সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ব্যাপক আঞ্জামের বিষয়ে হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ উনাদের খিদমত, ত্যাগ ও অবদান বেমেছাল। হযরত পুরুষ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের কামিয়াবীর পিছনে হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ উনাদের অবদান ছিল বিষ্ময়কর ও অতুলনীয়। বিশেষ করে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেমেছাল মুহব্বত ও খিদমত প্রকাশ করতেন হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ।
যেমন তাবুকের জিহাদের সময় যিনি খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে তেমন কোন অর্থ মুবারক ছিলো না কারণ একদিকে ফসল কাটার সময় তখনও হয়নি অর্থাৎ ফসল উঠলে তা বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু তখনও ফসল ও ফল উঠার সময় হয়নি। অপরদিকে উনারা যেহেতু সবকিছু মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দিতেন, কোনকিছু জমা করে রাখতেন না। যার কারণে তিনি তাবুকের জিহাদের ঘোষণা শুনে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তখন উনার এই চিন্তাগ্রস্থ অবস্থা দেখে উনার সম্মানিতা আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি উনার কাছে চিন্তার কারণ জানতে চাইলেন। জবাবে তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাবুকের জিহাদের ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন এবং ইরশাদ মুবারক করেছেন, যার যার সাধ্য সামর্থ অনুযায়ী শরীক থাকার জন্য। কিন্তু আমার হাতে তেমন কিছু নেই, আমি কিভাবে শরীক থাকব। এজন্য আমি ভীষণ চিন্তিত। তখন উনার আহলিয়া বললেন, চিন্তার কোন কারণ নেই। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু সাধ্য সামর্থ অনুযায়ী শরীক থাকতে বলেছেন তাই আমাদের যা কিছু আছে, আপনি তা নিয়ে যান। তখন উনার আহলিয়া ঘরের সবকিছু এমনকি ঝাড়–টা পর্যন্ত একটা বস্তায় ঢুকিয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে তুলে দিলেন। এভাবেই উনার সম্মানিত আহলিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার চিন্তা মুবারক দূর করে দিলেন। তাবুকের জিহাদে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সর্বস্ব গোলামীতে আঞ্জাম মুবারক দেওয়ার ফলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে একটা সূক্ষ্ম ফিকিরের বিষয়- সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনি যে তাবুকের জিহাদে গোলামীতে আঞ্জাম মুবারক দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি- সন্তুষ্টি মুবারক হাসিল করেছিলেন তার পিছনে কার অবদান ছিলো? কাজেই বিষয়টি সহজেই বুঝা যাচ্ছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার অবদান মুবারক ছিল। সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্র ঘটনায় অনেক ইবরত নসীহত রয়েছে। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক উনার সম্মান তা’যীম-তাকরীম ইজ্জত মুবারককে প্রাধান্য দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই সুমহান পবিত্র ঘটনা থেকে ইবরত নছীহত হাছিল করার তাওফীক দান করুন।
-তাসনীম আহমদ খান।
প্রচলিত হারাম রছম করুন বর্জন, পবিত্র দ্বীন পালনেই কামিয়াবী অর্জন
ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
পিতা-মাতার দায়িত্ব সন্তানের সুন্দর শরীয়ত সম্মত নাম রাখা
ক্বদরে বাবা নাদানী, গারতু বাবা নাশাবী, ক্বদরে মাদর নাদানী, গারতু মাদর নাশাবী