদেরকে তার জন্য প্রস্তুত করছে। নাঊযুবিল্লাহ! এদেরকে উদ্দেশ্য করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তবে কী উৎকৃষ্ট জিনিসের চেয়ে নিকৃষ্ট জিনিসই তোমাদের পছন্দ?”

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।