জঙ্গি বা কালো তালিকাভুক্তি নিয়ে দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীন কথা খুবই ন্যক্কারজনক। খালেদা জিয়ার দায়িত্বহীন কথার প্রতিবাদ কেউ করেননি। খালেদা জিয়া এখন কী বোমারু মিজানকেও জঙ্গি বলবেন না? আগামীতে যদি কোনো জঙ্গি হামলা হয়, তাহলে তার দায় কী খালেদা জিয়ার ঘাড়ে পড়বে না? মূলতঃ খালেদার গোয়েন্দা বাহিনীই ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

সংখ্যা: ১৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

জঙ্গি নিয়ে এখন দায়িত্বশীলরাও বিভ্রান্তির কারণ তৈরি করছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের কথা। কিন্তু তারপরে হঠাৎ বলা হলো ১২টি সংগঠনের কথা।

সঙ্গতকারণেই তাহলে প্রশ্ন জোরদার হয় যে, ইতোপূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্ণিত ৩৪টির মধ্যে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠন কী তাহলে ভাল হয়ে গেছে? অপরদিকে যে ১২টি সংগঠনের নাম বলা হয়েছিলো তার মধ্যে ৬টিই মূলতঃ জেএমবি’রই বিভিন্ন রূপ।

পক্ষান্তরে জঙ্গিবিরোধী এবং জঙ্গি দমনে একান্ত নিবেদিত ও সর্বজনবিদিত এবং সর্বমহলে প্রশংসিত ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে বিশেষ বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।

১২টি কালো তালিকাভুক্ত যে মূলতঃ ভুল ও ভিত্তিহীন এবং অসত্যের উপর পেশ হয়েছে তা নিয়ে ‘দৈনিক ডেসটিনি’সহ শুধু প্রিন্ট মিডিয়াই নয় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়ও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।

একুশে টিভি’র টকশো-তে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তির ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন।

আপত্তি জানিয়েছেন ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা: এম এ হাছানসহ বিভিন্ন শক্তিশালী সংগঠন; এমনকি সরকারের খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় মসজিদের খতীব, ইফা’র ডিজি, আওয়ামী ওলামা লীগও

‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, জঙ্গিরা এখন জামাতীদের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে ভর করছে। যারা জঙ্গিবাদ বিরোধী তাদের ইমেজ ক্ষুণœ করাও বর্তমানে তাদের বিশেষ তৎপরতা। অপরদিকে সবাই অবগত আছেন যে, জামাত-জোট সরকারই জঙ্গিবাদের উত্থানকারী।

বলাবাহুল্য, জামাত-জোট এখন জঙ্গিবাদের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতাকারী। এমনকি এর দায়ভার যৌক্তিককারণে বর্তায় খোদ খালেদা জিয়ার উপরও।

গত ০৩/০৫/০৯ তারিখে খালেদা জিয়ার বরাতে ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় হেডিং হয়: “দেশে জঙ্গি নেই, যা ছিলো আমরা ধরেছি ও শাস্তি দিয়েছি -খালেদা।”খবরে বলা হয়: ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশি সেনা আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এই সরকার সব জায়গায় জঙ্গি দেখে। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। যা ছিলো, আমরা ধরেছি ও শাস্তি দিয়েছি। এই জঙ্গি জঙ্গি বলে দেশে বিদেশি সেনা আনার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।” অথচ এর পরপরই গত ১৬.০৫.২০০৯ তারিখে

‘দৈনিক ডেসটিনি’ পত্রিকায় খবর হয়:

“মনিপুরে জেএমবি’র বোমা কারখানা। বিশেষজ্ঞ আটক। বিস্ফোরণে আহত তার স্ত্রী ও সন্তান।”

‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় হেডিং হয়:

“বোমার ফ্যাক্টরি। ভূমি মাইন, গ্রেনেড বোমা তৈরির সরঞ্জার উদ্ধার। শায়খের ঘনিষ্ঠ বোমারু মিজান ও নিজের ছোড়া গ্রেনেডে আহত তার স্ত্রী শারমিন আটক। তাদের দুই আহত শিশুকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। দেশে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অন্তর্ঘাত চালানোর আশঙ্কা।”

‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায় হেডিং হয়:

“জেএমবি’র বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার। আত্মঘাতী তৎপরতায় বোমারু মিজানের স্ত্রী’র হাতের কব্জি উধাও ॥ গ্রেফতার, ২ শিশু আহত।” ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকায় হেডিং হয়:

“রাজধানীতে জঙ্গি আস্তানা। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার।”

‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় হেডিং হয়:

“জেএমবি’র গ্রেনেড তৈরির ল্যাবরেটরির সন্ধান।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কথা যে কতটুকু ভিত্তিহীন ও অসত্য তা গত ১৬ই মে/২০০৯ তারিখের পত্র-পত্রিকার খবর দ্বারা প্রতিভাত ও প্রমাণিত হয়েছে।

বলাবাহুল্য, খালেদা জিয়ার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য ও তৎপরতা এবং প্রচারণা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

খালেদা জিয়ার কথা মোতাবেক জঙ্গিবিরোধী সব প্রচারণা এবং তৎপরতা থেকে সরকারের সরে আসাই উচিত এবং কর্তব্য ছিলো।

সরকার যদি সত্যিই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথায় গুরুত্ব দিয়ে,

বিরোধী দলের সমালোচনা থেকে আত্মরক্ষার্থে

জঙ্গিবিরোধী প্রচারণা ও তৎপরতা স্তিমিত করে দিতেন

তাহলে বোমারু মিজান ঘটনায় জেএমবি’র যে শক্তিশালী তৎপরতা, বোমা, অস্ত্র ইত্যাদি প্রকাশ পেল ও উদ্ধার হলো তা আদৌ হতো না।

সেক্ষেত্রে বোমারু মিজান যদি বিরাট একটা নাশকতা ঘটাতে সফল হতো তার দায়-দায়িত্ব কী খালেদা জিয়া নিতেন?

এবং সঙ্গতকারণেই এ প্রশ্ন মূলতঃ জোরদার ও ঘনীভূত যে,

জেএমবি’র আসন্ন বিরাট নাশকতামূলক কর্মকা- নির্বিঘেœ সম্পন্ন হওয়ার জন্য এবং সরকারকে অন্ধকারে রাখার জন্যই কী খালেদা এরূপ বিবৃতি দিয়েছিলেন? এসব প্রশ্ন জনমনে সঞ্চারিত ও বিস্ফোরিত হয়েছে,

জনরোষ দমনে তাই সরকারকে এসব প্রশ্ন সরকারিভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি করতে হবে। তাকে এ বিষয়ে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। খালেদার প্রতি সরকার এখন পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় থাকলেও ‘দেশে কোনো জঙ্গি নেই’-এরূপ বিবৃতি দান সাপেক্ষে আগামীতে যে কোন জঙ্গি গ্রেফতার, জঙ্গি অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি তৎপরতা প্রকাশ অথবা যে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা হলে তার জন্য খালেদা জিয়াই যে সর্বপ্রথমে দায়বদ্ধ হবে- এ অনুভূতি বিশ্বাস জনমনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রোথিত হয়েছে। মূলতঃ জঙ্গি সম্পর্কে দায়িত্বশীলদের অজ্ঞতাসূচক মন্তব্য খুবই বেমানান এবং ন্যক্কারজনক।

মুহম্মদ আলম মৃধা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।