টন প্রতি মাত্র ১ টাকা মাশুলে ভারতকে জ্বালানি ট্রানজিট দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যতা এবং স্বাধীনতার চেতনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সংখ্যা: ২৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সঙ্গে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত (এমওইউ) হয়েছে।  ভারত সাময়িক ট্রানজিট সুবিধায় বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম থেকে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস আরেক রাজ্য ত্রিপুরায় নেবে। প্রতিদিন (দিনের বেলা) সর্বোচ্চ ৮০টি লরিতে জ্বালানি পরিবহন করতে পারবে ভারত। এই পণ্যের জন্য প্রতিটনে মাত্র ১ টাকা ২ পয়সা করে মাসুল নেবে বাংলাদেশ।

সূত্রে জানা গেছে, ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ভূমিধসের কারণে আসাম থেকে ত্রিপুরাগামী জাতীয় সড়ক (এনএইচ-৪৪) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ত্রিপুরার সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ত্রিপুরা রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জ্বালানি তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ।

ভারতীয় এসব পণ্য ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরায় নিতে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। যার বিপরীতে ভারতীয় ট্যাংকারগুলো উত্তর আসামের বঙ্গাইগাঁও থেকে যাত্রা করে মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত-সিলেটের তামাবিল-মৌলভীবাজারের চাতলাপুর হয়ে প্রায় চার ঘণ্টায় ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশপুরে ঢুকবে। ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি যানবাহনগুলো বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে একই পথে ভারতে ফিরে যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য ও ভারি যন্ত্রপাতি বহনে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলো সরকার। আসাম ও মেঘালয়ের দুর্গম পথ এড়িয়ে গত মাসে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে দুই হাজার ৩৫০ টন চালের নতুন একটি চালান ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে ভারতের খাদ্য কর্পোরেশন (এফসিআই)। এর আগে ত্রিপুরায় ৭২৬ মেগাওয়াট ‘পালটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নির্মাণের জন্য ভারী যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম পরিবহনে ভারতের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেডকে (ওএনজিসি) বাংলাদেশের পথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।

জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর-২০১৬ ঈসায়ী পর্যন্ত একটানা এই পেট্রোপণ্য যাবে আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায়। বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে এটি হবে পেট্রোপণ্যের প্রথম চালান। ভারতের আইওসি নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের ট্যাংকার দিয়ে এই পেট্রোপণ্য পারাপার করবে। সিলেট ডাউকী স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্য প্রবেশের পর মৌলভীবাজার বাইপাস হয়ে সমসের নগর চাতলাপুর স্থলবন্দর অতিক্রম করে ত্রিপুরার কৈলাসহর মনু স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে।

বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ ভারতের দ্বারা একের পর এক শোষণের শিকার হলেও ভারত কৌশলে বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের নিজ স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। যার একটি অন্যতম উদাহরণ হলো এই ট্রানজিট। অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৩নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে-

(১) আইনসঙ্গতভাবে প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত যেকোনো ভূমি বা সম্পত্তি ব্যতীত নিম্নলিখিত সম্পত্তিসমূহ প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত হইবে।

(ক) বাংলাদেশের যেকোনো ভূমির অন্তঃস্থ সমস্ত খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী;

(খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পানিসীমার অন্তরবর্তী মহাসাগরের অন্তঃস্থ কিংবা বাংলাদেশের মহীসোপানের উপরিস্থ মহাসাগরের অন্তঃস্থ সমস্ত ভূমি, খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী; এবং

(গ) বাংলাদেশে অবস্থিত প্রকৃত মালিকবিহীন যেকোনো সম্পত্তি।

উপরোক্ত অনুচ্ছেদে যেমন বাংলাদেশের উপর বাংলাদেশী প্রজাসাধারণের মালিকানা প্রতিভাত হয়েছে, তেমনি এ মালিকানা সাপেক্ষে বিদেশের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রেও জনগণের অবগতির কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫নং ‘ক’ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে- ‘বিদেশের সহিত সম্পাদিত সমস্ত চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’

ট্রানজিট চুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয় ছাড়াও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি জড়িত। কাজেই এ চুক্তি সম্পাদনের আগে জনগণের মতামত গ্রহণ করা এবং লাভ-ক্ষতির বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করা আবশ্যক।

দেশবাসীকে না জানানোর কারণে ভারতের সাথে ট্রানজিটের ক্ষেত্রে সম্পন্ন চুক্তিতে কী আছে, আর কী নেই তা বোধগম্য নয়। তবে যেহেতু বাংলাদেশের উপর দিয়ে মালামাল পরিবহন হবে, নিরাপত্তার বিষয়টি চলে আসে। সেক্ষেত্রে হোস্ট সরকারকে (বাংলাদেশ) বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।

পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, দেশের নিরাপত্তা বিঘিœত করে এমন সিদ্ধান্ত কোনো উন্মাদ-পাগল ছাড়া কেউ এমন নিতে পারে না। পাশাপাশি উল্লেখ্য, পৃথিবীর বহু দেশে ট্রানজিট আছে। কিন্তু এত সস্তায় কোথাও নেই। আবার এর অনেক ভয়ঙ্কর দিকও রয়েছে। ভারতের পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোয় পতিতালয় গড়ে উঠবে। কারণ বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বন্দরকেন্দ্রিক পতিতালয় গড়ে উঠেছে। অপরদিকে ভারতে এইডস মহামারি আকারে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও এইচআইভি ছড়াবে। যা উদ্বেগের বিষয়।

সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, ট্রানজিট দেয়ার  সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী, রাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী। সমালোচক মহল বলেন, রাষ্ট্রকে ব্যক্তিগত মনে করে সরকার দিল্লির কাছে আত্মাকে বন্ধক রাখতে পারে না। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য আছে, এটাকে নিজের দেশ মনে করে এমন কোনো সরকারের পক্ষে ট্রানজিটের ফাঁদে পা দেয়ার কথা না।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।