‘রহতুল্লিল আলামীন’ লক্বব মুবারক বিষয়ে সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার পক্ষ থেকে এক চরম জাহিল, গ- মূর্খ, মিথ্যাবাদী, উলামায়ে সূ’, ধোঁকাবাজ এবং প্রতারকের জিহালতী, মূর্খতা, মিথ্যাচার, ধোঁকা, প্রতারণা ও অপব্যাখ্যার বিষয়টি দলীলভিত্তিক প্রমাণ করে দেয়ার পর, প্রতারকটা দলীলভিত্তিক কোনো জবাব না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। আর সে আমাদের দলীল-আদিল্লাহ ভিত্তিক জবাবকে ইতরামী বলে প্রকৃতপক্ষে সে নিজেকেই ইতর হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
এই চরম জাহিল, গ- মূর্খ, মিথ্যাবাদী ও প্রতারকটা আসলে ইলমে তাছাউফের ‘ত’ও বুঝে না। যদি বুঝতো, তাহলে সে ‘ছহিবে কুন ফাইয়াকূন’ লক্বব মুবারক নিয়ে এলোমেলো বক্তব্য দিতো না।
বিশ্ববাসী যেন তার মিথ্যাচার, প্রতারণা, ধোঁকা ও বদ আক্বীদা থেকে বেঁচে থাকতে পারে এবং নিজেদের ঈমান-আক্বীদাকে হেফাযত করতে পারে, সেজন্য আমরা এই বিষয়ে দলীল-আদিল্লাহভিত্তিক আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
صِبْغَةَ اللهِ وَمَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللهِ صِبْغَةً.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রঙ্গে রঞ্জিত হও। মহান আল্লাহ পাক উনার চেয়ে উত্তম রঞ্জনকারী বা রঞ্জিত আর কে আছে?” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৮)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَـخَلَّقُوْا بِاَخْلَاقِ اللهِ.
অর্থ: “তোমরা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত চরিত্র মুবারক-এ চরিত্রবান হও।” সুবহানাল্লাহ! (আল মাক্বছাদু আসনা লিলগায্যালী ১/১৫০, ফাওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ্ লিইবনে হাজার হাইতামী ১/২০৮, শরহুশ শিফা ২/৫৩, কিতাবুত তা’রীফাত ১/১৬৯, জামি‘উল ‘উলূম ফী ইছত্বিলাহাতিল ফুনূন ৩/২৩, ইরশাদুস সারী লি শরহি ছহীহিল বুখারী ৫/৩৪১, রূহুল বয়ান ৫/২৯৮, আল ফাওয়াতিহুল ইলাহিয়্যাহ ১/১৯, তাফসীরে নীশাপুরী ১/৪০৪, আল লুবাব ফী ‘উলূমিল কিতাব ৭/৩৯, তাফসীরে কাবীর ২৩/৩৪৩, আত্ তা‘র্আরুফ লি মাযহাবি আহলিত্ তাছাওওউফ ১/৫ ইত্যাদি)
সম্মানিত ‘চিশতীয় ত্বরীক্বা’ উনার মহাসম্মানিত ইমাম, ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল, সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
عارفوں کا کمترین درجہ یہ ہےکہ ان میں اللہ تعالی کی صفات پائی جائیں
অর্থ: “আরিফ তথা ওলীআল্লাহ উনাদের সর্বনিম্ন স্তর হলো উনাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত ছিফত মুবারকগুলো প্রকাশ পাওয়া।” সুবহানাল্লাহ! (দলীলুল আরিফীন পৃষ্ঠা নং ৮১)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى قَالَ لَا يَزَالُ عَبْدِىْ يَتَقَرَّبُ اِلَـىَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّٰى اُحِبَّه فَاِذَا اَحْبَبْتُه كُنْتُ سَـمْعَهُ الَّذِىْ يَسْمَعُ بِهٖ وَبَصَرَهُ الَّذِىْ يُبْصِرُ بِهٖ وَيَدَهُ الَّتِـىْ يَبْطِشُ بِـهَا وَرِجْلَهُ الَّتِـىْ يَـمْشِىْ بِـهَا وَاِنْ سَاَلَنِـىْ لَاُعْطِيَنَّه وَلَئِنْ اِسْتَعَاذَنِـىْ لَاُعِيْذَنَّه.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, বান্দা নফল ইবাদত করতে করতে আমার এত নৈকট্য মুবারক লাভ করেন যে, আমি উনাকে মুহব্বত করি।
আর আমি যখন উনাকে মুহব্বত করি, তখন আমি উনার কান হই, তিনি আমার কুদরতী কান মুবারক-এ শ্রবণ করেন। আমি উনার চক্ষু হই, তিনি আমার কুদরতী চোখ মুবারক-এ দেখেন। আমি উনার হাত হই, তিনি আমার কুদরতী হাত মুবারক-এ ধরেন। আমি উনার পা হই, তিনি আমার কুদরতী পা মুবারক-এ চলেন। যদি তিনি আমার কাছে কোনো কিছু চান, অবশ্যই অবশ্যই আমি উনাকে তা দিয়ে দেই। আর যদি তিনি আমার কাছে কোনো সাহায্য ত্বলব করেন, অবশ্যই অবশ্যই আমি উনাকে তা পুরা করে দেই।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, ইবনে হিব্বান শরীফ ২/৫৮, মুসনাদে বাযযার ১৫/২৭০, আস সুনানুল কুবরা লিলবাইহাক্বী ৩/৩৪৬, তাফসীরে মাযহারী, রূহুল বায়ান ইত্যাদি)
জগৎ বিখ্যাত ওলীআল্লাহ, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
خود اللہ تعالی میری زبان سے کہتے ہیں.
অর্থ: “স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার যবানে কথা মুবারক বলেন।” সুবহানাল্লাহ! (দলীলুল আরিফীন পৃষ্ঠা নং ৮০)
মাহবূবে সোবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহীউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
وَاَمْرِىْ اَمْرُ اللهِ اِنْ قُلْتُ كُنْ يَكُنْ وَكُلُّ بِاَمْرِ اللهِ فَاَحْكُمُ بِقُدْرَتِـىْ.
অর্থ: “আমার আদেশ মহান আল্লাহ পাক উনারই আদেশ। যদি আমি كُنْ হও বলি, يَكُنْ সাথে সাথে হয়ে যায়। আর মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিটি আদেশের সাথে আমি কুদরতীভাবে আদেশ করি।” সুবহানাল্লাহ! (আল ফুয়ূদ্বাতুর রব্বানিয়্যাহ্ ৪৪পৃ. জালাউল কুলূব ২/৮৫)
সুতরাং ওলীআল্লাহ উনারা যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী জবান মুবারক-এ কথা বলেন। অর্থাৎ উনাদের কথা বলার অর্থই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার কথা বলা। কাজেই উনারা যা বলেন, সাথে সাথে তা ঘটে থাকে। উনারা কোনো কিছুকে كُنْ হও বললে, فَيَكُوْنُ সাথে সাথে তা হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
– মুহম্মদ আল আমীন
প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩৪
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা- ১