এক মাস ধরে নফল রোযা রেখে ফায়দা পেতে হলে খালেদা জিয়াকে আগে যেসব ফরয কাজের মূল্যায়ন করতে হবে-

সংখ্যা: ২০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর মামলা-হামলা বাড়ার পর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিদিন এই নফল রোযা রাখছেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন রোযা রাখতেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসলামী আহকাম চারভাবে বিভক্ত। ফরয- যা অবশ্য করণীয়। ওয়াজিব- যা ফরযের কাছাকাছি। সুন্নতে মুয়াক্কাদা- যা তরক করলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হয়। আর সুন্নতে যায়িদা বা নফল- যা করলে সওয়াব আছে না করলে গুনাহ নেই।

প্রসঙ্গত খালেদা সপ্তাহে ২/৩টি নফল রোযা রাখেন যা খুবই ভালো কথা। তবে এ রোযা না রাখলেও তার গুনাহ নেই। কিন্তু খালেদা যে পর্দা তরক করেছেন এবং করছেন তাতে কিন্তু তার এ যাবৎ কোটি কোটি কবীরা গুনাহ হয়েছে।

কারণ, হাদীছ শরীফ মোতাবেক একটা দৃষ্টিতে একটা কবীরা গুনাহ। সুতরাং খালেদা জিয়ার ছবি অথবা সামনাসামনি যতো পুরুষ তাকে দেখেছে ততোগুলো কবীরা গুনাহ তার আমলনামায় লেখা হয়েছে।

সুতরাং নেকী কামাতে হলে, নফল রোযা দ্বারা ফায়দা পেতে হলে প্রথমত খালেদার ওইসব মহা কবীরা গুনাহ থেকে তওবা করা ফরয। পাশাপাশি আগামীতে ক্ষমতায় আসলে খালেদা গোটা দেশব্যাপী পূর্ণ শরীয়তী পর্দার প্রচলন করবেন এ ঘোষণা দিয়ে অতীতের কাফফারা আদায় করাও তার জন্য ওয়াজিব।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধী, জামাতীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা যে গুনাহ করেছেন সে গুনাহ থেকেও তওবা করা তার জন্য ওয়াজিব।

তার পাশাপাশি ডিশ-এন্টিনা চালুসহ যেসব বেপর্দা-বেহায়া কাজের প্রচলন তার সরকার করেছেন সেগুলো থেকে তওবা করাও তার জন্য ফরয। পাশাপাশি তার আমলে দুর্নীতির যে দৌরাত্ম্য হয়েছে তাতে যে

হক্কুল ইবাদ নষ্ট হয়েছে সে হক্কুল ইবাদ পূরণ করাও তার জন্য ফরয-ওয়াজিব।

বলাবাহুল্য, সব কবীরা গুনাহ থেকে তওবা করে, সব হক্কুল ইবাদ আদায় করে তারপরেই খালেদা জিয়া ‘নফল রোযা’ দ্বারা ফায়দা পেতে পারেন।

তবে খালেদার নফল রোযা দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, খালেদা জিয়া যতোবারেই প্রধানমন্ত্রী হন, যতই ফ্যাশনাবল হন, যতোই আত্মপ্রত্যয়ী হন-

তিনিই ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের বাসিন্দা হিসেবে তথা মুসলমান হিসেবে ইসলামী অনুভূতির বিপরীতে যেতে পারেননি। বরং বিপদে ইসলামী অনুভূতি দ্বারাই চালিত হয়েছেন।

বলাবাহুল্য, এ শুধু খালেদার একক অনুভূতি নয়।

এ দেশবাসী সব খালেদার।এ দেশবাসী সব হাসিনার।

এ দেশবাসী সকলের।

সেক্ষেত্রে খালেদা-হাসিনা সবারই উচিত-

দেশের সংবিধানে দেশের সরকারে

প্রশাসনে শিক্ষানীতিতে

সব নীতিতে

পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামী মূল্যবোধের সর্বাত্মক প্রতিফলন ঘটানো ও বাস্তবায়ন করা।

– মুহম্মদ আরিফুর রহমান

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ