ছহিবু ক্বাবা ক্বওসাইনি আও আদনা, ছহিবুল মি’রাজ, সাইয়্যিদুছ ছাক্বালাইন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি বিশেষ ঘটনা মুবারক ও পবিত্র মু’জিযা শরীফ

সংখ্যা: ২৬৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এক সফরে ছিলাম।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সফর শুরু করলেন। লোকেরা উনাকে পিপাসার কষ্টের কথা জানালেন। তিনি সেখানেই অবতরণ করলেন, অতঃপর এক ব্যক্তিকে ডাকলেন। (রাবী) হযরত আবু রাজা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ঐ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু হযরত আওফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তা উল্লেখ করেননি। তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকেও ডাকলেন। তারপর উভয়কেই তিনি পানি খুঁজে আনতে বললেন। উনারা পানির সন্ধানে বের হলেন। উনারা পথে এক মহিলাকে দুই মশক পানি উটের উপর করে নিতে দেখলেন। উনারা জিজ্ঞেস করলেন পানি কোথায়? তিনি বললেন, গতকাল এমন সময়ে আমি পানির নিকটে ছিলাম। আমার গোত্র পিছনে রয়ে গেছে। উনারা বললেন, এখন আমাদের সঙ্গে চলুন। মহিলা বললেন, কোথায়? উনারা বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে। মহিলা পূনরায় বললেন, উনার কাছে যাঁকে সাবিঈ (ধর্মত্যাগী) বলা হয়? (নাঊযুবিল্লাহ!) উনারা বললেন, হ্যা, আপনি উনার কাছে চলুন। উনারা মহিলাকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে আসলেন এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। হযরত ইমরান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, লোকজন মহিলাটিকে উনার উট থেকে নামালেন।

তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি পাত্র আনতে বললেন, এবং উভয় মশকের মুখ খুলে তা থেকে কিছু পানি ঢাললেন এবং সেগুলোর মুখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর সেই মশকের নীচের মুখ খুলে দিয়ে সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে পানি পান করার এবং উনাদের বাহনগুলিকে পানি পান করানোর নির্দেশ মুবারক দিলেন। ইচ্ছেমতো উনারা সবাই পানি পান করলেন এবং সমস্ত প্রাণীকে পানি পান করালেন। অবশেষে একজনের গোসলের দরকার ছিল, উনাকেও এক পাত্র পানি দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ পানি নিয়ে যান এবং গোসল করুন। ঐ মহিলা দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখছিলেন যে উনার পানির প্রতি কী ব্যবহার করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! যখন উনার থেকে পানি নেয়া শেষ হলো তখন আমাদের মনে হলো, মশকগুলো পূর্বাপেক্ষাও অধিক ভর্তি হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!

তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ মহিলার জন্য আপনারা কিছু হাদিয়া একত্র করুন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সেই মহিলার জন্য আজওয়া (উন্নতমানের খেজুর) আটা ও ছাতু এনে একত্র করতে লাগলেন। যখন উনারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্য একত্রিত করলেন, তখন তা একসাথে করে কাপড়ে বেধে মহিলাকে উটের উপর সওয়ার করালেন এবং উনার সামনে কাপড়ে বাধা পুটলিটি রেখে দিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তুমি তো দেখতে পেরেছ যে, আমরা তোমার পানি মোটেই কম করিনি। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমাদের পানি পান করিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহিলা উনার পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন। উনার বেশ দেরী হয়েছিল। পরিবারস্থ লোকজন দেরী করার কারণ জিজ্ঞেস করলো। উত্তরে তিনি বললেন, একটা আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে! দুজন লোকের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। উনারা আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেখানে দেখা সমস্ত ঘটনা তাদের শুনালেন। অতঃপর তিনি এই বলে মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে আসমান ও যমীনের দিকে ইশারা করে বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তিনি বাস্তবিকই মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রসূল। সুবহানাল্লাহ!

এ ঘটনার পর মুসলমানগণ ঐ মহিলার গোত্রের আশ পাশের সমস্ত মুশরিকদের উপর হামলা করতেন, কিন্তু মহিলার সাথে সম্পর্কযুক্ত গোত্রের কোনো ক্ষতি করতেন না। একদিন মহিলা নিজের গোত্রকে ডেকে বললেন, আমার মনে হয় উনারা ইচ্ছা করেই আমাদের নিষ্কৃতি দিচ্ছেন। এসব দেখে কি তোমরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আকৃষ্ট হবে না? তখন উনারা সবাই মহিলাটির কথা মেনে নিলেন এবং মহিলাসহ সকলেই সম্মানিত দ্বীন ইসলামে দাখিল হয়ে মুসলমান হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ১ম খ- বাবুচ্ছয়ীদুত্তয়্যিবু অযুউল মুসলিমীন ইয়াকফিহি মিনাল মায়ি)

-আল্লামা মুহম্মদ ফযলুল হক

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে