ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সুলত্বানুন নাছীর, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইয়ুমুয্যামান, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুরশিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (৭)

সংখ্যা: ২৮৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সাম্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।

তাই, বর্তমান সময়ের যিনি সম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সুলত্বানুন নাছীর, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইয়ুমুয্যামান, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুরশিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ করে সত্যিকার অর্থেই ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সেগুলোর অন্যতম “আইনী কার্যক্রম”। সুবহানাল্লাহ। যা উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক।

এ তাজদীদী কার্যক্রমের সফলতা আজ দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট। ফলশ্রুতিতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের অনেক ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ হয়েছে, হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। ইনশাআল্লাহ!

পাঠকের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল। (ধারাবাহিক)

১১৬। সরকারঘোষিত রেড জোনগুলোতে ঢালাও লকডাউন প্রত্যাহার ও দেশব্যাপী স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় চালুর আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১১৭। গত ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রদত্ত একটি নোটিশে “বগুড়া পৌর এলাকায় করোনাভাইরাস (COVID-১৯) এর ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিরোধে বগুড়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন কালিতলা হাটে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য নির্দেশ” প্রদান করা হয়। ফলে বগুড়ার জেলা প্রশাসককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ নোটিশের কারণে তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

১১৮। আসন্ন কুরবানীর হাট উপলক্ষে ইতোমধ্যে বহু সংখ্যক ভারতীয় গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে। চোরাচালানকৃত এসব গরু দেশের বিভিন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হচ্ছে। যেমন, রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ির হাটে ভারতীয় গরু তোলার ছবি পত্রিকায় এসেছে।  দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে দেশীয় খামারীদের এমনিতেও চরম দুঃসময় যাচ্ছে।  ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারীরা কম দামে গরু বিক্রি করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরুগুলো আসন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হলে দেশীয় খামারীরা আরো গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হবেন।

তাছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমে গরু বাংলাদেশে আনা এবং চোরাচালানকৃত গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করা – উভয়টিই বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনে অপরাধ। তাই ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ গরু কোনোভাবেই বাংলাদেশে কুরবানীর হাটে বিক্রয়ের জন্য তোলা যেতে পারে না। এবিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

১১৯। গত ১৮ জুন ২০২০ তারিখে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছে, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এ-বছর কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানো হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে কোনোভাবেই পশুর হাট বসানো হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে সরকার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মকভাবে কাজে লাগাবে বলে জানানো হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ছোট হাটগুলো বসানো হবে না। লোকালয় থেকে দূরে এবং অপেক্ষাকৃত বড় জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। তার  পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কুরবানীর হাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় তাকে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

১২০। গত ২১ জুলাই ২০২০ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে: সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে সেবা গ্রহীতাগণ বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। পরিপত্রে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, শপিং মল, বিপণিবিতান, দোকানপাট, হাটবাজার, গণপরিবহন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিক, হকার, রিকশা ও ভ্যান চালকসহ সকল পথচারী, হোটেল-রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এমন ঢালাওভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনার জন্য  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।)

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন