চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২২

সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বর্তমান সংখ্যার আলোচনাঃ

সমগ্র মুসলিম বিশ্বে একদিনে ঈদ হওয়া সম্পর্কে

মুসলিম বিশ্ব বলতে আমরা সে সমস্ত দেশকেই বুঝি যে সমস্ত দেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশী। মুসলিম বিশ্বের দুটি দেশের মধ্যে (মরক্কো এবং ব্রুনাই) সর্বোচ্চ সময়ের ব্যবধান প্রায় ৯ ঘন্টা। মুসলিম বিশ্ব ছাড়াও অবশিষ্ট বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে এই কোটি কোটি মুসলমানগণ কবে মাস শুরু করবে? ঈদ, রোযা পালন করবে? তারা কি মুসলিম বিশ্বের উপর অথবা একটি নির্দিষ্ট দেশ যেমন সউদি আরবের উপর, নাকি নিজেদের আকাশে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার উপর নির্ভর করে ঈদ, রোযা বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে? কেননা যদি নিজেদের আকাশে চাঁদ দেখে মাস শুরু করে তবে একটি নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে বা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ঈদ করা অসম্ভব।

আমেরিকাবাসী মুসলমানগণ যদি রমাদ্বান-এর শেষে প্রথম বাঁকা চাঁদ দেখে থাকে তবে তারা পরবর্তী দিনেই ঈদ পালন করবে কিন্তু তাদের এ ঈদের দিনে মুসলিম বিশ্বে চাঁদ দেখবে এবং তারা তার পরের দিন ঈদ পালন করবে। বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের দুটি দেশের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সর্বোচ্চ ৯ ঘন্টা হলেও অনেক দেশ রয়েছে যার সঙ্গে কোন মুসলিম দেশের সর্বোচ্চ সময়ের ব্যবধান ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে সে সকল দেশের মুসলমানদের মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে ঈদ করা অসম্ভব। একই দিন বলতে একই সৌর তারিখ বোঝানো হচ্ছে। হিলাল আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার অপর পার্শ্বে দেখা গেলেই বিশ্বের সকল দেশ একই সৌর তারিখে ঈদ অনুষ্ঠান বা রোযা পালন করতে পারবে না।

সুতরাং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে একদিনে ঈদ হওয়ার বিষয়টি অবান্তর এবং যারা এ ব্যাপারে জোর দাবী জানাচ্ছে তারা শরীয়ত এবং বিজ্ঞান উভয় বিষয়েই অজ্ঞ। তাদের উচিত আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর খাছ ছোহবত হাছিল করে এ ব্যাপারে সঠিক ইলম হাছিল করা।

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র শাওওয়াল মাসের

চাঁদের রিপোর্ট

নিউমুন সংঘটিত হবে সোমবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮, ৮টা ১২ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)। এই দিন পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা যাবে না। চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হবে ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে। এই দিন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মাদাগাস্কার, মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশসমূহে, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশসমূহে এবং পলিনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, ইয়েমেন, সউদি আরব,্ সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, সূদান, চাঁদ, নাইজার, মালি, মৌরিতানিয়াতে যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে চাঁদ দেখতে পাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে।

১৪২৯ হিজরীর পবিত্র শাওওয়াল মাসের

চাঁদের বাংলাদেশের স্থানীয় রিপোর্টঃ

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী নিউমুন সংঘটিত হবে ২৯শে সেপ্টেম্বর, সোমবার, দুপুর ২টা ১২ মিনিটে। বাংলাদেশে প্রথম চাঁদ তালাশ করতে হবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ৪৬ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ০৯ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাবার প্রায় ২৩ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্ত রেখার প্রায় ৪.২৫ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করতে পারে। তাই এই দিন চাঁদ দেখতে পাবার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। এই দিন চাঁদ দেখতে পেলে ১লা অক্টোবর বুধবার হবে পবিত্র শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ। আর চাঁদ দেখতে না পেলে ২রা অক্টোবর হবে পবিত্র শাওয়াল মাসের ১লা তারিখ।

পবিত্র ঈদুল ফিতর

৩০ শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে পেলে ১লা অক্টোবর, বুধবার হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর-এর দিন এবং ৩০ শে সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতটি হবে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত দুয়া কবুলের বিশেষ ফযীলতপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ রাত। আর ৩০ শে সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে না পেলে ২রা অক্টোবর, বৃহস্পতিবার হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর-এর দিন এবং ১লা অক্টোবর দিবাগত রাতটি হবে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত দুয়া কবুলের বিশেষ ফযীলতপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ রাত।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।