এ সম্পর্কে সম্মানিত ‘রেফা‘য়ী ত্বরীক্বা’ উনার মহাসম্মানিত ইমাম, আওলাদের রসূল, হযরত ইমাম শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী হুসাইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৫৭৮ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন-
اَلْوَلِـىُّ الْـمُتَمَكِّنُ يُـحْىِ الْـمَوْتٰى بِاِذْنِ اللهِ.
অর্থ: “একজন যোগ্য ওলীআল্লাহ তিনি মৃত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুমতিক্রমে জিবীত করেন।” সুবহানাল্লাহ! (রওদ্বতুন নাযিরীন ১৩৪ পৃ., ইরশাদুল মুসলিমীন ৮৫-৮৬, আল মা‘য়ারিফুল মুহম্মদিয়াহ্ ৪৭-৪৮, ত্ববাক্বাতুছ ছূফিয়্যাহ্ )
এ বিষয়ে ৬ষ্ঠ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সম্মানিত ‘ক্বাদরিয়া ত্বরীক্বা’ উনার মহাসম্মানিত ইমাম, মাহবূবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং সম্মানিত ‘মুজাদ্দিদিয়া ত্বরীক্বা’ উনার মহাসম্মানিত ইমাম, আফদ্বালুল আউলিয়া, ক্বাইয়্যূমে আউওয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের জীবনী মুবারক-এ বাস্তব ঘটনা বর্ণিত রয়েছে যে, উনারা মৃতদেরকে জিবীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মাহবূবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ফুতূহুল গইব শরীফ উনার ৩৪ নং পৃষ্ঠায়’ উল্লোখ করেন-
اِذَا كُنْتَ مَعَ اَمْرِهٖ كَانَتِ الْاَكْوَانُ فِـىْ اَمْرِكَ.
অর্থ: “যখন তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আদেশ মুবারক উনার সাথে মিলে যাবে, তখন সমস্ত সৃষ্টি জগত তোমার আদেশ পালনকারী হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত শায়েখ ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে আস‘আদ ক্বাদেরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৭৬৮ হিজরী শরীফ) তিনি সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বলেন-
فَقَالَ لَهٗ رَجَلٌ يَا سَيِّدِىْ مَا صِفَةُ الرَّجُلِ الْـمُتَمَكِّنِ قَالَ اَنْ يُّعْطَى التَّصَرُّفُ التَّامُّ فِـىْ جَـمِيْعِ الْـخَلَائِقِ.
অর্থ: “অত:পর একজন লোক হযরত সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে উদ্দেশ্য করে বললো, হে আমার সাইয়্যিদ! একজন যোগ্য ব্যক্তির ছিফত বা বৈশিষ্ট্য কী? জবাবে তিনি বলেন, সমস্ত সৃষ্টি জগৎ পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব উনাকে অর্পণ করা হয়।” সুবহানাল্লাহ! (খুলাছাতুল মাফাখির ৯৮পৃ. আল ইমাম আহমদ আর রিফা‘য়ী সীরতুহূ ওয়া হায়াতুহূ ৮৫পৃ.)
সেজন্যই মাহবূবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
بِلَادُ اللهِ مُلْكِىْ ….. تَـحْتَ حُكْمِىْ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার সমগ্র রাজ্যে আমার কর্তৃত্ব, আমার শাসনক্ষমতা, সকলেই আমার হুকুমের তাবেদার।” সুবহানাল্লাহ! (ক্বাছীদাতুল গাউছিয়্যাহ্)
আওলাদের রসূল হযরত ইমাম শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী হুসাইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
صَرَّفَهُمُ اللهُ فِـى الْاَكْوَانِ وَقَلَّبَ لَـهُمُ الْاَعْيَانَ وَجَعَلَهُمْ يَقُوْلُوْنَ بِـاِذْنِهٖ لِلشَّىْءِ كُنْ فَيَكُوْنُ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট সমস্ত কায়িনাত পরিচালনার দায়িত্ব সোপর্দ করেন এবং উনাদেরকে সকলের সাইয়্যিদ হিসেবে পরিণত করেন। আর উনাদেরকে এমন করে দেন যে, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুমতিক্রমে কোনো কিছুকে كُنْ হও বললে, فَيَكُوْنُ সাথে সাথে তা হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! (আল বুরহানুল মুআইয়্যাদ ১২৫পৃ., আত ত্বরীক্বাতুর রিফায়িয়্যাহ্ ২৪পৃ.)
আওলাদের রসূল হযরত ইমাম শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী হুসাইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-
وَاِذَا صَرَّفَ اللهُ تَعَالـٰى اَلْوَلِـىَّ فِى الْكَوْنِ الْـمُطْلَقِ صَارَ اَمْرُهٗ بِاَمْرِ اللهِ تَعَالـٰى اِذَا قَالَ لِلشَّىْءِ كُنْ فَيَكُوْنُ.
অর্থ: “আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন ওলীআল্লাহ উনাকে পুরো কায়িনাত পরিচালনার দায়িত্ব দেন, তখন উনার আদেশ মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক অনুসারে হয়ে যায়। যখন সেই ওলীআল্লাহ তিনি কোন কিছুকে كُنْ হও বলেন, فَيَكُوْنُ সাথে সাথে তা হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! (ক্বিলাদাতুল জাওয়াহির ১৫০, আল মা‘য়ারিফুল মুহম্মদিয়্যাহ্ ৪৭, ইরশাদুল মুসলিমীন ৮৫পৃ., রওদ্বতুন নাযিরীন ৫৮ পৃ.)
সেটাই মাহবূবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
وَاَمْرِىْ اَمْرُ اللهِ اِنْ قُلْتُ كُنْ يَكُنْ وَكُلُّ بِاَمْرِ اللهِ فَاَحْكُمُ بِقُدْرَتِـىْ.
অর্থ: “আমার আদেশ মহান আল্লাহ পাক উনারই আদেশ। যদি আমি كُنْ হও বলি, يَكُنْ সাথে সাথে হয়ে যায়। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিটি আদেশের সাথে আমি কুদরতীভাবে আদেশ করি।” সুবহানাল্লাহ! (আল ফুয়ূদ্বাতুর রব্বানিয়্যাহ্ ৪৪পৃ. জালাউল কুলূব ২/৮৫)
ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলো এখন বিদ্যমান ধর্মীয় আইন উৎখাতের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে
আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর কারণে এখন উহাদের অবস্থা হইয়াছে ‘গোস্বায়, ক্ষোভে আঙ্গুল কামরাইবার মত’