খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়গুলো মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হচ্ছেন মহাপবিত্র মু’যিযা শরীফ। মু’যিযা শরীফ ব্যতীত তো সৃষ্টি জগৎ অক্ষম। আর মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি ‘পবিত্র ইজায শরীফ’।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দয়া দান ইহসান মুবারক অর্থাৎ উনাদের মহাপবিত্র ইজায শরীফ উনার মাধ্যমেই আসমান-জমিন নিরাপত্তা লাভ করছে, রহমত-বরকত-সাকিনা লাভ করছে। মহাপবিত্র ই’জায শরীফ’ ব্যতীত এক মুহুর্তও কায়িনাত স্থায়ী হবে না।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা যাওজাতুম মুকাররমাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। উনারই আখাছছুল খাছ বিশেষ শান মুবারক সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
(৬) একজন পীরবোন বলেন, নতুন থাকা অবস্থায় আমি একজনের মাধ্যমে পবিত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাই। এরপর পবিত্র দরবার শরীফ উনার এক দায়িত্বশীল আপার সাথে যোগাযোগ করি। উনার মাধ্যমে আমাকে পাছ আনফাছ যিকির দেয়া হয়। আমাকে বলা হয়, আমি যেন বিপদ-আপদে সকল ক্ষেত্রে পাছ আনফাছ যিকির করি। তখন থেকে আমি সব সময় পাছ আনফাছ করতাম। এই পবিত্র যিকির উনার দ্বারা আমি অনেক ফায়দা পেয়েছি। এর মাধ্যমেই আমার অন্তরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাদের প্রতি মুহব্বত পয়দা হয়। দিন রাত শুধু উনাদের কথা ভাবতাম এবং উনাদের দেয়া পাছ আনফাছ যিকির খুব মুহব্বতের সাথে করতাম। আর পবিত্র দরবার শরীফে কীভাবে আসবো এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সাথে কখন সাক্ষাত মুবারক করতে পারবো এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতাম।
এ অবস্থায় একদিন স্বপ্নে দেখি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বলছেন, “তুমি আমাদের দরবার শরীফে চলে আসো, আমরা তোমাকে আশ্রয় দিব।” তখন আমি যেই আপার মাধ্যমে যিকির পেয়েছি উনাকে ফোন করে বললাম, “আপা! আমি পবিত্র দরবার শরীফে অবস্থান করতে চাই। কিন্তু উক্ত পীরবোন জানান যে, পবিত্র দরবার শরীফে অবস্থান করতে হলে আগে আসা-যাওয়া করতে হবে। আপনি তো এখনো একবারের জন্যও আসেননি।” আমি বললাম, আপনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেখুন। আমার বিশ্বাস, তিনি আমাকে অনুমতি মুবারক দিবেন।” কারণ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে স¦প্নের মাধ্যমে পূর্বেই অনুমতি মুবারক প্রদান করেছেন। কিন্তু আমি উক্ত পীরবোনের নিকট আমার স্বপ্নের কথা জানাইনি। তারপর উক্ত পীরবোন যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে আমার কথা জানালেন, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে পবিত্র দরবার শরীফে অবস্থান করার অনুমতি মুবারক দিলেন। (সুবহানাল্লাহ)
এর দ্বারা বুঝা যায় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ইলমে গইব উনার অধিকারীনি এবং উনারা স্বপ্নে যা করে থাকেন, বলে থাকেন তা সত্য হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা রা’দ শরীফ উনার ৮ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
عٰلِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْكَبِيْـرُ الْـمُتَـعَالِ
অর্থ: “তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত, মহোত্তম, সবোর্চ্চ মযার্দাবান।”
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বিক্বী মিছদাক্ব হলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত ইলমে গইব ও সবোর্চ্চ মযার্দা মুবারক উনার অধিকারী। তিনি স্বপ্নে যেমন বলেন বাস্তবেও তাই করেন এবং উম্মাহর না বলা কথাও তিনি জানেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে হাযির হয়ে ইস্তিক্বামত থাকার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)
-আহমদ ত্বলায়াল বুশরা