খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়গুলো মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার অন্তার্ভূক্ত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হচ্ছেন মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মু’যিযা শরীফ। মু’যিযা শরীফ ব্যতীত তো সৃষ্টি জগৎ অক্ষম। আর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি ‘পবিত্র ইজায শরীফ’।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দয়া দান ইহসান মুবারক অর্থাৎ উনাদের মহাপবিত্র ইজায শরীফ’ উনার মাধ্যমেই আসমান-জমিন নিরাপত্তা লাভ করছে, রহমত-বরকত-সাকিনা লাভ করছে। মহাপবিত্র ই’জায শরীফ’ ব্যতীত এক মুহুর্তও কায়িনাত স্থায়ী হবে না।
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহাপবিত্র মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ও মাহবুব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। উনারই আখাছছুল খাছ বিশেষ শান মুবারক সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
(৭) আমাদের এক পীরবোন একবার উনার চোখ হঠাৎ করে অনেক লাল হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। আর এমন ব্যথা হয় যে উনার চোখ থেকে পানি পড়তে শুরু করে। তিনি মনে মনে ভাবলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে দোয়া মুবারক চাইবেন। পরের দিন তিনি যখন দোয়া মুবারক চাওয়ার জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কাছে গেলেন। তখন তিনি হাদিয়া মুবারক দিলেন। কিন্তু দোয়া মুবারক চাইতে পারলেন না। পবিত্র তা’লিমে অনেক মহিলার মাঝে হঠাৎ পিছন থেকে ধাক্কা লাগায় উনাকে সেখান থেকে সরে আসতে হয়। আস্তে আস্তে উনার চোখের ব্যথা বাড়তেই থাকে। এমতাবস্থায় তিনি মনে মনে আরজী করেন, আম্মাজী! দয়া-ইহসান মুবারক করে আপনি আমার চোখ ভালো করে দিন। যেন আর কোন দিনও ব্যথা না হয়। এভাবে দোয়া করতে করতে ঘুমিয়ে যান। পরের দিন উক্ত পীরবোন ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে, সত্যিই! উনার চোখ পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছে। আর কোন দিনও উনার চোখ লাল হয়নি এবং ব্যথাও করেনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উম্মাহর তরে এমন এক মহান নিয়ামত মুবারক যার শুকরিয়া আদায় করে কখনো শেষ করা যাবেনা। পীরবোন তিনি উনার কষ্টের কথা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে জানাতে পারেননি। কিন্তু জানানোর নিয়ত করার কারণে এবং উনার নিকট মনে মনে দোয়া চাওয়ার ফলে তিনি উনার কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। তাই আমাদেরকে উনার শুকরিয়া আদায় করার কোশেশ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আল-আহক্বাফ উনার ১৫ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْـعَمْتَ عَلَيَّ
অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে সামর্থ দান করুন যাতে আপনি আমার প্রতি যে নিয়ামত মুবারক দান করেছেন সেই নিয়ামত মুবারক উনার শুকরিয়া আদায় করতে পারি।”
আমাদের উচিৎ এই দোয়া মুবারক বেশী বেশী করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাতে আমাদেরকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ামত হিসেবে পাওয়ার কারণে উনার হাক্বিক্বী শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক্ব দান করেন। আমীন!
-আহমদ ত্বলায়াল বুশরা।