মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক তত্ত্বাবধানে অনেকগুলো বড় বড় জিহাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জিহাদে ঈমানদীপ্ত বীরত্ব প্রকাশকারী মহিলা উনাদের মধ্যে হযরত উম্মু উমারা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি অন্যতম। উনারই ঈমানদীপ্ত ঘটনা মুবারক নিয়ে আমাদের এবারের এই কলাম।
(১)
পবিত্র বদর জিহাদে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অধিবাসী কাফিরদের শোচনীয় পরাজয় হয়। প্রধান নেতারা নিহত হয়ে নিক্ষিপ্ত হয় বদরের অন্ধকার কূপে। জীবিতরা ফিরে যায় চরম বিপর্যস্ত হয়ে। বদর জিহাদে লাঞ্চনার প্রতিশোধ নিতে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অধিবাসী কাফিররা এবার উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে একত্রিত হয়েছে। ঐতিহাসিক উহুদ জিহাদের ঘটনা সম্পর্কে স্বয়ং হযরত উম্মু উমারা নুসাইবা বিনতে কাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বলেন, দিনের শুরুভাগে পবিত্র জিহাদের অবস্থা দেখার জন্য পবিত্র উহুদ প্রান্তরের পথে বের হই। আমার সাথে পানিভর্তি একটি পাত্র। সোজা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে চলে যাই। তিনি তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দ্বারা বেষ্টিত হয়ে অবস্থান মুবারক করছিলেন। শক্তি ও বিজয়ের বাতাস মুসলমান উনাদের পক্ষে বইছে। জিহাদের এক পর্যায়ে মুসলমান উনারা আক্রমনের সম্মুখীন হলে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরও কাছাকাছি চলে যাই। সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তরবারি হাতে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে আসা হামলা প্রতিহত করতে থাকি। ধনুক হাতে তীর ছুড়তে থাকি। যুদ্ধ করতে করতে বেশ কয়েকটি আঘাত পাই। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুব কাছ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
হযরত উম্মু উমারা নুসাইবা বিনতে কাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার দৃঢ়তা দেখে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দয়া দান ইহসান মুবারক করে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ নুসাইবা বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার অবস্থান অমুক-অমুকের অবস্থান থেকে উত্তম ছিল।”
হযরত ইবনু সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিন দেখেন, হযরত উম্মু উমারা নুসাইবা বিনতে কাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই করছেন। লড়াই করতে করতে হযরত উম্মু উমারা রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তেরোটি আঘাত পান। সবচেয়ে বড় আঘাতটি ছিল অশ্বারোহী মুশরিক ইবনু কামীয়ার। যার চিকিৎসা করতে লেগে যায় পুরো একটি বছর।
হযরত উম্মু উমারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতির বর্ণনায় সীরাত রচয়িতাগণ উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিনই ইরশাদ মুবারক করেছিলেন, “ডানে-বামে যেদিকেই তাকাই, দেখি হযরত উম্মু উমারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি আমাকে নিরাপদ রাখার জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন।” সুবহানাল্লাহ!
ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত আসমা বিনতু উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা
মুসলিম পরস্পরের প্রতি হামদরদী থাকা খুবই জরুরী
ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত উম্মে ওয়ারাকা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা