ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে দুটি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুস সাবত্ শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “অনেকগুলো বিষয় আমি বলেছি। অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা ভাষা দিয়ে বুঝানো যায় না। যতটুকু বুঝানো যায় ততটুকু বলা হয়। তাহলে সেটা শুনে মনে রেখো। তোমাদের ঈমানী কুওয়াত বৃদ্ধির জন্য বলা। তোমরা বাই‘আত হয়েছো কোথায়? কার কাছে বাই‘আত হলে? শুনো-জানো। ঈমানী কুওয়াত বৃদ্ধি হবে। এই জন্য বলা। না বললে জানবে কিভাবে?

যেমন- একখানা ঘটনা বললাম যে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি বলেছেন যে, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার নিচে উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক উনার নিচে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। ঠিক আছে। অনেক ফযীলত।

এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ উনাকে আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লস্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাহলে সরাসরি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। এভাবে অনেকদিন অতিবাহিত হলো অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত হলো। কিছু দিন পর মাথা ব্যাথা শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে তা প্রচণ্ড আকার ধারণ করলো। তখন আমি মাথা ব্যাথার কারণে হাজার হাজার ওষুধ খেয়েছি; কিন্তু মাথা ব্যাথা সারেনি। নাপা টেবলেট মনে হয় কয়েক হাজার খেয়েছি আমি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, আরে এটা সারবে না; কোনো দিন সারবে না। কারণ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার তাছীর মুবারক-এ আপনার এই মাথা ব্যাথা। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) মাথা থেকে আপনার কোল মুবারক-এ নিলে সেরে যাবে। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ নিলাম। সাথে সাথে আমার মাথা ব্যাথা সেরে গেলো। এখন তো ওষুধ খাই না। এখন এটার ফায়ছালা মুবারক কী? ওহী মুবারক নাযিল হলে সমস্ত শরীর জর্জরিত হয়ে যেতো। মনে হয় যে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সেই রকম হয়েছিলো। এখন তো আমার ওষুধ খেতে হয় না। এ বিষয়গুলি মানুষ কি বুঝবে?

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। আমার অনেক দিন মাথা ব্যাথা ছিলো। উনি বললেন, কোনো দিন সারবে না মাথা ব্যাথা। কোলে নিতে হবে। আমি কোলে নিলাম। নেওয়ার সাথে সাথে আমার মাথা ব্যথা সেরে গেলো। এখন আর ঔষধ খাই না আমি। মনে হয় কয়েক বান্ডিল বা প্যাকেট নাপা খেয়েছি। এরকম বড় বড় প্যাকেট শেষ হয়ে গেছে। দিনে ৬টা-৮টা করে নাপা খেয়েছি। এখন তো আর ব্যাথা নেই। এখন এটার কী ফায়ছালা? এটা কী বুঝবে তোমরা? কি বুঝেছো? বলো দেখি।

২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে আমার দুটি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক রয়েছেন- (১) একটা হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সারাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। আর (২) দ্বিতীয় হচ্ছে যে, সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ। এই দুইটা দায়ীমী। এছাড়া আরো অতিরিক্ত নিসবত মুবারক আছে। অবস্থা অনুযায়ী। এখন এটা মানুষ কি ব্যাখ্যা করবে? এরা কোনো দিন আমার সাথে পারবে না। ইনশাআল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ এটা হচ্ছে ২৩ জনের যেই বেষ্টনী মুবারক রয়েছেন, সেই বেষ্টনী মুবারক উনার ভিতরে। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সারাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। এটা হচ্ছে ২৩ জনের বেষ্টনী মুবারক উনার অনেক উপরে। অর্থাৎ দুইটা দুই দিকে।” (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বলেছেন, উনি আমাকে উনার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তাহলে যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে