খতীব উবাই’র হাক্বীক্বত সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ বরাবরই লেখা হত। তাতে ফুঁসে উঠত দেওবন্দী, খারিজী, ওহাবীরা। বায়তুল মোকাররম মসজিদকে ওরা ওদের বাপের তালুক মনে করে। বায়তুল মোকাররম মসজিদকে জাতীয় মসজিদ বলে প্রচার করে। অথচ এটা যে কত বড় অনৈসলামিক কথা; এ কথা বললে যে এ মসজিদে জাতীয় সঙ্গীত আওড়ানোর মতই মুসলমানের সাথে দেশবাসী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানকে প্রবেশাধিকার এমনকি প্রার্থনারও সুযোগ দিতে হবে। সে কথা বোঝার মত সামান্য জ্ঞানই বা তাদের কোথায়?
এহেন সর্বাচীনতা, মূর্খতা আর জঙ্গিপনা দিয়েই তারা বায়তুল মোকাররমকে জাতীয় মসজিদ হিসেবে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। তাদের এজেন্টকে জাতীয় মসজিদের খতীব বলে প্রচারণা চালাতে চায়। বরং তাকে দিয়ে তাদের অনৈসলামীপনাকে তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের খোলস পড়িয়ে দিতে চায়। তথাকথিত জাতীয় মসজিদের খতীবকে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তাকে দিয়ে দেশবাসী সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমবেদনা পেতে চায় তাই তানিয়া আমীর যখন আখিরী রসূল, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অবমাননাকর উক্তি করে (নাঊযুবিল্লাহ)
তখন তারা কোন প্রতিবাদ জানায় না। কিন্তু তানিয়া আমীর যদি বায়তুল মোকাররম মসজিদের কার্পেট পোড়ানোর প্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররমকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বলে তখন তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে। তখন তাদের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের প্রক্রিয়ায় তারা কোমরে গামছা বাঁধে।
এদিকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত খতীব নূরুদ্দীন যে বিগত খতীব উবাই’র মতই কায্্যাব ও ধর্মব্যবসায়ী তা মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানে প্রকাশ করায় ঐ চিহ্নিত ও কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী মহলটি ঠিকই মারমুখী হয়ে উঠে।
অথচ বর্তমান কায্যাব খতীব নূরুদ্দীন রুহুল কুদুছ হযরত জীবরাইল আলাইহিস্ সালাম-এর বিরোধিতা করল তাতে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া হয় না। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত খতীবের কায্্যাবগিরি ও ধর্মব্যবসা তুলে ধরলে তারা আন্দোলনকারী ও প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে।
অর্থাৎ আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরিবর্তে তাদের মুরব্বীরাই তাদের সাথে বড় প্রিয়, অধিক হক্বদার বিবেচ্য হয়ে উঠে। (নাঊযুবিল্লাহ)
বলাবাহুল্য এ ধরনের মুরব্বী পূজা দেওবন্দী-খারিজীদের জাতিগত অভ্যাস। কিন্তু দেওবন্দীরা যতই মুরব্বী পূজা করুক কুদরতময়ী মহান আল্লাহ পাক ঠিকই তাদের মুরব্বীদের হাক্বীকত ফাঁস করেছেন। আশরাফ আলী থানভী, হোসাইন আহমদ মাদানী থেকে বিগত খতীব উবাই এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত খতীব কায্যাব নূরুদ্দীন কেউই বাদ যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গতঃ দৈনিক আল ইহসান প্রকাশিত প্রধান লিড নিউজ হুবহু তুলে ধরা হলো-
দৈনিক আল ইহসানে তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত খতীব নূরুদ্দীনকে কায্্যাব মন্তব্যের প্রমাণ জনসম্মুখে প্রকাশিত- অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারী এবং সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অনৈতিক কার্যকলাপের ফিরিস্তি প্রকাশ করে নূরুদ্দীনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন প্রকাশ্যে তওবা না করা পর্যন্ত তার পেছনে নামায না পড়ার আহ্বান
আল ইহসান ডেস্ক: বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতীব মুফতে নূরুদ্দীনের বিরুদ্ধে অযোগ্যতা, নারী কেলেঙ্কারী, অর্থ আত্মসাৎ, পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ মুসল্লিরা। গত মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ আনেন। সাধারণ মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, মুফতে নূরুদ্দীন দুর্নীতিসহ নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত। তার চাল-চলন ও জ্ঞানের যোগ্যতার উপর মুসল্লিদের কোন আস্থা নেই। দুদক পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। সে অপ্রদর্শিত আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। পিএইচডি ডিগ্রিধারী হওয়ার মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে। অবৈধভাবে নিজের বেতন উন্নীত করেন। বেনামে দোকান পর্যন্ত দখল করে। এক্সিম ব্যাংক থেকে সুদের টাকা নিয়ে থাকে সে। গুরুতর নানা ধরনের কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত খতিবকে সরিয়ে একজন হক্কানী আলিমকে স্থায়ী খতিব নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান সাধারণ মুসল্লিরা। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ মুসল্লিদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর সানাউল্লাহ কায়ানী,
মাওলানা হোসেন আলী, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল হান্নান, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, জহুরুল হক। মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মুফতে নুরুদ্দীন লালবাগ মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে দাওরায়ে হাদিস পাস করে। কামিল তো দূরের কথা দাখিল পাসের সার্টিফিকেটও সে দেখাতে পারবে না। সে বিভিন্ন কিতাব উর্দু থেকে অনুবাদ করে নিজেকে রচয়িতা হিসেবে দাবি করে। স্বার্থের জন্য সে নিজ পুত্রের বয়স পর্যন্ত কমাতে দ্বিধা করেনি। কমিটিবিহীন মাদ্রাসা পরিচালনা করে সে ডেমরার বালীধীৎপুরের একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। বায়তুল মোকাররমের ক্ষুদ্র দোকান নম্বর ৯৩ সে নিজের নাম গোপন করে ফাউন্ডেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছে। বর্তমানে সে দোকানটি আনোয়ার হোসাইনকে ভাড়া দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্লট ক্রয়ের জন্য সে এক্সিম ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা সুদের মাধ্যমে নিয়েছে। তার সম্পদের যেন শেষ নেই। ৫১, পুরানা পল্টনে আর্কেডিয়া ড্রিমে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের তার একটি ফ্ল্যাট আছে। পল্টন হাউজিং সোসাইটি, ৪১/এ পুরানা পল্টন ২ নম্বর বিল্ডিং-এর ৩য় তলার ফ্ল্যাটটি সে প্রায় ৩০ লাখ টাকায় কিনে। সিআর দত্ত বীরবিক্রম মোতালেব প্লাজার পঞ্চম তলায় ৫৭৮ নম্বর দোকানটি সুলায়মানের কাছ থেকে কিনেছে ৪৫ লাখ টাকায়। বালীধীৎপুরে তার ৪০ লাখ টাকা মূল্যের বিশ বিঘা জমি রয়েছে। শনির আখড়ায় মৌচাকে বুকস গার্ডেনে দু’টি ফ্ল্যাট আছে যার দাম প্রায় ২৭ লাখ টাকা। কুরআন শরীফ ভুলে যাওয়ার কারণে তারাবীহ নামাযের অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সম্মানী নেয়ার জন্য পবিত্র রমযান শরীফে তারাবীহ পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে থাকে সে। পেছন থেকে সংশোধন করে দেয়া হলেও আরও বেশি উল্টা-পাল্টা করে ফেলে সে। চকবাজার শাহী জামে মসজিদের ইমাম কারী উবায়দুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কুরআন শরীফ শিক্ষা কার্যক্রমে মাওলানা নূরুদ্দীন মাঝে মধ্যে ক্লাস নিত। সেই সময় এক ছাত্রীর প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করে এবং আগের স্ত্রীকে তালাক দেয় সে। এ ব্যাপারে কোর্টে মামলা রয়েছে।
বায়তুল মোকাররমের খতিব নিজেই আরবীতে খুৎবা রচনা করে তা দেয়ার রীতি চালু আছে। কিন্তু আরবীতে দক্ষতা না থাকার কারণে বিভিন্ন জনের রচিত খুৎবা থেকে ফটোস্ট্যাট করে একটি কাগজে নিয়ে হাজির হয় সে। এটি এক ধরনের প্রতারণা।
উল্লেখ্য, একই খবর গত ২০ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ এমনকি কাযযাব নুরুদ্দীনের মিত্র ইনকিলাবেও ছাপায়।
কিন্তু কায্যাব নুরুদ্দীন তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগের কোন দলীলভিত্তিক জবাব আদৌ দিতে পারেননি।
আরো শক্তভাবে যার দ্বারা প্রমানিত হয় যে কাযযাব নুরুদ্দীন আসলেই মহা ভ- ও ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ী। প্রকাশ্যে তওবা না করা পর্যন্ত তার পেছনে কারোই নামায হবে না। আর যারা নামায পড়েছে তাদের নামায দোহরায়ে পড়তে হবে। অন্যথায় নামায তরকের গুনাহ হবে।
-মুহম্মদ আরিফুর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০