জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যেন ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্মব্যবসায় বরকত না দেন।”

এ হাদীছ শরীফ-এর সাক্ষাত প্রমাণ মিলছে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীদের ক্ষেত্রে।

রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী হয়েও তারা বিএনপি’র সাথে আঁতাত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে লাগিয়ে, দাপট দেখিয়ে ঘুরেছে।

আজকে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। তারা যে শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলের দু’টো মাত্র সিটই পেয়েছে তা-ই নয় বরং

তাদের আশ্রয়দাতা,

তাদের দাদা,

তাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী,

তাদের সহোদর বড়ভাই-

খোদ বিএনপিই

আজ তাদেরকে টয়লেট পেপারের মত ছুঁড়ে ফেলতে চাইছে।

বিষয়টি এখন আর রাখ-ঢাকের মধ্যে নেই। কিছুদিন যাবৎ পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা ও ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে।

গত ০১.০২.০৯ তারিখের ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’ পত্রিকা ফার্স্ট লীড নিউজ করে: “৪ দল থেকে ছিটকে পড়ছে জামাত। আন্দোলন, নির্বাচন, সরকার গঠন- জোট সৃষ্টির ৩ এজেন্ডাই উধাও। সামনে কেবল যুদ্ধাপরাধ ইস্যু।”

খবরে বলা হয়: “নির্বাচনে ভরাডুবির পর এবার চারদলীয় জোটের শরীকরা একে অপরের মুখোশ উন্মোচন করছে। ১১ জানুয়ারি পটপরিবর্তনের পর থেকেই বিএনপিকে দুর্নীতিগ্রস্ত দল হিসেবে আখ্যায়িত করে দূরত্ব বজায় রেখেছিল জামাত। এবার যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিএনপিও দূরে ঠেলে দিয়েছে জামাতকে। পরস্পরের দোষারোপের ফলে দীর্ঘ ১০ বছরের বিএনপি-জামাতের সেই মৈত্রীবন্ধন থেকে এবার ছিটকে পড়ছে জামাত।

জোটের শরীক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর ১৯৯৮ সালে তিনটি ইস্যুকে সামনে রেখে জোট গঠন করা হয়। বিএনপির নেতৃত্বে জোটের শরীক হয় জামাত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোট (আমিনী)। আর এজেন্ডা ছিল আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন। জোট গঠনের কিছুদিন পর থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে তারা। ২০০০ সালে এসে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে সক্ষম হয় তারা। এরপর ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে নির্বাচন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।

এরপর ১০ অক্টোবর ৬০ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদে জামাতকে ২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। ক্ষমতার স্বাদও নিয়েছে জোটগতভাবে। কিন্তু ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিল জামাত।

রাজনৈতিক সিডরে বিধ্বস্ত বিএনপির দুর্দিনে শরীক দল হিসেবে পা বাড়ায়নি তারা। খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারেও কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি জামাতের পক্ষ থেকে। উল্টো বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কারো দুর্নীতির দায়ভার কাঁধে নেবে না জামাত।

ওই সময় থেকেই পরস্পরের মধ্যে টানাপোড়েন অবস্থা বিরাজ করছিল। নির্বাচনের খাতিরে ফের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে নামে চারদল। গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৩টি আসন পায়। এর মধ্যে বিএনপি ৩০টি, জামাত ২টি ও বিজেপি ১টি আসন পায়। নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামাত।

জামাতের বক্তব্য ছিল বিএনপির মনোনয়ন ঠিক ছিল না। সংগঠন ছিল দুর্বল। তাদের প্রার্থীর অনেকেই ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই দলের ভরাডুবি হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীর অভিযোগ ছিল নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটি কাজে লাগিয়ে চারদলীয় প্রার্থীকে ধরাশায়ী করেছে প্রতিপক্ষ। সেই দোষে দোষী স্বয়ং জামাত। তাই জামাতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করাই ছিল তাদের বড় ভুল।

নির্বাচনের পর বিএনপির দলের মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক, তৃণমূল নেতাকর্মী ও কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ তরুণ নেতাসহ সারা দেশে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘জামাতমুক্ত বিএনপি’ সেøাগান জোরালো হয়ে উঠেছে। জামাতের কারণে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে মনে করে তারা জামাতপ্রীতি বাদ দিয়ে দলকে নিজেদের মতো করে ঢেলে সাজানোর দাবি করছে। সারা দেশের মাঠ কর্মীরাই এ অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে ২৯ জানুয়ারি সরকার সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পাস করলে বিএনপির তরফ থেকে ৩০ জানুয়ারি সে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়। ওইদিন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে নীতিগতভাবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জোটের প্রধান দল বিএনপির এ মন্তব্যে নাখোশ জামাত। তার এ মন্তব্যের সময়ই চলছিল জামাতের মজলিসে শুরার বৈঠক। বিএনপির এ অবস্থান জানার পর জামাত গত ৩০ জানুয়ারি সংগঠনের মজলিসে শুরার বৈঠক করে ‘একলা চলো নীতি’ অবলম্বন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র জানায়, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মন্তব্যের পর ওই দিন রাতেই জামাতের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে খালেদা জিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, জোট গঠনের এজেন্ডার বিষয়ে নজর দিন। রাজনৈতিকভাবে কিছু করা হলে তা রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিন। ওই দূতের বার্তা পেয়ে তুমুল আলোচনা চলছে জামাতে।

শুরা কমিটির একজন সদস্য বলেন, জোটগতভাবে শরীকরা তাদের সহযোগিতা করবে না এমনটি তাদের মগজে আছে। তাই তারাও বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। বিএনপি তাদের এ অবস্থান পরিবর্তন না করলে ভবিষ্যতে উচিত শিক্ষা দিতেই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে।

 … এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক। তিনি বলেন, আমরা জিয়ার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে চাই। আর জামাতের সঙ্গে ঐক্য থাকবে নাকি থাকবে না তা জামাতের কর্মকা-ের উপর নির্ভর করবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কোন দলের নেতারা ফেঁসে গেলে তাতে বিএনপির চিন্তার কিছু নেই। ইস্যুভিত্তিক গড়া জোট থেকে কোনো দল ছিটকে পড়লে কারো কিছু করার নেই।”

এদিকে একইদিনে বিএনপি-জামাত টানাপোড়েন সম্পর্কে ফার্স্ট লীড নিউজ করে ‘দৈনিক সংবাদ’ও।

খবরে বলা হয়: “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, এ ব্যাপারে সংসদে প্রস্তাব পাস এবং তাতে নৈতিক সমর্থন দেয়ায় বিএনপির সঙ্গে চারদলীয় জোটের শরীক দল জামাতের নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপির কোন আপত্তি নেই বলে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য দেয়ার পর এ টানাপোড়েন আরও বেড়ে যায়। জামাতের নেতারা এ ব্যাপারে বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ হলেও কৌশলগত কারণে তারা প্রকাশ্য কিছু বলছে না। এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জামাতের নবীন-প্রবীণ নেতাদের মধ্যেও এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। নতুন নেতারা মনে করেন, দলের যেসব নেতার নামে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বাদ দিয়েই দলকে আগামী দিনে এগিয়ে নেয়া উচিত।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি/০৯) সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাসের পর বিএনপি নেতারা আরও একধাপ এগিয়ে জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে দেয়ার চিন্তা করছে বলে দলের একাধিক সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকার যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে আটঘাট বেঁধে নামছে তাতে যেভাবেই হোক সরকার বিচার করবেই। এটা হলে জামাতের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে। এ সময় জামাত বিএনপির কাঁধে ভর দিয়ে থাকলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য এখন থেকেই জামাতের সঙ্গে দূরত্ব রাখা দরকার।

এ প্রেক্ষাপটে গত শুক্রবার খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপির কোন আপত্তি নেই বলে জানান। খোন্দকার দেলোয়ারের এ কথা জামাত নেতারা ভালভাবে নেয়নি। তারা মনে করেন, এতে সরকার মনে করতে পারে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হলে বিএনপি কোন বিরোধিতা করবে না। ফলে সরকার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামাতের একাধিক সিনিয়র নেতাকে বিচারের সম্মুখীন করতে পারে। এটা হলে জামাত রাজনৈতিকভাবে ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়াবে।”

উল্লেখ্য-

যুদ্ধাপরাধী, জামাতীদের আশ্রয়দাতা,

জামাতীদের প্রশ্রয়দাতা

জামাতীদের পুনর্বাসনকারী

জামাতীদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী

খোদ বিএনপিই যখন জামাতীদের প্রতি নাখোশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন প্রতিভাত হয় যে, জামাতীরা এখন আকণ্ঠ গযবে ডুবেছে।

হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার জামাতীদেরকে সহোদর ভাই সম্বোধনকারী

তাদের পুনর্বাসনকারী, তাদেরকে স্বাধীন দেশে পতাকা উড়িয়ে চলার সুযোগ দানকারী

বিএনপি সরাসরি যুদ্ধাপরাধী না হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার বরং উল্টো তাদের পুনর্বাসিত ও সক্রিয় করার দায় কি তারা এড়িয়ে যেতে পারে? কখনোই না।

কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েই বা পেয়েই এ নির্যাতিত জাতি তথা দেশবাসী সন্তুষ্ট হবে না, হতে পারে না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনকারী

তাদের সহযোগী, তাদের সহোদর দাদাদেরও সঙ্গতকারণেই আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

কারণ, যুদ্ধাপরাধী জামাতীদের সহোদর ভাই বিএনপি শুধু যুদ্ধাপরাধী এক জামাতীদেরই পুনর্বাসনকারী ও সহযোগী শক্তি নয় সাথে সাথে তারা জঙ্গি, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ঘরানার সব ধর্মব্যবসায়ী যথা- তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ জঙ্গি আব্দুশ শয়তান, বাংলা সন্ত্রাসী, জেএমবি উত্থানকারী এবং সেই সাথে গোটা জঙ্গিবাদেরই নেপথ্য সৃষ্টিকারী।

সঙ্গতকারণেই শুধু যুদ্ধাপরাধী ধর্মব্যবসায়ী জামাতীদের সহযোগী শক্তি হিসেবেই নয় পাশাপাশি জঙ্গিবাদের নেপথ্যে কারিগর হিসেবেও বিএনপি’র সংশ্লিষ্টরা অভিযোগের তীর থেকে রেহাই পেতে পারে না।

যুদ্ধাপরাধীদের সহোদর ভাই হিসেবে আসামির কাঠগড়ায় তাদেরকেও দাঁড় করানো সঙ্গতকারণেই যুক্তিসঙ্গত ও জরুরী।

মুহম্মদ জিসান আরীফ

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩