ছাহিবু কালামিল্লাহি, ছাহিবু ক্বাবা ক্বওসাইনি আও আদনা, ছাহিবুশ শাফায়াতিল কুবরা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ‘মীলাদ শরীফ’পাঠের ফযীলত ও বরকত

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ان الله وملئكته يصلون على النبى يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما

অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার ফেরেশতাগণ উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ, তোমরাও উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করার  তো পাঠ কর।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

من جاء بالحسنة فله عشر امثالها.

অর্থ : “যে ব্যক্তি কোন নেক কাজ করবে, সে তার দশ গুণ প্রতিদান লাভ করবে।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬০)

প্রতিটি নেক আমলের জন্যই কমপক্ষে দশগুণ নেকী রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর মীলাদ শরীফ পাঠ করা নেক আমলসমূহের মধ্যে একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য নেক আমল; যার ফযীলত-বরকত মানুষের কল্পনার বাইরে।

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীগণ যে নিয়মে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করেন, তার শুরুতেই পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ থেকে কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করা হয়; যা ‘তাআউয’ ও তাসমিয়াহ দ্বারা শুরু করা হয়। আর এ সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

فاذا قرات القران فاستعذ بالله من الشيطان الرجيم.

অর্থ : “যখন আপনি পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন, তখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিতাড়িত শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করুন।” (পবিত্র সূরা নহল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৮)

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

كل امر ذى بال لـم يبدا فيه بسم الله فهو اقطع.

অর্থ : “গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ যা তাসমিয়াহ দ্বারা শুরু হয়নি, তা বরকতশূন্য।” অর্থাৎ প্রতিটি বিষয় তাসমিয়াহ দ্বারা শুরু করা একান্ত কর্তব্য। আর এ জন্যই পবিত্র মীলাদ শরীফ তাসমিয়াহ দ্বারা শুরু করা হয়। অতঃপর পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার “সূরা তওবা শরীফ” উনার ১২৮, ১২৯নং আয়াত শরীফ “সূরা আহযাব শরীফ” উনার ৪০ এবং ৫৬ নম্বর আয়াত শরীফ হতে তিলাওয়াত করা হয়। আবার অনেকে তার চেয়ে অনেক বৃদ্ধিও করে থাকেন। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ হতে যা কিছুই তিলাওয়াত করা হোক না কেন, প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে রয়েছে অসংখ্য নেকী; যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرا حرفا من كتاب الله فله به حسنة والحسنة بعشر امثالها لا اقول الم حرف بل الف حرف ولام حرف وميم حرف- رواه الترمذى.

অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ হতে একখানা হরফ পাঠ করবে, তার জন্য নেকী রয়েছে। আর প্রতিটি নেকী দশগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমি বলি না الم একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।” (পবিত্র তিরমিযী শরীফ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة و غشيتهم الرحمة وحفتهم الملائكة وذكرهم الله فمن عنده.

অর্থ : “হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখনই কোন একটি সম্প্রদায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরসমূহের কোন একটি ঘরে কিতাবুল্লাহ হতে তিলাওয়াত করে, পরস্পর আলোচনা করে, তখন তাদের উপর সাকীনা বর্ষিত হয়। তাদেরকে রহমত বেষ্টন করে নেয়। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা রহমতী চাদর দ্বারা তাদেরকে ঘিরে রাখেন এবং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট তাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করলেই অসংখ্য নেকী এবং সীমাহীন রহমত লাভ করা যায়। আর পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠে সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হয়; যা বলার অপেক্ষাই রাখে না।

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ হতে তিলাওয়াতের পরে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা হয়। আর দুরূদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت انس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى على صلوة واحدة صلى الله عليه عشر صلوات وحطت عنه عشر خطيئات ورفعت له عشر درجات.

অর্থ : হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করেন। তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।” (পবিত্র নাসায়ী শরীফ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنه قال من صلى على النبى صلى الله عليه وسلم صلوة واحدة صلى الله عليه وملئكته سبعين صلوة.

অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনার উপর সত্তরবার রহমত বর্ষণ করেন।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ)

অর্থাৎ দুরূদ শরীফ, মীলাদ শরীফ পাঠ- রহমত, বরকত, সাকীনা হাছিল এবং গুনাহখতা মাফের এক বিশেষ উসীলা। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে দুরূদ শরীফ পাঠ করার পরে তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করা হয়। আর তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাড়িতে উনার আহাল-ইয়ালগণ উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার সময় সংঘটিত ঘটনাসমূহ আলোচনা করছিলেন। এসব শুনে উপস্থিত লোকেরা আনন্দিত হচ্ছিলেন। উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার উপর হামদ শরীফ পাঠ করছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমতাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসে বললেন-

حلت لكم شفاعتى.

অর্থ : “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল।” সুবহানাল্লাহ! (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও একইরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এমতাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে বললেন-

ان الله فتح لك ابواب الرحمة والـملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نحتك.

অর্থ : “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার জন্য রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিয়েছেন। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ সকলেই আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। যে বা যাঁরা আপনার ন্যায় (অনুরূপ তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ) করবে, উনারাও আপনার ন্যায় নাযাত লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

অর্থাৎ তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ- রহমত, বরকত, সাকীনা হাছিল এবং গুনাহ মাফের মাধ্যম। এমনকি তা শাফায়াত ওয়াজিব হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠের পর দাঁড়িয়ে ছলাত-সালাম পাঠ করা হয়। আর ছলাত-সালাম পাঠের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابى طلحة رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء ذات يوم والبشر فى وجهه فقال انه جاءنى جبرائيل ان ربك يقول اما يرضيك يا محمد صلى الله عليه وسلم ان لا يصلى عليك من امتك الا صليت عليه عشرا ولا يسلم عليك احد من امتك الا سلمت عليه عشرا.

অর্থ : “হযরত আবু তলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। একদা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক উনার মধ্যে হাসির ভাব নিয়ে আমাদের মাঝে আসলেন। তিনি বললেন, আমার নিকট হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মহান রব তায়ালা তিনি বলেছেন যে, এটা কী আপনাকে সন্তুষ্ট করবে না যে, আপনার উম্মতদের মধ্যে যে কেউই আপনার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, আমি তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবো। আর আপনার যে কোন উম্মত আপনার প্রতি একবার সালাম পেশ করবে, আমি তার প্রতি দশবার শান্তি নাযিল করবো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র নাসায়ী শরীফ ও দারিমী শরীফ)

মূলত মীলাদ শরীফ পাঠ তথা তাআউয, তাসমিয়াহ, কুরআন শরীফ, দুরূদ শরীফ, তাওয়াল্লুদ শরীফ, ছলাত-সালাম যা কিছুই পাঠ করা হয়, প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত এবং নাযাত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়ের ফযীলত সীমাহীন, যা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ইজমা। আর এ জন্যই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت ابى بن كعب رضى الله تعالى عنه قال قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى اكثر الصلوة عليك فكم اجعل لك من صلوتى فقال ماشئت قلت الرابع قال ما شئت فان زدت فهو خيرلك قلت النصف قال ما شئت فان زدت فهو خيرلك قلت فالثلثين قال ما شئت فان زدت فهو خيرلك قلت اجعل لك صلوتى كلها قال اذا يكفى همك ويكفرلك ذنبك.

অর্থ : হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করে থাকি। আমি কি পরিমাণ সময় আপনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠের জন্য নির্দিষ্ট করবো? তিনি বললেন, যতটুকু আপনি ইচ্ছা করেন। আমি বললাম, তাহলে এক চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, যতটুকু আপনি ইচ্ছা করেন। তবে তার বেশি করলে তা হবে আপনার জন্য কল্যাণকর। আমি বললাম, তাহলে কি অর্ধেক সময় নির্ধারণ করে নিব? তিনি বললেন, তা আপনার ইচ্ছা। তবে যদি এটা অপেক্ষা অধিক সময় নির্ধারণ করেন, তা হবে আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর। আমি বললাম, তাহলে কি দুই-তৃতীয়াংশ সময় নির্ধারণ করবো? তিনি বললেন, তা আপনার ইচ্ছা। তবে তার অধিক করলে তা আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে। আমি বললাম, তাহলে কি আমার সম্পূর্ণ সময়টাই আপনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠের জন্য নির্ধারণ করবো? তিনি বললেন, তাহলে আপনার যাবতীয় আকাঙ্খা পূরণ হবে এবং আপনার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে।” (পবিত্র তিরমিযী শরীফ)

মূলকথা হলো- পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা সকলের জন্যেই রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত এবং নাযাত প্রাপ্তির সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। আর এজন্যই যামানার মহান মুজাদ্দিদ, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সমাজের সরবস্তরে প্রত্যহ অধিক পরিমাণ পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন; যা উনার এক অনবদ্য তাজদীদ।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মাহকে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের ফযীলত অনুধাবন করতঃ অধিক হারে মীলাদ শরীফ পাঠের তাওফীক দান করুন। আমীন

-মুহম্মদ আখি সিরাজুদ্দীন

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে