চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা (৬০)

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

(বর্তমান সংখ্যার আলোচনা)

লোক দেখানো অনুষ্ঠান আমাদের চারপাশে অনেক হয়ে থাকে। ইংরেজীতে একটি কাব্য ব্যবহৃত হয় ঝযড়ি নঁংরহবংং। কিন্তু প্রায়শই লোক দেখানো অনুষ্ঠানের মাঝেও একট ঘটনা থাকে, ঘটনার সত্যতা থাকে। যেমন অনেক টাকা দিয়ে বড় একটি গরু কিনে এনে সেই গরুর ছবিসহ কুরবানীর দৃশ্য ধারণ, তারপর প্রদর্শনের মাঝে লোক দেখানোর বিষয় থাকলেও, গরুটি যবেহ হয়, গোশত খাওয়া হয় এ বিষয়গুলো সত্য। কিন্তু শতভাগ লোক দেখানো আয়োজন যে হতে পারে তার প্রমাণ সউদী সরকারের চাঁদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সউদী আরবে চাঁদ তালাশের জন্য ছয়টি প্রদেশে ছয়টি চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। সেখানে রয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানী, পর্যবেক্ষক, মাওলানা (কাজী) এবং আরও অনেকে। কিন্তু প্রতি বছর প্রতি মাসে এমনকি পবিত্র যিলহজ্জ মাসে সউদী কর্তৃপক্ষ এসকল কমিটির চাঁদের রিপোর্টকে অগ্রাহ্য করে মনগড়াভাবে আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা করে যাচ্ছে। তাহলে এটাতো বলতেই হয় যে তাদের এই চাঁদ দেখা কমিটির আয়োজনের নেপথ্যে আসলে শুধু শতভাগ লোক দেখানো মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই নেই। ইসলাম এমনি একটি দ্বীন যেখানে খুলূছিয়াত ছাড়া পূর্ণতা হাছিল করা যায় না। সেই মহান পবিত্র দ্বীন উনার মধ্যে যারা লোক দেখানো আয়োজনে পারদর্শী তারা কি তবে মুসলমান? যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই অগনিত মুসলমান উনাদের জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করে পবিত্র মক্কা শরীফ যান পবিত্র হজ্জ পালন করতে। অথচ সউদী সরকারের উদাসীনতা, হেয়ালিপনা বরং ইচ্ছাকৃত প্রতারণার কারণে সকল হাজী সাহেবগণের হজ্জ বাতিল হয়ে যাচ্ছে প্রতি বছর। আর এই ঘটনা ঘটাতে তাদের প্রয়োজন হয় শুধু একটি মিথ্যা ঘোষণার। সেই ঘোষণায় থাকে যেদিন চাঁদ দেখা যায় না সেদিন দেখা যাবার দাবি আর যেদিন দেখা যায় সে তারিখ পরিবর্তনের দাবি। সুতরাং বিশ্বের সকল মুসলমানগণের সউদী সরকারের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন করা ফরয ওয়াজিব।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩৪ হিজরীর পবিত্র ছফর মাসের চাঁদের রিপোর্ট

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১৫ সাবি’, ১৩৮০ শামসী সন, ১৩ ডিসেম্বর ২০১১, খমীসি (বৃহস্পতিবার), দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে। বাংলাদেশে পবিত্র ছফর মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ১৬ সাবি’, ১৩৮০ শামসী সন, ১৪ ডিসেম্বর, জুমুয়াতি (শুক্রবার) ২০১২ সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চাঁদাস্তের সময়ের পার্থক্য ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ১৪ ডিগ্রী ২৯ মিনিট উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৪০ ডিগ্রী আজিমাতে। সূর্যের আজিমাত হবে ২৪৪ ডিগ্রি। সেদিন চাঁদ দেখার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে।

 

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।