চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৪৬

সংখ্যা: ২০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে এবং সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর অর্থে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের অলীক স্বপ্ন নিয়ে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

‘জবধষ ঐরুৎর ঈধষবহফধৎ ওসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ঈড়ঁহপরষ ইধহমষধফবংয’ নামে এই সংগঠনটি সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে অর্থাৎ সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন করার পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং এ সম্পর্কে ৯০টি খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ণিত শরীয়তের খিলাফ এই মনগড়া যুক্তির শরীয়তসম্মত এবং সঠিক মতামত প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যেন সাধারণ মুসলমানগণ চাঁদের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তারা লিখেছে-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

৩১ নম্বর মতামত : কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ‘দেখা’ শব্দের তিনটি অর্থ- ১. খালি চোখে দেখা, ২. জ্ঞানের চোখে দেখা, ৩. স্বপ্নে দেখা।

৩২ নম্বর মতামত : পবিত্র কুরআন শরীফ আমাদের বলে না নতুন চাঁদ খালি চোখে দেখতে। ফলে ক্যালকুলেশন ব্যবহার করে জ্ঞানের চোখে নতুন চাঁদ দেখাটাকে ‘চাঁদ দেখা’ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

৩১ ও ৩২ নম্বর মতামতের জবাব : কুরআন শরীফ এবং হাদীছ-এর কোনো কালামের ব্যাখ্যা বা শব্দের ব্যাখ্যা শুধু তারাই করবেন যিনি ইমাম মুজতাহিদ হবেন, তাফসীরকারক হবেন। সর্বোপরি নায়িবে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহওয়ালা হবেন। মূর্খলোকের  কোনো ব্যাখ্যা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয়। কুরআন শরীফ-এর একটি শব্দের লক্ষ কোটি ব্যাখ্যা থাকতে পারে। তার পরেও যে আয়াত শরীফ-এর যে ব্যাখ্যা বোঝানো হয়েছে, তাই গ্রহণ করতে হবে। কোনো মনগড়া ব্যাখ্যা করা চরম পর্যায়ের কুফরী, ঈমান হারানোর কারণ, লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ। কুরআন শরীফ-এর কোনো শব্দ মুবারক-এর অর্থ গ্রহণ করতে হবে হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী। ‘চাঁদ দেখা’ এই শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা মাসের ২৯তম দিনে খালি চোখে চাঁদ তালাশ কর। আকাশ মেঘলা থাকলে মাস ৩০ দিন পূর্ণ কর।” যদি দেখা অর্থ হতো জ্ঞানের চোখে দেখা তবে তো তালাশের আর প্রয়োজন পড়তো না এবং এ ব্যাপারে মুবারক আদেশও আসতো না। সবচেয়ে অবাক বিষয় হচ্ছে এ সকল ইহুদীদের দালাল গোষ্ঠী নিজেরাই দেখার তিনটি অর্থ দিয়েছে যার প্রথমটাই উল্লেখ করেছে ‘খালি চোখে দেখা’। সেক্ষেত্রে ‘দেখার’ অর্থ খালি চোখে দেখা গ্রহণ না করে জোরপূর্বক অন্য অর্থ গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। নাঊযুবিল্লাহ!

যারা বলে ‘খালি চোখে চাঁদ দেখার নির্দেশ কুরআন শরীফ-এ নেই’ তারা তো আসলে কুরআন শরীফ সম্পর্কে অজ্ঞ, মূর্খ। তাদের পক্ষে কুরআন শরীফ-এ খুঁজে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদীনা শরীফ এ তাশরীফ নেয়ার পূর্বে সেখানকার ইহুদীরা অমাবস্যা অনুযায়ী মাস গণনা করতো। ফলে চাঁদ দেখা বা না দেখা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসেনি।

যখনই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অমাবস্যার পরিবর্তে বাঁকা চাঁদ দেখে মাস শুরুর আদেশ দিলেন তখনই এ বিষয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে মানুষ জানার জন্য আরজু পেশ করেন, বাঁকা চাঁদ বা হিলাল কি? এর জবাবে স্বয়ং মহান রব্বুল আলামীন তিনি আয়াত শরীফ নাযিল করেন এবং ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, এটি হজ্জ এবং সময় ঠিক করার মাধ্যম।” যদি দেখার বিষয় না আসতো তবে তো এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই আসতো না। কেননা অমাবস্যার হিসাব অনুযায়ী অর্থাৎ জ্ঞানের চোখে দেখার অনুসরণ তো প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু যখনই খালি চোখে দেখার নির্দেশ আসলো তখনই মানুষ এ বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। অথচ এ সকল অপপ্রচারকারীরা চাঁদ বিষয়ে গভীর ইলম হাছিল না করেই প্রলাপ বকে যাচ্ছে।

 

বিশ্বের জন্য ১৪৩২ হিজরীর পবিত্র

শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১ জুলাই, ২০১১, শুক্রবার, ৮টা ৫৪ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)।

অমাবস্যার দিন অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০১১, শুক্রবার সউদী আরবে পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ দেখা যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।

 

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩২ হিজরীর পবিত্র

শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট

 

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১ জুলাই, ২০১১, শুক্রবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ২ জুলাই, ২০১১, শনিবার সন্ধ্যায়।

সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ৫০ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৭টা ৩৮ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য ৪৮ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ১০ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৮৫ ডিগ্রি আজিমাতে। সেদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার