ছাহিবুল মাক্বামিল আ’লা, র্উওয়াতুল্লাহিল উছ্ক্বা, নূরুল্লাহিল্লাযী লা ইয়ুত্ফা হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কাফিরদের অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন এবং এর অসারতা প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ورفعنا لك ذكرك

“আর আমি আপনার সুমহান মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি।” (সূরা আলাম নাশরাহ-৪)

আল্লাহ পাক স্রষ্টা হিসেবে একক  ও অদ্বিতীয়। যার অজুদ পাকে আর কারো অংশীদারিত্ব বা উপস্থিতি নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয় সত্তা। সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক, প্রতিপালক। আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন, সৃষ্টির মূল এবং প্রথম এক ও অদ্বিতীয় সত্তা, যার কোন দ্বিতীয় নেই। যিনি আল্লাহ পাক কর্তৃক সমগ্র সৃষ্টির একমাত্র মূল বণ্টনকারী একচ্ছত্র মালিক।

আল্লাহ পাক স্রষ্টা হিসেবে সমস্ত মর্যাদা ও নিয়ামতের স্রষ্টা আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির আদি ও মূল হিসেবে সমস্ত মর্যাদা ও নিয়ামতের মালিক। মর্যাদা বা অবস্থানগত দিক থেকে তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন; এছাড়া মর্যাদা-মর্তবা, মাকামাত নিয়ামত বলতে যা রয়েছে সবই তাঁর অধিকারভুক্ত এমনকি তিনি এসবের একচ্ছত্র বণ্টকারী ও আল্লাহ পাক-এর পরেই উনার স্থান বা মর্যাদা।

উল্লেখ্য, কাফিররা যে উদ্ভট, অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে থাকে,

وقالوا مال هذا الرسول يأكل الطعام ويمشى فى الاسواق

“ইনি কেমন রসূল, যিনি খাদ্য খান এবং হাটে-বাজারে গমন করেন।” (সূরা আল ফুরক্বান-৭)

এর উত্তরে আল্লাহ পাক সূরা ফুরকানের ২০ নং আয়াতে কারীমায় বলেন,

وما ارسلنا قبلك من المرسلين الا انهم ليأكلون الطعام ويمشون فى الاسواق.

“আমি আপনার পূর্বে রসূলদের মধ্যে এমন কাউকে প্রেরণ করিনি যাঁরা আহার গ্রহণ এবং বাজার-ঘাট করতেন না।”

আল্লাহ পাক-এর হাবীব নবী-রসূল হিসেবে উম্মতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল ও হাবীব হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। উনার সম্পর্কে বলা হয়েছে,

لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة.

“তোমাদের জন্য তোমাদের যিনি রসূল, উনার মধ্যে সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।“ (সূরা আহযাব-২১)

যেহেতু উনি উম্মতে হাবীবীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ, কাজেই উনার খাদ্য-গ্রহণ ও বাজারে গমনের মধ্যে নুবুওওয়াত ও রিসালতের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধক নয় বরং উম্মতের আদর্শ হিসেবেই এটা করেছেন মাত্র। আর জাগতিক জগৎ ও জীবন যেহেতু সামান-আসবাবের অধীন এবং দুনিয়ার জীবন হচ্ছে পরকালের শস্য ক্ষেত্র। এছাড়াও বান্দার জীবন হচ্ছে পরীক্ষার জন্য, কার আমল ভাল, কার আমল নিকৃষ্ট সেক্ষেত্রে জীবনাচারের ক্ষেত্রে জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ খাদ্যগ্রহণ এবং হাট-বাজারে যাওয়া; সেটার মধ্যে উত্তম আমলের আদর্শ স্থাপনটাও গুরুত্ববহ। যেহেতু ইসলাম হচ্ছে একজন ঈমানদারের জন্য পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের নবী হচ্ছেন তার সর্বোত্তম আদর্শ এবং ব্যবস্থাপক। সুতরাং তাঁর জীবন মুবারকের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি আচরণ, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটিক্ষণই মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ। অতএব এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

কাজেই কাফিররা যে খাদ্যগ্রহণ এবং হাট-বাজারে গমন করাটাকে রিসালতের ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যা নিতান্তই উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। মূলতঃ এটা কাফিরদের ধর্মের নামে ব্যক্তি মানসের প্রবৃত্তিগত চেতনা, হক্ব তালাশী ও হক্ব পন্থীদের বিভ্রান্ত করার এবং নিজেদের ধর্মহীনতার আবর্জনা ঢেকে রাখার আক্বলহীন অপপ্রয়াস মাত্র।

আল্লাহ পাক বর্তমান যুগেও আমাদেরকে বাতিলপন্থী না-হক্বদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচারণা ও বিভ্রান্তি থেকে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী, মুজাদ্দিদে আ’যম-এর মুবারক ছোহবত ও ফায়েজ-এর ওসীলায় নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে হক্বকে গ্রহণ করে এর উপর ইস্তিক্বামত থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মুহম্মদ মা’ছুমুর রহমান, ঢাকা।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে