হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনার নাম মুবারক হযরত আসমা, সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক উম্মে সালমা।
তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পরপরই তিনি সম্মানিত বাইয়াত মুবারক লাভের সীমাহীন সৌভাগ্য লাভ করেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা সম্মানিত খিদমত মুবারকে হাজির হয়ে তিনি পেশ করেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার জন্য আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। আমি মুসলিম
নারীদের পক্ষ থেকে পয়গাম নিয়ে এসেছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি নারী ও পুরুষ সকলের হিদায়েতের জন্য আপনাকে প্রেরণ করেছেন। আমরা আপনার অনুসারী, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি। আমাদের এবং পুরুষদের অবস্থানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা ঘরের চৌহদ্দীর মধ্যে অবস্থান করি। সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করি। আমরা হজ্বে যেতে পারি। সবচেয়ে বড় বিষয়, আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র রাস্তায় জিহাদ করতে পারি। এসব অবস্থায়ও আমরা ঘরের কাজ ও সন্তান লালন-পালনে সচেষ্ট থাকি। ঘরের মালামালের হিফাজত করি। কাপড় তৈরীর জন্য সূতা কাটি। আমরা কি পুরুষদের ন্যায় নেককাজ গুলির হিসসা পাব না?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনার বক্তব্য শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি দৃষ্টি মুবারক নিক্ষেপ করে বললেন, পবিত্র দ্বীন সম্পর্কে আপনারা কি কোন নারীর মুখে এমন বক্তব্য শুনেছেন?
সকলে বললেন, একজন নারী এমন সুওয়াল করতে পারেন, তা আমরা ধারণা করিনি।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, নারী যদি আহালের সন্তুটির ব্যবস্থা এবং আনুগত্য করেন এবং আহলিয়ার যে দায়িত্ব রয়েছে সে দায়িত্ব পালন করেন তবে সে নারীও পুরুষের সমান নেক কাজের হিসসা বা নেকি লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
১৫ হিজরীতে পবিত্র ইয়ারমুকের জিহাদে হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা তিনি তাবুর খঁুটি দিয়ে আঘাত করে নয় জন রোমক কাফিরকে হত্যা করে বীরত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
উনার পবিত্র প্রশংসায় বিভিন্ন কিতাব লিখকগণ বলেন, তিনি পরহেযগার এবং প্রজ্ঞা উভয় গুণে ভূষিত ছিলেন। অতিথির হক আদায়ে তিনি ছিলেন মশহুর।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা পবিত্র খিদমত মুবারক আঞ্জাম দিয়ে সীমাহীন সৌভাগ্যের অধিকারিনী হয়েছেন হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দয়া দান ইহসান মুবারক করে সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত সুলতানুন নাছির আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের মুবারক আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।
তাসনীম আহমদ খান
প্রচলিত হারাম রছম করুন বর্জন, পবিত্র দ্বীন পালনেই কামিয়াবী অর্জন
পিতা-মাতার দায়িত্ব সন্তানের সুন্দর শরীয়ত সম্মত নাম রাখা
ক্বদরে বাবা নাদানী, গারতু বাবা নাশাবী, ক্বদরে মাদর নাদানী, গারতু মাদর নাশাবী