‘উসওয়াতুন হাসানা’র হাসানা বা মডেল এবং “নুযুম” বা তারকা’র ব্যবহারকে ইসলাম বিরোধী চক্র কোথায় নিয়ে নামিয়েছে তা মুসলমান ভেবে দেখবে কি?

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মঙ্গা কবলিত নীলফামারী জেলার কৃষকরা পেটে পাথর চেপে নতুন ফসলের দিকে তাকিয়ে থাকলেও আগস্ট ও  সেপ্টেম্বরের বন্যা যে, তাদের স্বপ্নের বাঁধন ভেঙ্গেছে এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। জেলার অধিকাংশ আমনের জমিতে এবার শীষ আসেনি। বন্যার পর কারেন্ট পোকা, লেদা পোকা ও খোলপড়া রোগ নষ্ট করে দিয়েছে আমনের ক্ষেত। এবার ফসল হবে অর্ধেক জমিতে। অর্থাৎ এবার মঙ্গা থাকবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কিন্তু এরই মধ্যে চলে গেল ঈদ।

মূলতঃ এটা শুধু একটি নয়নতারা গ্রামের চিত্র নয়, এ মূলতঃ ৬৮ হাজার গ্রাম-বাংলারই প্রতি-চিত্র।

কিন্তু ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার এসব অভাবী, অভাগা, দুঃখ-ক্লিস্ট বেদনার্ত মানুষের বেদনা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোন পত্রিকার প্রকাশ নেই।

বরং পত্রিকাগুলো ব্যস্ত থাকে কোন নায়ক কোন দিন কোন উৎসবে কোন পোশাক পড়বেন, তার পোশাকে কয়টা বোতাম খোলা থাকবে, শাড়ী কতক্ষণ পড়বেন, জিন্স কতক্ষণ পড়বেন ইত্যাদির ধারার রিপোর্টিং নিয়ে।

পাশাপাশি বিউটি পার্লারগুলোতে কত মারাত্মক ভীড়, ফ্যাশন হাউজগুলো এবারে কি কি ডিজাইন বের করছে, কে কোন হাউজের কোন ডিজাইনের মডেল হয়েছে ইত্যকার ধারার রিপোর্টিং।

পাশাপাশি ১০৫টা তথাকথিত কোন নাটক কখন কোন টিভি চ্যানেল দেখাবে, কখন  কোন সিনেমা দেখাবে, তাতে কারা অভিনয় করছে ইত্যকার রিপোর্টিং।

অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, দেশ একটা সিনেমারাজ্যে পরিণত হয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

তারও পাশাপাশি ঈদ ফ্যাশন নিয়ে অনেক বিনোদন পত্রিকাই বের হয়েছে।

আবার তথাকথিত সিনেমা তারকা তথা মডেলদের নিয়েও অনেক তথাকথিত বিনোদন পত্রিকা বের হয়েছে।

আমরা জানিনা এরা তারকা শব্দের ব্যবহার করে কি করে?

এরা মডেল শব্দ ব্যবহার করে কি করে?

কারণ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার ছাহাবায়ে কিরামগণ তারকা সদৃশ।”

অর্থাৎ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ-এর ক্ষেত্রেই কেবল তারকা শব্দের প্রয়োগ হতে পারে।

আল্লাহ পাক-এর জমিনে নবীদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন ছাহাবায়ে কিরাম। অথচ সে ছাহাবাগণের উপাধি ‘তারকা’র সাথে আজকের দেহব্যবসায়ী, শয়তানের মুয়াজ্জিন; নাটক সিনেমা আর খেলার মাঠে পারদর্শী লোকদের ‘তারকা’ বলার প্রচারণা-

মূলতঃ চরম ইসলাম বিদ্বেষী ইহুদী-নাছারাদের গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।

আর মুসলমান  ইহুদীদের সে গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে দেহ ব্যবসায়ী, চরিত্র ধ্বংসকারী জাহান্নামের কীট, ইবলিসের এজেন্টদেরকেই মুসলমান তারকা বলতে অভ্যস্ত হচ্ছে।

দ্বিধাহীনচিত্তে তাদেরকেই তারকা রূপে উচ্চারণ করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

এতে করে তারা অবমাননা করছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমদের।

ধ্বংস করছে নিজেদের ঈমান।

হচ্ছে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত।

কাফেরদের এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কেই আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “ইহুদী-খ্রিস্টানরা সবসময়ই ষড়যন্ত্র করে যে মুসলমানরা ঈমান আনার পর যেন পুনরায় কাফিরে পরিণত হয়।”

বলাবাহুল্য দেহব্যবসায়ী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তারকা বলতে মুসলমানদের অভ্যস্ত করানো ইহুদী-নাছারার সে ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।

প্রসঙ্গতঃ হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে সেই আদর্শবান (মডেল) যার চরিত্র উত্তম। অর্থাৎ যে পরহেযগার, মুছল্লী মুত্তাক্বী।”

কিন্তু কোরআন-সুন্নাহ’য় ঘোষিত সে উত্তম চরিত্রবান বা আদর্শবান লোকের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানেই এখন সমাসীন করা হয়েছে দেহবল্লরী, রূপ-সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী, বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিকে।

তাদেরকেই এখন বলা হচ্ছে ‘মডেল’ বা ‘আদর্শবান’ তাদেরকেই বলা হচ্ছে তারকা। (নাঊযুবিল্লাহ)

অথচ মুসলমানদের ফিকির করা দরকার যে কোরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে, “নিশ্চয়ই তোমাদের রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।” উল্লেখ্য, এই আদর্শের ইংরেজী হল ‘মডেল’।

মূলতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরে সর্বোত্তম আদর্শের অনুসারী হলেন- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ। হাদীছ শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার প্রত্যেক ছাহাবা তারকা সদৃশ।”

মূলতঃ কথিত ‘তারকা’ এবং ‘মডেল’ শব্দের এরূপ অবমূল্যায়ন করে ইহুদী খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মধ্য থেকে স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের প্রতি মূল্যবোধ ও মুহব্বত উঠিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

পাশাপাশি তারা মডেল শব্দের অপব্যবহারে মুসলমানদের মাঝে আদর্শবান বা উত্তম হওয়ার চেতনাবোধও বিলুপ্ত করে দিচ্ছে।

এর দ্বারা মুসলমান তার অজান্তেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মর্যাদা ও তাঁদের গৌরবজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে বেখবর হয়ে পড়ছে।

ইসলামের গৌরব সম্পর্কে বেখবর হয়ে আছে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমদের অনুকরণ করে আদর্শবান বা মডেল হওয়ার অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলেছে।

মুসলমানদের মধ্য থেকে ঈমানী জজবা উঠিয়ে দেয়ার জন্যই ইহুদী খ্রিস্টানরা তারকা ও মডেল শব্দের এরূপ অপব্যবহার ও অবমূল্যায়ন করছে।

যেমন বৃটিশরা খাছ সুন্নত পাগড়ীকে তাদের আরদালী ও ঘোড়ার সহিষের মাথায় পড়িয়ে পাগড়ীর অবমাননা তথা ইসলামী ঐতিহ্যের অবমূল্যায়ন করেছিল।

অথচ মুসলমানদের তারপরেও হুশ হচ্ছেনা। বেখবর বেসামাল হয়ে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক ঐ জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে জাতি নিজেরাই তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন না করে।”

-মুহম্মদ জিসান আরিফ

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩