পৃথিবীর সমস্ত ইহুদী-নাছারা-মজুসী-মুশরিক তথা তাবৎ কাফির স¤প্রদায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন করছে, তাঁদেরকে শহীদ করছে, মুসলমানদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে, মুসলিম মহিলাদের সম্ভ্রমহরণ করছে, সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে। জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি ফরয-ওয়াজিব-সুন্নতে মুয়াক্কাদা পালন তথা শরীয়ত পালনে বাধা প্রদান করছে।
এতদ্প্রেক্ষিতে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, কাইয়্যুমুয যামান মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষ থেকে যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শাহী দরবারে পবিত্র কাবা শরীফ উনাকে যেভাবে জালিম কাফির আবরাহার হাত থেকে রক্ষা করেছেন সেভাবে মুসলমানদেরকে রক্ষা করার এবং এই কাফির সম্প্রদায়কে আবরাহার মতো ধ্বংস করে দেয়ার ফরিয়াদ জানান।
উনার সেই মুবারক দোয়া ও ফরিয়াদের ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের উপর বিভিন্ন আযাব-গযব নাযিল করে তাদেরকে নিস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন।
তার প্রমাণ হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কাফিরদের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার ভয়াবহ গযব।
প্রসঙ্গত, মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকরা যদি মুসলমানদের উপর যুলুম-অত্যাচার বন্ধ না করে তবে, তারা রাস্তার ফকির হয়ে যাবে। ডাস্টবিন থেকে খাবে। এক সময় ডাস্টবিন থেকেও খাবার পাবে না।
ডাস্টবিনের খাবার নিয়ে কুকুরের সাথে কামড়া-কামড়ি করবে। এরপরও তারা (কাফিররা) যদি মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে, তবে তারা একজন আরেকজনকে খাবে।” প্রসঙ্গত সে অবস্থা এখনই জাহির হয়েছে।
{পূর্ব প্রকাশিতের পর}
সংবাদ মাধ্যমে অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে ‘সুপার পাওয়ার’ থেকে ‘সুপার ফকির’ হওয়া আমেরিকার অর্থনৈতিক দুরবস্থার হাজারো ফিরিস্তির নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হলো:
(১) স্পেনে ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের সন্ধানে ডাস্টবিনে সরকারের কৃচ্ছ্রেরর বিরুদ্ধে রাজপথে জনগন
সরকারের কৃচ্ছ্র নীতির বিরুদ্ধে ফের রাজপথে নেমে এসেছে স্পেনের জনসাধারণ। দেশটিতে অর্থনৈতিক সঙ্কট এতই চরম আকার ধারণ করেছে যে মানুষকে এখন দোকানের আশপাশে ফেলে রাখা বাসি বা পুরনো হয়ে যাওয়া খাবারের স্তূপের মধ্যে পরবর্তী বেলার খাদ্যের অনুসন্ধান করতে হচ্ছে। গত ১১.০৭.২০১২ ঈসায়ী তারিখে প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেছে, সে দেশের রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নয়া উদ্ধার প্যাকেজের জন্য অনুরোধ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
রাজধানী মাদ্রিদের ভাল্লেকাস এলাকায় চলতি মাসের এক সন্ধ্যায় দেখা গেল, এক মহিলা একটি ফল ও শাকসবজির দোকানের পাশে জমা করে রাখা পুরনো খাবারের স্তূপের মধ্যে কি যেন খুঁজছে। জিজ্ঞেস করে জানা গেল সে পরবর্তী বেলার খাদ্যের খোঁজ করছে। মিডিয়ার কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে রাজি হয়নি ৩০-এর কোঠার বয়সী এ মহিলা। সে বললো, টাটকা খাবার কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ তার কাছে নেই। আরও জানা গেল সে একটি পোস্ট অফিসে কাজ করেণ। সরকারের কৃচ্ছ্্র নীতির জন্য সম্প্রতি তার আয় কমে গেছে। তাকে এখন ৪শ’ ইউরোয় (৫২০ মার্কিন ডলারের মতো) মাস পার করতে হয়। তার কয়েক বন্ধুর সঙ্গে সে এমন একটি খালি বাসায় উঠেছে। বাসাটিতে বিদ্যুত ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে খাবারের জন্য তাকে এভাবে দোকানের ফেলে দেয়া বাসি খাবারের বিনগুলো হাতড়াতে হয়। সন্ধ্যার পর বা রাতের বেলা এ কাজের উপযুক্ত সময়।
এমন কষ্টকর জীবন ধারণের চিত্র এখন স্পেনে আর বিরল দৃশ্য নয়। তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সেখানে রাস্তার আশপাশে খাবার কুড়িয়ে বেড়ানো দৃশ্য আর মানুষকে অবাক করে না।
সরকারকে এখন বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হচ্ছে। যে কারণে সরকার কৃচ্ছ্র নীতির বাইরে যেতে পারছে না। কৃচ্ছ্র নীতির মধ্যে রয়েছে সরকারী পর্যায়ে কর্মসংস্থান হ্রাস এছাড়া বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলোর ব্যাপক কাটছাঁট করা। আরেকটি কারণ হলো সরকার অতি সম্প্রতি বিভিন্ন সামগ্রীর উপর ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর ৩ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশের মানুষ। গত ১০.০৭.২০১২ ঈসায়ী তারিখে হাজার হাজার মানুষ মাদ্রিদে পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে। এছাড়া একই দিনে দেশটির আরও দুটি শহরে বিক্ষোভ আয়োজনের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় ইউরোপীয় কেন্দ্র্রীয় ব্যাংকের কাছে উদ্ধার প্যাকেজের জন্য অনুরোধ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।
একক মুদ্রা ব্যবহারকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরো-জোনের কয়েক বছর ধরে যে ঋণ সঙ্কট চলছে তাতে সর্বশেষ সমস্যাকেন্দ্র হলো মাদ্রিদ। আগামী দু’বছরে দেশটির বাজেট ঘাটতি ৬ হাজার কোটি ইউরো (৭ হাজার ৮শ’ কোটি ডলার) ছাড়িয়ে যেতে পারে। সমস্যা এতই কঠিন হয়ে উঠেছে যে, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে দেশটি এখন ঋণ জর্জরিত। বিরোধীদের পক্ষ থেকে নভেম্বরে আগাম নির্বাচনের দাবি উঠেছে। নিউইয়র্ক টাইমস।
(২)ইউরোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর উদ্বেগ। বিশ্বের অন্যান্য অর্থনৈতিক বলয় বা মেরুগুলোও এই সংকটের বিস্তার নিয়ে শঙ্কিত। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তা তীব্র ও দুর্বল মাত্রায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউরো-জোনের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য অন্যান্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট ও জোন ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। তাদের ভূমিকা এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর সিদ্ধান্ত বিশ্বের অর্থ, পুঁজি ও মুদ্রাবাজারে প্রভাব ফেলছে। ফলে এখন এ প্রশ্ন উঠেছে যে ইউরো কি টিকে থাকবে?
গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকটকে ইউরো-জোনের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের উৎস বলে মনে করা হয়। কিন্তু একদল অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, এ সংকটের মূল রয়েছে আরও গভীরে এবং ইউরো-জোনের মুদ্রাকাঠামোর দুর্বলতা বা অসংগতিগুলোই এর উৎস। ফরাসি অর্থনীতিবিদ জ্যাক আত্তালি মনে করে, ফ্রান্স ও জার্মানি যদি ইউরোপের অভিন্ন অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ গঠনের ব্যাপারে একমত না হয়, তাহলে ১০ বছরের মধ্যেই ইউরো নির্মূল হয়ে যাবে। সে বিভিন্ন দেশের বাজেটগুলোর মধ্যে সমন্বয় রক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। তার মতে, অভিন্ন মুদ্রা, অথচ ভিন্ন ভিন্ন অর্থনীতি বজায় রাখা অর্থহীন। এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেই অনেকে গ্রিস ও দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম অন্য দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়ার ইউরোপীয় সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না। ইউরোপীয় জোট গ্রিসকে ১১০ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি এবং দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম অন্য কয়েকটি দেশকে জরুরি ভিত্তিতে ৭৫ হাজার কোটি ইউরো অর্থ বরাদ্দ করেছে।
ইউরো-জোনের দেশগুলোর সংকট প্রসঙ্গে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেছেন, বর্তমান সংকটে সবার দৃষ্টি সরকারি ঋণের প্রতি নিবদ্ধ। এর অর্থ ব্যাপারটাকে খুব হালকা করে দেখা হচ্ছে। আসলে এটা গ্রিস, পর্তুগাল ও স্পেনের অনেক গভীর সমস্যাগুলোর কেবল একটা দিক মাত্র। এই দেশগুলো ইউরো-জোনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অনেকেই সেখান থেকে ঋণপত্র কিনতে থাকে। কিন্তু বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার সময় এই খাতে ওই দেশগুলোতে বিদেশি পুঁজি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের আয় কমে যায় এবং বাজেট-ঘাটতি আকাশ-পরিমাণ হয়ে ওঠে। এভাবে ইউরো-জোন তাদের জন্য এক গভীর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ক্রুগম্যানের মতে, বাজারের রমরমা অবস্থায় বর্তমান সংকটকবলিত ইউরোপের দেশগুলোয় মজুরি ও দাম দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল। এখন বিদেশি অর্থ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই দেশগুলো ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ইউরো হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য কাল। যদি তাদের নিজস্ব মুদ্রা থাকত, তাহলে তারা মুদ্রার মান সংস্কার করে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ঘরোয়া ব্যয়কে সমন্বিত করতে পারত। এভাবে দেশগুলো তাদের রপ্তানি বাড়াতে পারত। ফলে ঋণের বোঝা কমে যেত। কিন্তু এখন গ্রিসের মতো সরকারকে শ্রমিকদের বেতন কমিয়ে দেওয়ার মতো অজনপ্রিয় পদক্ষেপ নিতে হয়েছে এবং সরকার জনগণের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করতে বাধ্য হচ্ছে। এ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন অব্যাহত রাখতে হবে। ফলে দেশটির সরকার শ্রমিক ও গণবিদ্রোহের সম্মুখীন হবে।
পল ক্রুগম্যানের বিশ্বাস, ইউরো-জোনের বর্তমান সংকট অভিন্ন মুদ্রার বিরোধীদের আশঙ্কাকেই সত্যে পরিণত করেছে। তারা বলেছিলো, অভিন্ন মুদ্রা প্রচলিত হলে এ মুদ্রার মূল্যমানকে সুযোগ-সুবিধামতো বাড়ানো বা কমানো যাবে না। ফলে দেখা দেবে সংকট। ইউরো-জোনে যোগ দিয়ে গ্রিস ও স্পেন বর্তমান অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ইউরোর কারণে তাদের হাত এখন বাঁধা। এই মুদ্রা চালুর সময় এমন সংকট যে দেখা দিতে পারে, ইউরোর প্রচলকরা তা ভাবেনি। অর্থনৈতিক সংকটে গ্রিসের পরিসংখ্যানটি এ রকমÑ ১. ২০১১ থেকে গ্রিসের অর্থনীতি ৬ শতাংশ নেমে গেছে। ৫ বছর ধরে দেশটির অর্থনীতি একইভাবে ডুবেই চলেছে।
২. গ্রিসে সরকারি হিসাবে ২০১০ সালে বেকারত্ব- ১২.৫ শতাংশ, ২০১১-তে ১৭.৩ শতাংশ এবং বর্তমানে ২১.৮ শতাংশ।
৩. তরুণ যুবকদের মধ্যে গ্রিসে বেকারত্ব ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে।
৪. গ্রিসের বন্দর শহর পারমায় বেকারত্বের হার ৬০ শতাংশ।
৫. অর্থনৈতিক মন্দায় গ্রিসের ২০ শতাংশ খুচরা বিক্রির দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।
৬. গ্রিসের জাতীয় ঋণ বার্ষিক জিডিপির ১৬০ শতাংশ।
অনেক দিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা বলাবলি করছিলো গ্রিসের পর দেউলিয়াত্ব একের পর এক স্পেন , ইতালি, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ছড়িয়ে যেতে পারে, এবার তাই ঘটছে।
বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদীদের যে সংকট চলছে, তা শুধু একটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয়। এই বিশ্বব্যবস্থাই এই সংকটের মূল কারণ। আর তারই অংশ হিসেবে স্পেনের চলমান সংকট। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের প্রধান চত্বর দখল করে নিয়েছে দেশটির হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে সাধারণ মানুষ বড় ধরনের বিক্ষোভ করার একদিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। স্প্যানিশ সরকার দেশটির অর্থনীতি পরিচালনায় মারাত্মক রকমের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছে। তারা স্পেনের অর্থনৈতিক সংস্কার দাবি করছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং সে সময় পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। কিন্তু মাদ্রিদ চত্বর দখলের সময় পুলিশ ছিল অনেকটা নির্বিকার। কদিনের প্রচেষ্টায় বিক্ষোভকারীরা এ চত্বরের দখল নিতে সক্ষম হলো। অর্থনৈতিক সংকটে স্পেনের পরিসংখ্যানটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. স্পেনে বেকারত্বের হার ২৪.৪৪ শতাংশ।
২. স্পেনে যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব ৫০ শতাংশের বেশি।
৩. স্পেনের জিডিপি ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির প্রধান তিনটি ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যেগুলো দেউলিয়া হওয়ার শেষ সীমানায় রয়েছে।
৪. ২০১১ থেকে স্পেনে বাড়িঘরের মূল্য ১১.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
৫. আর্থিক মন্দার সঙ্গে সঙ্গে স্পেন ৭০ বছরের মধ্যে রেকর্ড-খরার সম্মুখীন হয়েছে।
আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও গ্রিসের পর এবার স্পেনকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধারের প্রচেষ্টারত ইইউ। সর্বশেষ, স্পেনে সরকারের কৃচ্ছ্রতা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ব্যাপাক বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ। ঋণে জর্জরিত ব্যংকগুলোকে সাহায্যের জন্য ইউরো-জোনের নেতারা ৩ হাজার কোটি ইউরো দিতে রাজি হওয়ার পর দেশটির সরকার এই পদক্ষেপ ঘোষণা করল।
(৩) এবার অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত স্পেন-ইতালী
অনেক দিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা বলাবলি করছিলো গ্রীসের পর দেওলিয়াত্ব একের পর এক স্পেন, ইতালী, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ছড়িয়ে যেতে পারে। এবার তাই ঘটতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদীদের যে সংকট চলছে তা শুধু একটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয়। এই বিশ্বব্যবস্থাই এই সংকটের মূল কারণ। আর তারই অংশ হিসেবে স্পেনের চলমান সংকট। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের প্রধান চত্বর দখল করে নিয়েছে দেশটির হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
এদিকে সম্ভাব্য বিশ্বমন্দার হাত থেকে বাঁচতে জি-সেভেনের জরুরি বৈঠক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাত-দিন কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে ইতালি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সঙ্গে টেলিফোন সংলাপের সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি এ আহ্বান জানিয়েছে। সে বলেছে, পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং এ অবস্থা থেকে বাঁচতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। সে আরও বলেছে, ‘আমাদের স্বীকার করা উচিত বিশ্ব একটা মন্দার মধ্যে প্রবেশ করেছে।’ বর্তমানে ইউরোপের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি ইতালি এবং স্পেন বড় ধরনের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে ইতালির শেয়ারের সূচক শতকরা ১৩ ভাগ পড়ে গেছে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-মুহম্মদ লিসানুল্লাহ
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০