“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ২৮-১২-২০০৮ ঈসায়ী তারিখে যামানার তাজদীদী মুখপত্র, ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের হেডিং হয়: “নির্বাচনের পর নির্বাচনী ইশতেহার  ভুলে যান রাজনৈতিক দলগুলো -তাইফুর রহমান।”

খবরে বলা হয়: “রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করে জনগণের ম্যান্ডেট চান। আর নির্বাচনের পর তারা ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি শুধু ভুলেই যান না বরং ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিশ্রুতির উল্টোটা করেন। আর এ জন্য নাগরিকদের উদাসীনতা দায়ী। কারণ নাগরিকরা ইশতেহারকে কথার কথা ভেবে নিয়ে পরবর্তীতে আর কোন উচ্চবাচ্য করেন না।

গত ২৭-১২-২০০৮ ঈসায়ী তারিখ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিআইপি লাউঞ্জে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরডিএস ও প্রজ্ঞা’র উদ্যোগে ‘নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞার চেয়ারম্যান তাইফুর রহমান একথা বলেন।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইশতেহার কথাটির অর্থ হলো- ঘোষণা, প্রচারপত্র, বিজ্ঞাপন বা নোটিশ। বিজ্ঞাপন বর্তমানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষের কাছে মোহনীয় আকর্ষণ সৃষ্টি করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রাসঙ্গিকতা ও পরিমন্ডল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক হয়েছে।  পর্যালোচনাও বাদ যায়নি।

কারো মতে, ইশতেহার যদি রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন হয়ে থাকে, তবে সে বিষয়ে বলার কিছু থাকে না। কেউবা বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার এটি ঘোষণাপত্র হলে, এখানে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষেত্র সীমিত। প্রচারপত্র হলেও একই অবস্থা।

আবার অন্যেরা বলেছেন, আর নির্বাচনী ইশতেহার সম্ভাব্য কর্মসূচির নোটিশ হলে, তারও বিচার-বিবেচনাও খুব অর্থবহ হয় না।

ইশতেহার যতক্ষণ পর্যন্ত না দেশের মানুষের সঙ্গে একটি নির্বাচনী চুক্তির পর্যায়ে পৌঁছবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ইশতেহার ঘোষণা একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

ওদিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কেউবা মন্তব্য করেছেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্পর্কে দেশের নাগরিকদের মতামত খুবই একটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়।

নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে জনমনে এ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গড়ে উঠে। তাছাড়া, সুশীল সমাজ কিংবা সরকারের বাইরের দল ও গোষ্ঠীসমূহ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সক্রিয় মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে। বিধায় ইশতেহার নির্বাচনের প্রচারাভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদান হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত দেশের জাতীয় নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তেমন কোন ছাপ ফেলতে পারেনি।

উদাহরণ হিসেবে পর্যবেক্ষক মহল উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনী ইশতেহারের মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে কতটুকু, এটা বুঝতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনীতি করেন অথবা নিছক সাদামাটা মানুষ তাদেরকে ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

শতকরা ৯০ ভাগ লোক তার সমর্থিক দলের অথবা অন্য কোনো দলের নির্বাচনী ইশতেহার স্মরণ করেতে পারেনি। বাকি ১০ ভাগ আংশিকভাবে একটি বা দুটি বিষয় স্মরণে আনার চেষ্টা করেছেন।

নির্বাচনী ইশতেহার খুঁজতে গিয়ে দলীয় অফিসে তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কেবল সচেতন রাজনৈতিক বা নির্বাচন বিশ্লেষকের কাছেই এ বিষয়ে ইশতেহারের খবর পাওয়া গিয়েছিল।

এসব কথা বলার উদ্দেশ্য হলো দলের সমর্থক গোষ্ঠীর কাছে নির্বাচনী উত্তেজনা যতখানি গুরুত্ব পায়, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ততখানি গুরুত্ব পায় বলে সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি আমলাতন্ত্রকে যত গুরুত্ব দেয়, প্রধানমন্ত্রী গঠিত ইশতেহার সে মর্যাদা পায় না। কেন এমনটি হয়? সে প্রশ্নের জবাব খোঁজার পরিবর্তে এমনটি যে হওয়া আদৌ বাঞ্ছনীয় নয় তা বলাই বাহুল্য। তবে এবারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটিু ভিন্ন মাত্রা পরিগ্রহ করেছে।

কারণ এবারে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতারও ঊর্ধ্বে আসল বিজয়িনী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, জননেত্রী তথা মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ইশতিহারে ইসলাম প্রসঙ্গ টেনেছেন। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বলেছেন।

গত ১২-১২-০৮ তারিখে, শুক্রবার হোটেল শেরাটনে সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমানে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের ২১.৩ ধারায় বলা হয়ঃ “কুরআন সুন্নাহ পরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।”

ঘোষিত নির্বাচনী ইশতিহারের পর শেখ হাসিনা সভায় একথা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন।

পত্র-পত্রিকায়ও তা বিস্তরভাবে এসেছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা গেল-

‘দৈনিক সমকালে’ নিউজ হেডিং হয়,

“ঢাকার-৭ আসনে শেখ হাসিনার ঝটিকা প্রচারাভিযান

কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন নয়॥ সব ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করব”

খবরে বলা হয়, রাজধানীর সাত আসনে মহাজোট প্রার্থীদের সমর্থনে গতকাল এক ঝটিকা নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

দিন বদলের সেøাগানে সন্ত্রাস-দুর্নীতি নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করা হবে না।

সমবেত মানুষকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের এই বিশ্বাসের মর্যাদা দেব। আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকব। পিতার মতো প্রয়োজনে আমিও বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেব’। (দৈনিক সমকাল ১৬/১২/০৮)

‘দৈনিক বাংলাদেশ সময়ে’ নিউজ হেডিং হয়, “রাজধানীতে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

জয়ী হলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করব না”। (১৬/১২/০৮)

দৈনিক আমাদের সময়ে নিউজ হেডিং হয়, “কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করবে না আ’লীগ।

ঢাকায় দোতলা রাস্তা, মনো ও পাতাল রেল চালু হবে: শেখ হাসিনা”

খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করে বলেছেন, জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন আওয়ামী লীগ করবে না। (১৬/১২/০৮)

‘দৈনিক মানবজমিনে’ লিড নিউজ হয়, “শেখ হাসিনার প্রচারাভিযান শুরু ॥ কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন করবো না”

খবরে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে তা রক্ষা করে। (১৬/১২/০৮) শেখ হাসিনা যে ইসলামী অনুভূতি সম্পন্না ও গভীর ইসলামিক ঐতিহ্যের অধিকারী তার উচ্চারিত ওয়াদা শব্দের প্রেক্ষিতে তাই প্রতিভাত হয়।

কারণ সাধারণভাবে উচ্চারিত নির্বাচনী ইশতেহারে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, কথা দেয়া, কমিটমেন্ট করা ইত্যাদির চেয়ে ওয়াদা শব্দ উচ্চারণ অনেক বেশি ইসলামিক ভাবগাম্ভীর্য সম্পন্ন তথা ইসলামী ভাবাপন্ন।

কারণ কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

১। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ওয়াদা বা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ করো। (সূরা মায়িদা-১)

২। তোমরা ওয়াদা বা অঙ্গীকার পূর্ণ করো। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সূরা বনী ইসরাইল-৩৪)

আর হাদীছ শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

১। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এরূপ উপদেশ খুব কমই দিয়েছেন যাতে এ কথাগুলো বলেননি যে, যার আমানতদারী নেই তার ঈমান নেই এবং যার ওয়াদা ঠিক নেই তার দ্বীন নেই। (বায়হাকী, মিশকাত)

২। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি-

এক. কথা বললে মিথ্যা বলে, দুই. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে, তিন. আমানত খিয়ানত করে। (মুসলিম শরীফ)

৩। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নুবুওয়াতপ্রাপ্তির পূর্বে আমি তাঁহার নিকট হতে কিছু খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার উপর বাকি রয়েছে। আমি তাঁহাকে কথা দিলাম যে, উহা এই স্থানে নিয়া আসতেছি। কিন্তু আমি (সেই প্রতিশ্রুতির কথা) ভুলিয়া গেলাম। তিন দিন পরে আমার স্মরণ হল। আসিয়া দেখি তিনি সেই স্থানেই আছেন। অতঃপর (শুধু এতটুকুই বলিলেনঃ) ‘তুমি আমাকে তো কষ্টে ফেলে গিয়েছিলে, আমি তিন দিন যাবৎ এইস্থানে তোমার অপেক্ষা করতেছি।’ (আবু দাউদ শরীফ)

ব্যাখ্যাঃ প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বাল্যকাল থেকেই ওয়াদার প্রতি অতীব গুরুত্ব দিতেন উক্ত ঘটনাটিই উহার জ্বলন্ত প্রমাণ।

৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমের রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একদিন আমার মা আমাকে ডাকলেন, তখন রসূলুল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের ঘরে বসা ছিলেন। মা আমাকে বললেন, এদিকে আস, আমি তোমাকে (একটি জিনিস) দিব। তখন রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তাকে কি দিতে ইচ্ছা করেছ? আমার মা বললেন, আমি তাকে একটি খেজুর দিতে ইচ্ছা করেছি। তখন রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন- জেনে রাখ! যদি তুমি তাকে  সেটা না দিতে, তবে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যা লেখা হতো। (আবু দাউদ ও বায়হাকী শো’আবুল ঈমান)

৫। হযরত আবু জুহাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখিয়াছি, তিনি ছিলেন ফর্সা, তাঁর চুলে কিছুটা শুভ্রতা দেখা দিয়েছিল। আর হযরত হাসান ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন তাঁর সাদৃশ্য। আর তিনি আমাদেরকে তেরটি জোয়ান উট প্রদান করতে আদেশ করেছিলেন। পরে এক সময় আমরা সেগুলো আনতে গেলে আমাদের কাছে তাঁর বিছাল শরীফ-এর সংবাদ পৌঁছে। সুতরাং তখন আর আমাদেরকে কিছুই দেয়া হল না। অতঃপর যখন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খলীফা নির্বাচিত হয়ে খুৎবা দিতে দাঁড়াইলেন, তখন তিনি বললেন,  রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট যার কোন প্রতিশ্রুতি রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি দাঁড়ালাম এবং কথাটি তাহাকে জানালাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে উহা প্রদান করতে নির্দেশ দিলেন। (তিরমিযী)

৬। হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যখন রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া থেকে বিছাল শরীফ লাভ করলেন এবং (প্রথম খলীফা) হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (বাহরাইনের গভর্নর) হযরত আ’লা ইবনে হাযরামী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর  তরফ হতে মালামাল আসলো, তখন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর যদি কারো ঋণ থাকে অথবা কারো সাথে তাঁর পক্ষ হতে কোন ওয়াদা থাকে তবে তারা যেন আমার কাছে আসে। হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি বললাম, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নিজের হস্তদ্বয় প্রসারিত করেছিলেন। জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, অতঃপর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমাকে এক অঞ্জলি দিলেন, আমি গুনে দেখলাম উহাতে পাঁচ শত দিরহাম রহিয়াছে। তখন তিনি বললেন, এই পরিমাণ আরও দুইবার নিন।

কাজেই, বহুল প্রচারিত নির্বাচনী ওয়াদা কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে কোনো আইন হবেনা। এই ওয়াদার কোন খিলাফ অথবা বেঈমানী হবেনা। এটাই দেশের ঈমানদার সব মুসলমানের একান্ত প্রত্যাশা ও গভীর কামনা। মহান আল্লাহ পাক দেশের সব মুসলমানকে কোনো বেঈমানীর মুখোমুখি না করুন।

বলাবাহুল্য, একথা শুধু বিশ্ববাসী মুসলমানরাই নয় বরং বিশ্বের সব অমুসলমানরাও জানে যে মুসলমানের মূল হল তার ঈমান। আর ওয়াদা হলো ঈমানের অন্যতম অঙ্গ।

এজন্যই কেউ যখন ওয়াদার খিলাফ করে তখন তাকে বলা হয় বেঈমান।

মুহম্মদ আরিফুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।