এবারের টিআইবি’র দুর্নীতি বিষয়ক রিপোর্টেও মুসলিম দেশের শীর্ষ অবস্থানের জন্য দায়ী কে?

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ ঈসায়ী তারিখে “দৈনিক আল ইহসান”-এ প্রথম লিড নিউজ হয়, “তিন ধাপ এগোলেও টিআইবি মনে করছে না দুর্নীতি কমেছে। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এবার দশম।”

এছাড়া ঐ দিনের অন্য সব পত্রিকাই এ খবর লিড নিউজ করে।

টিআইবি’র মতে, বাংলাদেশে এখনো যথেষ্ট দুর্নীতি রয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্নীতির সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান দশম। স্কোর ২ দশমিক ১। গতবার এ স্কোর ছিলো ২ এবং অবস্থান ছিলো সপ্তম। এবারের সূচকের তালিকায় বাংলাদেশের সমান স্কোর পেয়ে সম্মিলিতভাবে দশম অবস্থানে রয়েছে কেনিয়া, রাশিয়া ও সিরিয়া।

রিপোর্ট অনুসারে, গতবারের মতো এবারো সবচেয়ে কম স্কোর পয়েন্ট ১ পেয়ে দুর্নীতির শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে সোমালিয়া। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে মায়ানমার ও ইরাক। তৃতীয় হাইতি। চতুর্থ আফগানিস্তান। আর সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৩ স্কোর পয়েন্ট পেয়ে সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যুগ্মভাবে ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। দুর্নীতিমুক্ত থাকার তালিকায় অর্থাৎ ঊর্ধ্ব ক্রমানুসারে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৪৭তম।

উল্লেখ্য, টিআইবি’র রিপোর্টে প্রতিবছরই একটা বিষয় প্রতিভাত হয় যে, দুর্নীতির শীর্ষে থাকে মুসলিম দেশগুলো।

অথচ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক মুসলমানদের মিথ্যা না বলতে, দুর্নীতি না করতে অনেক উৎসাহব্যঞ্জক আয়াত শরীফ এবং অনেক ভীতি প্রদর্শনকারী আয়াত শরীফও উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু তারপরেও মুসলমানরাই দুর্নীতিপরায়ণ প্রমাণিত হচ্ছে।

তাহলে কী বলতে হবে যে, বিধর্মীরা মুসলমানদের আদর্শ গ্রহণ করেছে আর মুসলমানরা বিজাতীয় এজেন্ট দ্বারা নষ্ট হয়ে গেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

আসলেই বিষয়টি তাই।

 ক্রুসেডের যুদ্ধের পর থেকে বিধর্মীরা দেখেছে যে, মুসলমানদের যে ঈমানী বল তাতে তারা কোনদিনই মুসলমানদের সাথে পেরে উঠবে না।

সেক্ষেত্রে তারা মুসলমানদের মধ্যে তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে দেয়।

তারা মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম বিরোধী আক্বীদা ঢুকিয়ে দেয়।

হারামকে হালাল করে দেয়।

হারাম-হালালের প্রতি যে ঈমানীবোধ, যে জজবা, যে দৃঢ়তা, যে নৈতিক অনুভূতি সেটা নষ্ট করে দেয়।

তারাই হল ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘ছূ’।

তারা ছবি, বেপর্দা, সুদ, দুর্নীতি সবই ইসলামের নামে জায়িয করে দিচ্ছে।

তারা এ ঘোষণাও দিচ্ছে, দেশে যতক্ষণ ইসলামী সরকার না আসবে ততক্ষণ সব হারামই হালাল। (নাঊযুবিল্লাহ)

মূলতঃ গোটা মুসলিম বিশ্বে এ ধরনের ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘ছূ’দের অবাধ দৌরাত্ম্য।

তাদের বদ তাছিরেই গোটা মুসলিম বিশ্বের আজ এ অবস্থা।

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ধর্মব্যবসায়ীরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট।” আর এ নিকৃষ্টদের থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় মূল দাজ্জাল আসার আগে এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষও শুনেনি। তোমরা তাদের কাছে যেয়ো না এবং তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিয়ো না।

তবে তারা তোমাদের গুমরাহ করতে পারবে না।”

কাজেই মুসলিম জনসাধারণ যতদিন যাবত এ ধর্মব্যবসায়ীদেরকে থুথু নিক্ষেপ করে দূরে সরাতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান প্রাপ্ত দেশ হিসেবে তাদের অপমান ঘোচাতে পারবে- একথা কখনই বলা যায় না।

মুহম্মদ ওয়ালী উল্লাহ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।