চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

সংখ্যা: ১৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

 

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: পশ্চিম আকাশের কোথায় চাঁদ খুঁজতে হবে।

অমাবস্যার সময় চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবী মোটামোটিভাবে এক রেখা বরাবর অবস্থান করে। অমাবস্যার দিন সূর্য অস্ত যাবার প্রায় কাছাকাছি সময় চাঁদ অস্ত যায় কিন্তু সে চাঁদ পৃথিবীর দিকে কোন আলো প্রতিফলিত করে না বলে দেখা যায় না। অমাবস্যার পর কোন মাসের ২৯তম দিনে যেদিন পূর্বাকাশে সূর্য উঠে তার সাথে সাথে চাঁদও আকাশে উদিত হয়। কিন্তু সারাদিন সূর্যের সাথে অবস্থান করে বলে দিনের আলোয় সে চাঁদ দেখা যায় না। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য অস্ত যাবার বেশ কিছু পরে যখন চাঁদ অস্ত যেতে থাকে সেই চাঁদ তখন দৃশ্যমান হবার সম্ভাবনা থাকে। এখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, সূর্যের অস্তমিত পথের সাথে সমান্তরালভাবে থাকে চাঁদের অস্তমিত পথ। সূর্যের অস্তমিত পথের সর্বোচ্চ ৫ ডিগ্রী ডানে অথবা সর্বোচ্চ ৫ ডিগ্রী বায়ে চাঁদ দৃশ্যমান হয়। আমরা দেখি সারা বছরে সূর্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে অস্ত যায় না। কখনো সূর্য অস্ত যায় উত্তর পশ্চিমে আবার তা সরে এসে অস্ত যায় দক্ষিণ পশ্চিমে। একইভাবে সূর্য যখন যেদিকে অস্ত যায় চাঁদকে সেদিকেই খুঁজতে হবে।

মার্চের ২১ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর ২১ তারিখ পর্যন্ত সাধারণত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দিকে চাঁদ সহজে দৃশ্যমান হয়। কেননা এ সময়টাতে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। আবার সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ থেকে মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে সময় পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে চাঁদ সহজে দৃশ্যমান হয়।

অবশ্য যদি সূর্য এবং চাঁদের আজিমাত জানা যায় তবে ঠিক কোনদিকে চাঁদ দেখা যাবে তা নির্ণয় করা সহজ। যখন উত্তরদিক থেকে ০ ডিগ্রী গণনা করে উত্তর-পূর্ব-দক্ষিণ-পশ্চিম এভাবে আসা হয় তবে ঠিক পশ্চিম দিক হবে ২৭০ ডিগ্রী। ২৭০ ডিগ্রীর বেশি হলে উত্তর পশ্চিমে চাঁদকে খুঁজতে হবে। আর ২৭০ ডিগ্রীর কম হলে দক্ষিণ পশ্চিমে চাঁদকে খুঁজতে হবে। বিভিন্ন সফটওয়্যার থেকে চাঁদ ও সূর্যের আজিমাত নির্ণয় করা যায়।

যেমন পবিত্র রমাদ্বান মাসের চাঁদ দেখতে পেয়েছি সঠিক পশ্চিমে অর্থাৎ চাঁদের আজিমাত ছিল ২৭০ ডিগ্রী কিন্তু শাওওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে ২৫১ ডিগ্রী আজিমাতে অর্থাৎ দক্ষিণ পশ্চিমে। এভাবে জিলক্বদ এবং যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে আরও দক্ষিণ-পশ্চিমে। এরপর এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করবে।

বিশ্বের জন্য ১৪৩০ হিজরীর যিলহজ্জ

মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১৬ই নভেম্বর সোমবার, ২০০৯, ১৯টা ১৪ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)। অমাবস্যার দিন সউদী আরবে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার কোন সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩০ হিজরীর

যিলহজ্জ মাসের চাঁদের রিপোর্ট:

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১৭ই নভেম্বর, মঙ্গলবার, ২০০৯ রাত ১টা ১৪ মিনিটে।

বাংলাদেশে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ খুঁজতে হবে ১৮ই নভেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১২ মিনিটে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখার প্রায় ১২ ডিগ্রী উপরে অবস্থান করবে। সুর্যাস্তের প্রায় ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে।

সেদিন চাঁদ খুঁজতে হবে ২৩৪ ডিগ্রি আজিমাতে অর্থাৎ দক্ষিণ পশ্চিমে। আকাশ মেঘলা না থাকলে চাঁদ সহজেই দেখা যেতে পারে।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।