কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৭

সংখ্যা: ২০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি। আল্লাহ পাক-উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-এর অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহর বা  ইহ্তিয়াতুয্ যোহর আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা)  ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং  ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)   ২৭.  ইসলামের  নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) পেশ করার পর ১৬৮তম সংখ্যা থেকে-

২৮তম ফতওয়া হিসেবে

“কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত”-এ এমন সব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে,

استحلال المعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী।)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “ছূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে “ছূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون.

অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর-উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)

উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় “উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারীতে” উল্লেখ আছে,

وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.

অর্থঃ ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জন্তুর ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুাহর অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে “ছূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

 

প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ

 

 

স্মর্তব্য যে, নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য প্রায় হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিক্বাহ-ফতওয়ার কিতাবেই “প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-

ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি

মুসলিম

 

(৬১৯)

وذهب اخرون الى جواز كل ما كان منها رقما فى ثوب.  (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۴(

অর্থ: অপরাপর উলামায়ে কিরামগণ উনাদের মতে, কাপড়ে বা অন্যকিছুতে প্রাণহীন বস্তুর নকশা করা জায়িয। (ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৪ পৃষ্ঠা)

(৬২০)

قال بعض علمائنا: ويحتمل ما قاله عليه السلام فى النهى فى جميع الصور على الكراهة، ويحتمل انه على التحريم الا ما استثناه من الرقم فى الثوب. (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۷ المفهم الجلد ۳ الصفحة ۱۶۵)

অর্থ: আমাদের কতিপয় উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম বলেন, সাইয়্যিদুনা হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাণীর তাৎপর্য হলো- সমস্ত প্রকার প্রাণীর ছবি মাকরূহ তাহরীমী। প্রাণীর ছবির চর্চা হারাম, কিন্তু কাপড়ে প্রাণহীন বস্তুর নকশা হারাম নয় বরং জায়িয। (ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৭ পৃষ্ঠা, আল মুফহিম ৩য় খ- ১৬৫ পৃষ্ঠা)

(৬২১)

وما جاء فى لعن المصورين: كل هذا يدل على تحريم صنعة الصور وانها من الكبائر. (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۸)

অর্থ: ছবি অঙ্কনকারীদের উপর অভিসম্পাত: এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা হারাম। আর ইহা বড় কবীরা গুনাহ। (ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৮ পৃষ্ঠা)

(৬২২-৬২৩)

دليل على أن هذا الوعيد فى المصور لما له روح، خلاف مالا روح فيه من الثمار فقد اجاز هذا العلماء واجازوا صنعته والتكسب به الا مجاهدا فانه جعل الشجر المثمر من المكرون ولم يقله غيره. (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۸، المفهم الجلد ۳ الصفحة ۱۶۶(

অর্থ: প্রাণবিশিষ্ট প্রাণীর ছবি অঙ্কনকারীর জন্য কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত আছে। তবে প্রাণহীন গাছপালা ও জড় বস্তু অঙ্কনকারীর শাস্তি হবে না। হযরত উলামায়ে কিরাম প্রাণহীন বস্তুর ছবিকে জায়িয বলেছেন। উনারা এমন ছবি তৈরি করা এবং এর দ্বারা উপার্জন করাকে জায়িয বলেছেন। তবে এতে হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যরকম মত দিয়েছেন। কেননা উনার মতে, ফলবিশিষ্ট গাছের ছবি মাকরূহ তানযীহী। উনার মতো এমনটি কেউ ফতওয়া দেননি। (ইকমালুল মুলিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৮ পৃষ্ঠা, আল মুফহিম ৩য় খ- ১৬৬ পৃষ্ঠা)

(৬২৪)

قال المهلب: ثم استقرت الكراهة على ما فيه الروح. (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۹)

অর্থ: মুহলিব বলেন: প্রাণবিশিষ্ট প্রাণীর ছবি মাকরূহ তাহরীমী। (ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৯ পৃষ্ঠা)

(৬২৫-৬২৬)

وقال بعض العلماء: ان رأس الصورة اذا قطعت فهو تغيير لها ويباح اتخاذها حينئذ. (اكمال المعلم بفوائد مسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجلد ۶ الصفحة ۶۳۹، معالم السنن للخطابى الجلد ۴ الصفحة ۳۸۹(

অর্থ: কতিপয় উলামায়ে কিরাম বলেন, প্রাণীর ছবির মাথা কাটা হলে যদি তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় অর্থাৎ প্রাণীর ছবির মতো বুঝা না যায়, তাহলে এ অবস্থায় তা ঘরে রাখা জায়িয এবং এমন ঘরে নামায পড়াও জায়িয। (ইকমালুল মু’লিম বিফাওয়ায়িদি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক ও সাজ-সজ্জা পরিচেছদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা হারাম ৬ষ্ঠ খ- ৬৩৯ পৃষ্ঠা, মায়লিমুস সুনান লিল খত্তাবী ৪র্থ খ- ৩৮৯ পৃষ্ঠা)

 

আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম

 

কিতাবখানা লিখেছেন হযরত ইমাম হাফিয আবুল আব্বাস আহমদ বিন উমর বিন ইবরাহীম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি। জন্ম মুবারক : ৫৭৮ হিজরী। ওফাত মুবারক : ৬৫৬ হিজরী। অত্র কিতাবে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে যা উল্লেখ আছে-

(৬২৭)

واما الصورة: فيراد بها التماثيل من ذوات الارواح. ويستثنى من ذلك الصورة المرقومة. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة الجزء ۵ الصفحة ۴۲۱ دار ابن كثير دمشق بيروت ودار الكلم الطيب دمشق بيروت.)

অর্থ: ছূরত দ্বারা প্রাণবিশিষ্ট প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য উদ্দেশ্য (যা শরীয়তে নাজায়িয ও হারাম)। কিন্তু প্রাণহীন বস্তুর ছবি এ হুকুম থেকে আলাদা। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে ৫ম খ- ৪২১ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : দারু ইবনি কাছীর দামেশক বৈরুত এবং দারুল কালামিত ত্বইয়্যিব)

(৬২৮)

وانما لم تدخل الملائكة البيت الذى فيه التمثال، لان متخذها فى بيته قد تشبه بالكفار الذين يتخذون الصور فى بيوتهم ويعظمونها، فكرهت الملائكة ذلك منه ، فلم تدخل بيته هجرانا له وغضبا عليه. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة الجزء ۵ الصفحة ۴۲۱)

অর্থ: নিশ্চয়ই রহমতের ফেরেশতাগণ ওই সকল ঘরে প্রবেশ করেন না যেখানে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে। এটা এজন্য যে, যেহেতু তার ঘরে এমন জিনিস রেখেছে, যা কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য রাখে। আর কাফিররা তাদের ঘরে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য রাখে এবং এগুলিকে সম্মান করে। এ কারণে ফেরেশতাগণ সেখানে প্রবেশ করতে অপছন্দ করেন। এমন স্থানে প্রবেশ করতে তাঁরা দূরত্ব বজায় রাখেন এবং তার উপর গোসসা করেন। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে ৫ম খ- ৪২১ পৃষ্ঠা)

(৬২৯)

والجمهور على المنع. ممنهم من منعه تحريما، وهو مذهب ابن شهاب ترجيحا لحديث حضرت عائشة عليها السلام على حديث زيد، والجمهور حملوه على الكراهة. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة الجزء ۵ الصفحة ۴۲۴)

অর্থ: জমহুর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা নিষিদ্ধ তথা হারাম। যাঁরা ইহাকে নিষেধ করেন উনারা উহা হারামের কারণেই নিষেধ করে থাকেন। ইহা হযরত ইবনু শিহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত। যা হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এর ভিত্তিতে। জমহুর উলামায়ে কিরামের কেউ কেউ মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে ৫ম খ- ৪২৪ পৃষ্ঠা)

(৬৩০)

فحصل من مجموع هذه القرائن: ان اتخاذ الثياب التى فيها التماثيل محرم رقما كان فيها او صبغا، وهو مذهب ابن شهاب فانه منع الصور على العموم واستعمال ما هى فيه، ودخول البيت الذى هى فيه رقما كانت او غيره فى ثوب او حائط يمتهن او لا يمتهن تمسكا بعمومات هذا الباب، وبما ظهر من هذا الحديث (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب كراهية الستر فيه تماثيل الجزء ۵ الصفحة ۴۲۶)

অর্থ: সমস্ত দলীলের ভিত্তিতে এটাই সাব্যস্ত হয়েছে যে, প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট কাপড় বা পোশাক ব্যবহার করা হারাম। তা আঁকা হোক অথবা রঙ করা হোক সমান হুকুম। ইহা হযরত ইবনু শিহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত। তিনি আমভাবে প্রাণীর ছবিকে নিষেধ করেন এবং এর ব্যবহারকেও নিষেধ করেন। ওই সমস্ত ঘরেও প্রবেশ করা নিষেধ যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, প্রাণীর ছবি কাপড়ে থাকা অথবা দেয়ালে থাকা লাঞ্ছনার জন্য তৈরি করা হোক অথবা লাঞ্ছনার জন্য না হোক সর্বাবস্থায় তা হারাম। হাদীছ শরীফ দ্বারা এ হুকুমই স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা মাকরূহ তাহরীমী ৫ম খ- ৪২৬ পৃষ্ঠা)

(৬৩১)

وذهب اخرون: الى كراهة ماكان منها معلقا، لان ذلك مضاهلة لمن يعظم الصور ويعبدها كالنصارى وكما كانت الجاهلية تفعل. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب كراهية الستر فيه تماثيل الجزء ۵ الصفحة ۴۲۶)

অর্থ: অপরাপর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মতে: কোথাও প্রাণীর ছবি ঝুলিয়ে রাখা মাকরূহ তাহরীমী। এতে যারা প্রাণীর ছবি-মূর্তিকে সম্মান করে তাদের সাদৃশ্যতা তৈরি হয় এবং নাছারা তথা খ্রিস্টানদের মতো উপাসনা করা হয়, যেমনিভাবে জাহিলিয়াত যুগে করা হয়েছিলো। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা মাকরূহ তাহরীমী ৫ম খ- ৪২৬ পৃষ্ঠা)

(৬৩২)

والحاصل من مذاهب العلماء فى الصور: ان كل ماكان منها ذا ظل فصنعته واتخاذه حرام. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب كراهية الستر فيه تماثيل الجزء ۵ الصفحة ۴۲۶)

অর্থ: উলামায়ে কিরামের মাযহাবসমূহে তথা চার মাযহাবের সকলের মতে দেহধারী প্রাণীর মূর্তি-ভাস্কর্য (প্রাণীর ছবি) তৈরি করা এবং চর্চা করা হারাম। (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা মাকরূহ তাহরীমী ৫ম খ- ৪২৬ পৃষ্ঠা)

(৬৩৩)

(وقوله: كل مصور فى النار) محمله على مصورى ذوات الارواح بدليل قوله صلى الله عليه وسلم: يقال لهم احيوا ما خلقتم. (المفهم لما اشكل من تلخيص كتاب مسلم كتاب اللباس باب اشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون الجزء ۵ الصفحة ۴۳۲)

অর্থ: (উনার বাণী: প্রত্যেক প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য আঙ্কণকারী জাহান্নামী) হাদীছ শরীফ-এ প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরিকারীদের কথা বলা হয়েছে। প্রাণবিশিষ্টকে খাছ করা হয়েছে এ দলীলের ভিত্তিতে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, তাদেরকে বলা হবে তোমরা এতে প্রাণ দাও।” (আল মুফহিম লিমা আশকালা মিন তালখীছি কিতাবি মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ, পরিচ্ছেদ: ক্বিয়ামতের দিন ওই সমস্ত ব্যক্তির কঠিন শাস্তি হবে যারা প্রাণীর ছবি তোলে আঁকে রাখে দেখে ৫ম খ- ৪৩২ পৃষ্ঠা)

 

 

ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম (শরহুল উবাই আলাল মুসলিম)

 

কিতাবখানা লিখেছেন হযরত ইমাম মুহম্মদ বিন খলীফাহ আল ওয়াশতানী আল উবাইয়ি রহমতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত মুবারক : ৮২৭ হিজরী, মতান্তরে ৮২৮ হিজরী। অত্র কিতাবে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে যা বর্ণিত আছে-

(৬৩৪)

واجمعوا على منع تصوير ماله ظل. وعلى منع دخول ماهو فيه وعلى وجوب تغييره وكسره. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۲ دار الكتب العلمية بيروت لبنان)

অর্থ: দেহধারী মূর্তি-ভাস্কর্য (প্রাণীর ছবি) নিষিদ্ধ তথা হারাম হওয়ার ব্যাপারে সকল উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ইজমা বা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এমন ঘর বা স্থানে প্রবেশ করাও নিষেধ তথা হারাম। অতএব, এগুলো ধ্বংস করা ও ভেঙে ফেলা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫২ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ বৈরুত লিবানন)

(৬৩৫)

واختلف فى تصوير مالا ظل له، فكرهه ابن شهاب فى اى شىء صور من حائط او ثوب او غيرهما. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۲)

অর্থ: কেউ কেউ দেহহীন প্রাণীর ছবির ব্যাপারে ইখতিলাফ করেছেন। কিন্তু আল্লামা হযরত ইমাম ইবনু শিহাব রহমতুল্লাহি তিনি আলাইহি ইহার চর্চাকে মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন। তা যেকেনোভাবে যেমন দেয়ালে, কাপড়ে অথবা এ ছাড়া অন্য যে কোনো খানে আঁকা হোকনা কেনো, সর্বাবস্থায় তা মাকরূহ তাহরীমী। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫২ পৃষ্ঠা)

(৬৩৬)

وكره مالك والشافعى وابو حنيفة والاكثر ماصور فى غير ثوب او فى ثوب لا يمتهن (او يمتهن)، وهو اصح الاقاويل والجامع بين الاحاديث. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۲)

অর্থ: হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযর ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও অধিকাংশ ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা কাপড় ছাড়া অন্য কিছুতে এবং কাপড়ে লাঞ্ছনার জন্য না হোক (অথবা লাঞ্ছনার জন্য হোক) সর্বাবস্থায় সর্বস্থানে প্রাণীর ছবি তৈরি করাকে মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন। এ মতটিই সকল মতের মধ্যে অধিক বিশুদ্ধ মত এবং সকল হাদীছ শরীফ মুতাবিক মূল ফায়সালা। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫২ পৃষ্ঠা)

(৬৩৭)

قال بعض اصحابنا: تصوير ذى الروح حرام وكبيرة للتوعد عليه بالنار، واما تصوير غير ذى الروح كالشجر فليس بحرام، هذا حكم نفس التصوير. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۲)

অর্থ: আমাদের কতক উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম বলেন, প্রাণীর ছবির চর্চা হারাম ও কবীরা গুনাহ, যেহেতু এ ব্যাপারে জাহান্নামী হওয়ার কঠিন ধমকিবাণী আছে। তবে প্রাণহীন বস্তু যেমন গাছপালা ইত্যাদির ছবি হারাম নয়। ইহাই ছবির ব্যাপারে মূল বিধান। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫২ পৃষ্ঠা)

(৬৩৮)

وما اتخاذ المصور وفيه صورة ذى روح فان كان معلقا فى حائط او ثوب مما (يمتهن او) لا يمتهن فهو حرام (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۳)

অর্থ: ছবি অঙ্কনকারী (লাঞ্ছনার জন্য অথবা) অলাঞ্ছনার জন্য প্রাণীর ছবি অঙ্কন করে, আর তা যদি দেয়ালে অথবা কাপড়ে লটকানো থাকে তাহলে তা হারাম হবে। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫৩ পৃষ্ঠা)

(৬৩৯)

ولافرق فى هذا كله بين ماله ظل ومالا ظل له، هذا تلخيص مذهبنا فى المسألة. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۳)

অর্থ: দেহবিশিষ্ট প্রাণীর মূর্তি-ভাস্কর্য এবং দেহহীন প্রাণীর ছবি হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। মূর্তি-ভাস্কর্য ও প্রাণীর ছবি সম্পর্কিত এটাই আমাদের মাযহাবের মৌলিক কথা। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫৩ পৃষ্ঠা)

(৬৪০)

يحتج به من يجيز الرقم مطلقا وجوابنا وجواب الجمهور انه محمول على رقم مالا روح فيه (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۶)

অর্থ: প্রমাণিত যে, কাপড়ে প্রাণহীন বস্তুর নকশা সাধারণত জায়িয। আমাদের এবং জমহুর উলামায়ে কিরামগণের জবাব হলো জায়িয হওয়া নির্ভর করবে যার মধ্যে রূহ বা প্রাণ নেই তার উপর। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫৬ পৃষ্ঠা)

(৬৪১)

يستدل به على منع ستر الحيطان بالستور وهو منع كراهة، وقال ابو الفتح: من اصحابنا هو حرام . (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۷)

অর্থ: হাদীছ শরীফ দ্বারা দেয়ালে প্রাণীর ছবিবিশিষ্ট পর্দা ঝুলানো নিষেধ প্রমাণিত হয়। যা মাকরূহ তাহরীমীমূলক নিষেধ। হযরত আবুল ফাতহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: আমাদের উলামায়ে কিরামগণের মতে, প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরি করা চর্চা করা হারাম। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫৭ পৃষ্ঠা)

(৬৪২)

يدل على انه من الكبائر المتوعد عليه النار. وقيل: المراد به الكفار الذين يصورون الاصنام لعابديها اذ لا يكون المسلم اشد عذابا من الكافر، وقيل: المراد الذين يقصدون تشبيه خلق الله تعالى واما المصور الذى لا يقصد ذلك فهو عاص (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۵۹)

অর্থ: প্রমাণিত যে, এ কাজটি কবীরা গুনাহ, যার জন্য জাহান্নামের শাস্তি অবধারিত। কেউ কেউ বলেন, কঠিন শাস্তির কথা কাফিরদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যারা ইবাদতের জন্য মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরি করে। তাই কাফিরদের থেকে ফাসিক মুসলিমদের শাস্তি কঠিন নয়। আবার কেউ কেউ বলেন, কঠিন শাস্তি তাদের হবে যারা আল্লাহ তায়ালা উনার সৃষ্টির সাদৃশ্যের উদ্দেশ্যেই প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরি করে। আর ছবি অঙ্কনকারীর যদি এমন উদ্দেশ্য না থাকে তাহলেও ওই ব্যক্তি কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৫৯ পৃষ্ঠা)

(৬৪৩)

وقال بعض العلماء: يحمل ما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى جميع هذه الصور انه على الكراهة، ويحتمل انه على التحريم الا ما استثنى من الرقم (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۶۲)

অর্থ: কতক উলামায়ে কিরাম বলেন, সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুতাবিক সকল প্রাণীর ছবি মাকরূহ প্রমাণিত হয়। নিশ্চয়ই এ কারাহাত দ্বারা মাকরূহ তাহরীমী উদ্দেশ্য, তবে কাপড়ে প্রাণহীন বস্তুর ছবি এ হুকুমের বাইরে। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৬২ পৃষ্ঠা)

(৬৪৪)

يدل ان الوعيد فى تصوير ماله روح دون مالا روح له كالثمار، وقد اجاز تصويرها العلماء الا مجاهد فانه جعل تصويرها المكروه. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۶۲)

অর্থ: প্রমাণিত হয়- শাস্তির ধমকি প্রাণবিশিষ্ট প্রাণীর ছবির ব্যাপারে। কিন্তু প্রাণহীন বস্তুর ছবি যেমন: ফল-মূলের ছবির ব্যাপারে কোনো ধমকি নেই। হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রাণহীন বস্তুর ছবিকে জায়িয বলেছেন, তবে হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাকরূহ তানযীহী বলেছেন। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৬২ পৃষ্ঠা)

(৬৪৫)

قال بعض علماء: اذ قطع رأس الصورة فهو تغيير ويباح اتخاذها حينئذ. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۶۲)

অর্থ: কতক উলামায়ে কিরাম বলেন, যখন প্রাণীর ছবির মাথা কাটার কারণে তার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে প্রাণহীন জিনিসের মতো দেখা যায়, তখন তা ঘরে রাখা বৈধ। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৬২ পৃষ্ঠা)

(৬৪৬)

واحاديث الصور كلها تدل على حرمة صنعة التصوير وانها من الكبائر. (اكمال اكمال المعلم على المسلم كتاب اللباس والزينة باب تحريم تصوير صورة الحيوان الجزء ۷ الصفحة ۲۶۲)

অর্থ: ছুওয়ার সম্পর্কিত সকল হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরি করা হারাম। আর তা কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। (ইকমালু ইকমালিল মুয়াল্লিম আলাল মুসলিম অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ : প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম প্রসঙ্গে ৭ম খ- ২৬২ পৃষ্ঠা)

(অসমাপ্ত)

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতেম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১৩

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে- প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৬৫তম পর্ব

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১৪

প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া