চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৩

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বর্তমান সংখ্যার আলোচনাঃ  পশ্চিমের দেশ আগে চাঁদ দেখবে এটি একটি ভুল ধারণা।

চাঁদ পৃথিবীর চারপার্শ্বে ঘুরছে এবং পৃথিবী তার কক্ষপথে ২৩.৫ ডিগ্রী কোণ করে সূর্যের চতুর্দিকে একটি উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে। পৃথিবীর এই কৌণিক অবস্থানে অবস্থান করে ঘুর্ণনের ফলে কখনও উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকছে এবং কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকছে। এ বিষয়গুলো চাঁদ কোথায় দৃশ্যমান হবে তার সঙ্গে জড়িত।

যেমন- সূর্য দৃষ্টিগোচর হয় কম-বেশী উত্তর-দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশ বরাবর কিন্তু চাঁদের দৃশ্যমান হওয়াটা শুরু হতে পারে যে কোন স্থান থেকে এবং পশ্চিমে অধিবৃত্ত আকারে বিস্তৃত হতে পারে। অথবা বলা যেতে পারে আকাশে খালি চোখে দেখার মত চাঁদের ন্যূনতম আকৃতি ধারণ মুহূর্তে যে দেশে সূর্যাস্ত হবে অর্থাৎ সূর্যাস্তের সময় যে দেশে বা যে স্থানে কৌণিক দূরত্ব এবং দিগন্তরেখার উপর চাঁদের উচ্চতার মান যথাক্রমে ৯-১২ ডিগ্রী এবং ৮-১০ ডিগ্রী হবে, সে স্থানে চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হতে পারে।

এখানে পূর্ব বা পশ্চিমের দেশ আগে দেখবে এরকম কোন শর্ত নেই। যে কোন দেশেরই সেই সৌভাগ্য হতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেরই পশ্চিমে কোন না কোন দেশ রয়েছে এবং সব দেশই কোনো না কোন দেশের পশ্চিমে অবস্থান করছে। সুতরাং পশ্চিমের দেশ বলতে নির্দিষ্ট কোন দেশ বোঝায় না। তবে যখন কোন দেশে প্রথম বাঁকা চাঁদ দেখা যায় সেই দেশের পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলোতে যেহেতু আরও পরে সুর্যাস্ত হবে তাই সে দেশগুলো তাদের নিজ নিজ সন্ধ্যায় চাঁদ আরও একটু সহজভাবে দেখতে পাবে। কেননা চাঁদ প্রতি ঘন্টাতেই আকারে খুব সামান্য হলেও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

আবার এমনও হতে পারে কোন এক দেশ খুব সামান্যের জন্য দেখতে পেল না অর্থাৎ চাঁদ তার ন্যূনতম পরিমাণ আলো পৃথিবীর দিকে প্রতিফলিত করেনি যাতে করে পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে সেদেশের পশ্চিমে অবস্থিত অন্য দেশগুলোর বাঁকা চাঁদ দেখতে পাবার ভাল সম্ভাবনা থাকে। কারণ তাদের সূর্যাস্ত হবে পরে এবং এই সময়ের মধ্যে হয়তো চাঁদ তার নুন্যতম আলো পৃথিবীর দিকে প্রতিফলিত করবে, ফলে দেখা সম্ভব হবে।

তাই বলে আমরা বলতে পারি না যে, সউদী আরব আমাদের পশ্চিমে রয়েছে বলে আমরা দেখতে না পেলেও সউদী আরবেই প্রথম দেখা যাবে চাঁদ। এর কারণ হচ্ছে- প্রতিবারই এমন হবে না যে, আমরাই খুব সামান্যের জন্য চাঁদ দেখতে পারবো না এবং সউদী আরব থেকে তা দেখা যাবে। বরং এমনও হতে পারে সউদী আরব খুব সামান্যের জন্য চাঁদ প্রথমে দেখতে পারলো না ফলে কয়েক ঘণ্টা পর মরক্কো থেকে প্রথমে চাঁদ দেখা গেল। একইভাবে মরক্কোবাসীরা সামান্যের জন্য না পারলে আমেরিকার পূর্ব উপকুলীয় অঞ্চলবাসীরা তা দেখতে পাবে। একইভাবে ইন্দোনেশিয়রা যদি কখনও সামান্যের জন্য চাঁদ দেখতে না পারে তাহলে আমরা বাংলাদেশে বসে প্রথম চাঁদ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারি। এভাবে যে কোন দেশই বাঁকা চাঁদ প্রথমে দেখতে পারে। ফলে পশ্চিম দিকের দেশ বলে নির্দিষ্ট কোন দেশকে বোঝানো ঠিক নয়।

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র যিলক্বদ মাসের

চাঁদের আন্তর্জাতিক রিপোর্ট

নিউমুন সংঘটিত হবে মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০০৮, ২৩টা ১৪ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)। এই দিন পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হতে পারে ২৯শে অক্টোবর, বুধবার সন্ধ্যায়। এই দিন আর্জেন্টিনা, চিলি ও পলিনেশিয়ান দ্বীপপূঞ্জে চাঁদ দেখা যেতে পারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল, পেরু তেও চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, মাদাগাস্কার, তিউনিশিয়া, জায়ার, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ফ্রেঞ্চ গায়ানা, গায়ানা, ভেনিজুয়েলা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপূঞ্জ, পানামা, মেক্সিকো তে উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকলে চাঁদ দেখা যেতেও পারে।

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র যিলক্বদ মাসের

চাঁদের বাংলাদেশের স্থানীয় রিপোর্ট

 বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী নিউমুন সংঘটিত হবে বুধবার, ২৯শে অক্টোবর ২০০৮, ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে। বাংলাদেশে প্রথম চাঁদ তালাশ করতে হবে ৩০শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এই দিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে। এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ১ মিনিটে। অর্থাৎ চাঁদ আকাশে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করতে পারে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখার প্রায় ৭ ডিগ্রী ৫৪ মিনিট উপরে অবস্থান করতে পারে। তাই উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকলে চাঁদ দেখা যেতেও পারে। এই দিন চাঁদ দেখা গেলে ৩১শে অক্টোবর, শুক্রবার হবে পবিত্র যিলক্বদ মাসের ১লা তারিখ। আর এই দিন চাঁদ দেখতে না পেলে ১লা নভেম্বর, শনিবার হবে পবিত্র যিলক্বদ মাসের ১লা তারিখ। চাঁদের রিপোর্ট  (৪৫ পৃষ্ঠার পর)

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র যিলহজ্জ মাসের

চাঁদের আন্তর্জাতিক রিপোর্ট

নিউমুন সংঘটিত হবে বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০০৮, ১৬টা ৫৫ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)। এই দিন পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হতে পারে ২৮শে নভেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায়। এই দিন পানামা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশসমূহে এবং মধ্য ও দক্ষিন আফ্রিকার দেশসমূহ, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপূঞ্জ এবং ম্যাক্সিকো তে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা, ভারত, ওমান, ইয়েমেন, সউদী আরব, উত্তর আফ্রিকার দেশসমূহ এবং আমেরিকাতে উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকলে চাঁদ দেখা যেতেও পারে।

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র যিলহজ্জ মাসের

চাঁদের বাংলাদেশের স্থানীয় রিপোর্ট

 বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী নিউমুন সংঘটিত হবে শুক্রবার, ২৭শে নভেম্বর ২০০৮, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে। বাংলাদেশে প্রথম চাঁদ তালাশ করতে হবে ২৮শে নভেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায়। এই দিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১১ মিনিটে। এবং চন্দ্রাস্ত ৫টা ৩০ মিনিটে। অর্থাৎ চাঁদ আকাশে প্রায় ১৮ মিনিট অবস্থান করতে পারে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখার প্রায় ৩ ডিগ্রী ৩০ মিনিট উপরে অবস্থান করতে পারে। তাই সেদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নেই। পরের দিন চাঁদ দেখতে পেলে ৩০শে নভেম্বর, রবিবার হবে পবিত্র যিলহজ্জ মাসের ১লা তারিখ।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।