জঙ্গিবাদী সংগঠন হিযবুত তাহরীর জামাতে মওদুদীরই সহযাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি বানানোই ওদের আসল উদ্দেশ্য ঢাবি-জাবি-রাবি-চবিসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ওদের নিষিদ্ধ করা এবং উচ্ছেদ করা সরকারের আশু কর্তব্য-১

সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার তদন্তকালে প্রকাশিত হয়েছিলো, ধৃত জঙ্গিদের ষাট ভাগই জামাত শিবিরের প্রডাক্ট।

এ কথা আজ বহুল প্রচারিত যে, জামাতীরা বিভিন্ন নামে-উপনামে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ১৯৭১-এর খুন, ধর্ষণ তথা রাজাকারগিরির মত জঙ্গিতৎপরতা তারা এখনও ছাড়েনি।

বরং তারা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নামে এখনও জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গতঃ ঢাবিতে এখন ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাতে না পারলেও হিজবুত তাহরীর ও ছাত্রমুক্তি নামে প্রকাশ্যে তৎপরতা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ঈসায়ী তারিখে জঙ্গি সন্দেহে ঢাবি শিক্ষকসহ হিজবুত তাহরীরের ১১ সদস্য গ্রেফতারের খবর “দৈনিক আল ইহসান, সংবাদ, ভোরের কাগজ, আমার দেশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট” ইত্যাদি পত্রিকা প্রধান লিড নিউজ করে। এছাড়াও অন্যান্য সব পত্রিকাই এ খবর লিড নিউজ করে।

কিন্তু রাজাকার জামাতে মওদুদীর মুখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম” শেষ পৃষ্ঠায় সিঙ্গেল কলামে এ খবর খুবই সংক্ষিপ্ত করে ছাপে।

একইভাবে জামাতে মওদুদীর আরেক মুখপত্র “দৈনিক নয়া দিগন্ত”ও এ খবর শেষ পৃষ্ঠায় সিঙ্গেল কলামে খুবই ছোট করে ছাপে।

যার দ্বারা খুবই স্পষ্ট ও শক্তভাবে প্রমাণিত হয় যে, আসলে হিজবুত তাহরীর আর জামাতে মওদুদী দৃশ্যত একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। আর অদৃশ্যত উভয়েই এক ও অভিন্ন। (নাঊযুবিল্লাহ)

এদিকে বহুদিন ধরেই হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার যোগাযোগের অভিযোগ ব্যাপক আলোচিত হয়ে আসছে । জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণ বিষয়ক ওয়েব সাইট ‘মিলিট্যান্ট ইসলাম মনিটর ডট ওআরজি’- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদা, তালেবান ও বৈশ্বিক জিহাদের জন্য কর্মী সংগ্রহ করে হিযবুত তাহ্রীর।

২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে মার্কিন ও ইসরায়েলি দূতাবাসে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকার হিযবুত তাহ্রীরকে দায়ী করে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলায় ব্যবহৃত বিমান ছিনতাইকারীদের মধ্যে জায়াদ জারাহ, মারোয়ান আল শেহি ও মোহাম্মদ আতা জার্মানিতে হিযবুত তাহ্রীর করতেন। ২৬ বছর বয়সী জারাহ জার্মানির হামবুর্গের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাই্ড সায়েন্স বিমান প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। আতা (৩৩) পড়তেন হামবুর্গেরই কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং আল শেহি পড়তেন বন বিশ্ববিদ্যালয়ে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। লন্ডনের দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকায় এ তথ্য ছাপা হয়। (সূত্র: মিলিট্যান্ট ইসলাম মনিটর ডট ওআরজি, ১ আগস্ট ২০০৪)

জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজিস্তান, রাশিয়া, জার্মানি, পাকিস্তান, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় প্রতিটি দেশেই হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ।

বিভিন্ন দেশে সংগঠনটি নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে সংগঠনের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এমনিতে স্বাভাবিক রাজনীতিই নিষিদ্ধ, তাই তাদের সংগঠনও নিষিদ্ধ। উজবেকিস্তানে  তাদের সংগঠন শক্তিশালী বিরোধী দল বলে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। আর জার্মানিতে ইহুদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। তিনি দাবি করেন, হিযবুত তাহরীর ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাই একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নিক্সন সেন্টারের পরিচালক জিনো বারান বলেন, ‘হিযবুত তাহ্রীর মানুষকে নিজের জন্য সুবিধাজনক শিক্ষায় শিক্ষিত করছে। পরে এরা আল-কায়দার মতো দলের সদস্য হচ্ছে। এমনকি এরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মী যোগানদাতা হিসেবেও কাজ করে।’

যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এ ২০০৫ সালের ৭ আগস্ট তার এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সালের জুনে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো বিমানবন্দরে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কয়েকজন ছিলের হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য।

সংগঠনটির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুযায়ী, তারিকুদ্দিন আল নাবানি নামে জেরুজালেমের এক বিচারক ১৯৫৩ সালে হিযবুত তাহ্রীর প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বের সব সরকার উৎখাত করে বৈশ্বিক খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য। বর্তমানে যুক্তরাজ্য এই সংগঠনটির মূল কেন্দ্র বলে জানা যায়।

বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটে। মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর/০৮)  গ্রেফতার হওয়া ড. গোলাম মওলা যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য গেলে সেখানে এই সংগঠন সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। তিনি দেশে ফিরে এসে ১৯৯৮-৯৯ সালে এই নিয়ে কাজ শুরু করেন।

২০০৩ সালে এদেশে রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করে। তার আগ পর্যন্ত মূলতঃ বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ হয়েছে। সংগঠনটি মূলতঃ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ও সচ্ছল পরিবারের ছেলে-মেয়েদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধাজনক বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহারের চেষ্টা করে। সেই সাথে নগদ টাকা-পয়সাও ঢালে।

উল্লেখ্য, আসলে আল কায়েদার মতই এ সংগঠনকে মূলতঃ চালাচ্ছে সিআইএ। যাদের দ্বারা আরেকটা মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ বাংলাদেশে লালন করে ওদের দ্বারা ইচ্ছেমত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য প্রমাণের পাঁয়তারা ওদের নীল নকশার গভীর অংশ।

“ধোয়া দেখলেই আগুন বোঝা যায়।” “রাঁধুনীর জন্য একটা ভাত টিপলেই যথেষ্ট হয়।”

হিজবুত তাহরীরের নেতাকর্মী কারো চেহারা-সূরতে-পোশাকে-আমলে ইসলামের লেশমাত্র নেই।

আর দশটা সাধারণ ছাত্র বা মানুষের মত তারাও হাফহাতা গেঞ্জী, টাইট জিন্স প্যান্ট, ক্লিনসেভ হয়ে, নাটক-সিনেমা দেখে, ব্যান্ড শো, গানবাজনা শুনে, ডিস্কো চলা চলে।

এদিকে আবার পাশাপাশি মুখে মুখে ইসলামের নামেও দু-একটা আপ্ত কথা বলে।

অর্থাৎ হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা তাদের সাড়ে তিন হাত দেহেই ইসলামের কোনো ছোঁয়া লাগাতে পারেনি- তাহলে তাদের দ্বারা গোটা ৫৫ হাজার ৫৯৮ বর্গমাইলের বাংলাদেশে কী করে ইসলাম কায়েম করা সম্ভব?

হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা নামকাওয়াস্তে গণতন্ত্র হারাম ফতওয়া দিয়েছে।

কিন্তু যে অর্থে গণতন্ত্র হারাম; সে অর্থে তো প্যান্ট-শার্ট পরা, দাড়ি কাটা হারাম।

তাহলে ঐসব হারাম কাজ তারা কী করে করছে?

হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা নির্বাচন হারাম ফতওয়া দিয়েছে। কিন্তু যে অর্থে নির্বাচন হারাম; সে অর্থে ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়াও কাট্টা হারাম।

আর হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা এসব হারাম কাজগুলো দিব্যি করে যাচ্ছে।

অথচ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তবে কী তোমরা কিতাবের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে?”

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “তোমরা হক্বকে বাতিলের সাথে মিশ্রিত করো না।”

আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো।”

অথচ হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ তো দূরের কথা তারা আংশিকভাবেও প্রবেশ করেনি।

তাহলে কুরআন শরীফ-এর অনেক আয়াত শরীফ দ্বারা একথাই তো অকাট্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, আসলে হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা ঈমানদারই নয়।

সুতরাং তাদের দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা আসলে ভাওতা ছাড়া কিছুই নয়।

তারা বরং বহুরূপী জামাতে মওদুদীরই একটা রূপ মাত্র। ইসলামের নামে ব্যবসার জন্য জামাতে মওদুদীর সংস্করণেরই আরেকটা আধুনিক রূপ। কওমী মাদ্রাসার ছাত্র নয় আধুনিক শিক্ষার ধর্মপ্রাণ ছাত্রদেরকে জঙ্গি বানানোই যাদের টার্গেট।

কাজেই কী র‌্যাব,

কী জিডিএফআই,

কী এনএসআই

কি এসবি

সবারই উচিত এদের সম্পর্কে যথাদ্রুত অ্যাকশন নেয়া। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।