কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ অস্বীকার ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করায়- জামাতে মওদুদীর আমীর তার বক্তব্যের দ্বারা মুরতাদ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারকারী এবং প্রতিবাদী না হওয়ায় গোটা জামাতে মওদুদী গংই মুরতাদ বলে গণ্য হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের তওবার সময় ৩ দিন। অন্যথায় একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্প্রতি জামাতে মওদুদীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী বলেছে, “পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের অনুসারীদের সাথে মতপার্থক্য কমিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করার জন্য কুরআনে মুসলমানদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।” (সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম-৫-৯-২০০৮)

ইসলামের দৃষ্টিতে মতিউরের বক্তব্য সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী হয়েছে। যা তাকে কাট্টা মুরতাদে পরিণত করেছে।

মুরতাদ ও মুনাফিক মতিউর রহমান নিজামী আরো বলেছে, “পবিত্র কুরআনে এর পূর্বে নাযিলকৃত যবুর, তাওরাত ও ইঞ্জিল ইত্যাদি আসমানি কিতাবসমূহকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।”

এর দ্বারা মূলতঃ সে বোঝাতে চেয়েছে যে, ঐসব কিতাবের হুকুমও বর্তমান চালু রয়েছে। এবং ঐসব কিতাবও যারা বর্তমানে অনুসরণ করবে তারাও ঠিক পথে আছে।

মূলতঃ ‘৭১-এ জামাতে মওদুদীরা যেমন পাকিস্তানী হালুয়া-রুটি খেয়ে এদেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছিলো এখন তেমনিই আর্ন্তজাতিক ইহুদী-খ্রিস্টানদের থেকে হালুয়া-রুটি খেয়ে বর্তমানে গোটা মুসলিম উম্মাহ্র সাথে ইসলাম নিয়ে প্রতারণা করছে।

মূলতঃ এর দ্বারা মতিউরের মুনাফিকী ও মুরতাদী দুটোই জাহির হয়েছে। মতিউরের বক্তব্য সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী হয়েছে। যা তাকে কাট্টা মুরতাদে পরিণত করেছে।

কুরআন শরীফ-এ অনেক আয়াত শরীফ দ্বারা মতিউরের “পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের অনুসারীদের সাথে মতপার্থক্য কমিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করার জন্য কুরআনে মুসলমানদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে” এ বক্তব্য সরাসরি কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ অস্বীকার ও বিদ্রোহীতার শামিল বলে প্রমাণিত হয়।

কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তিনিই প্রেরণ করেছেন আপনার রসূলকে হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহকারে। যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করে। যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে।”

“তিনিই তাঁর রসূলকে হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন। যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠারূপে আল্লাহ পাক যথেষ্ট।” (সূরা ফাত্হ-২৮)

“তিনিই তাঁর রসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন। যাতে একে সর্বধর্মের উপর প্রাধান্য করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।”

“নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক-এর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র দ্বীন ইসলাম এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ যারা আল্লাহ পাক-এর নির্দেশসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ পাক হিসেবে গ্রহণে অত্যন্ত কঠোর।”

“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কশ্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।”

উল্লেখ্য, নিজামী আরো বলেছে, “পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবের অনুসারীদের সাথে মতপার্থক্য কমিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্প্রতির সাথে বসবাস করার জন্য কুরআনে মুসলমানদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”

অথচ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ত্রুটি করে না। তোমরা কষ্টে থাক তাতেই তাদের আনন্দ।” (সূরা আলে ইমরান-১১৪)

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-খ্রিস্টানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একজন অপরজনের বন্ধু। যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ পাক জালিমদের পথপ্রদর্শন করেন না।” (সূরা মায়িদাহ-৫১)

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন বা ধর্ম যে গ্রহণ করবে তার থেকে তা কবুল করা হবে না এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ততার শিকার হবে।”

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “ইহুদী-নাছারারা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের দ্বীনকে গ্রহণ না করবে।”

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদাররা! তোমরা আল্লাহ পাক-এর শত্রু এবং তোমাদের শত্রু ইহুদী-নাছারাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।”

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু বানাইও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহ পাক-এর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে।” (সূরা নিসা-১৪৪)

“মু’মিনগণ যেন অন্য মু’মিনকে ছাড়া কোন কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহ পাক-এর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ পাক তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন এবং সবাইকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।” (সূরা আলে ইমরান-২৮)

উপরোক্ত আয়াত শরীফ-এর প্রেক্ষিতে প্রতিভাত হয় যে, ১. ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্ম বাতিল। ২. ইহুদী-খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা নিষেধ। ৩. ইহুদী-নাছারারা মুসলমানদের কাফির বানাতে বন্ধ পরিকর। ৪. ইহুদী-নাছারারা আল্লাহ পাক-এর শত্রু, মুমিনদের শত্রু।

কুরআন শরীফ-এ আরো অনেক স্থানে ইহুদী-খ্রিস্টানদের সম্পর্কে এরকম কথা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। কাজেই প্রতিভাত হয় নিজামীর বক্তব্য কুরআন শরীফ-এর অনেক আয়াত শরীফ সরাসরি অস্বীকার ও অবমাননা করার শামীল। যা তাকে ও তার জামাতকে কাট্টা মুরতাদে পরিণত করেছে।

মূলতঃ জামাতে মওদুদীরা কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ স্পষ্টরূপে অস্বীকার করার কারণে, বিকৃত করার কারণে তারা শুধু মহা মুরতাদই নয়; তারা আল্লাহ পাক-এর নামে মহা মিথ্যাবাদী। আল্লাহ পাক তাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, “তাদের চেয়ে বড় জালিম কে যারা আল্লাহ পাক-এর প্রতি মিথ্যারোপ করে।”

আসলে জামাতে মওদুদীই সে মহা জালিম ও মহা মুরতাদ। মুরতাদের ফায়ছালা হলো, তার তওবার জন্য নির্ধারিত সময় তিন দিন। এর মধ্যে তওবা না করলে তার শাস্তি মৃত্যুদ-। সে হজ্জ করে থাকলে তার হজ্জ বাতিল হবে, স্ত্রী তালাক হবে, তার ওয়ারিশ স্বত্ব বাতিল হবে। সে মারা গেলে তার জানাযা পড়া যাবে না। তাকে কুকুর-শৃগালের মত গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখতে হবে।

– মুহম্মদ তারীফুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন